Adeno Virus Update: আজ ভোর ৬টার মধ্যে বিসি রায় হাসপাতালে আরও ৩ শিশুর মৃত্য়ু
আজ ভোর রাতে মৃত্য়ু হয় উত্তর ২৪ পরগনার ঠাকুরনগরের ২ বছরের শিশুর। হাসপাতাল সূত্রে খবর, দুই শিশুরই জ্বর ও শ্বাসকষ্টের সমস্য়া ছিল।
কলকাতা: গতকাল রাত থেকে, আজ ভোর ৬টার মধ্যে বিসি রায় শিশু হাসপাতালে (BC Roy Hospital) আরও ৩ শিশুর মৃত্য়ু হল। ভয়ঙ্কর অ্য়াডিনো আতঙ্কের মধ্যেই, শিশুমৃত্য়ুর (Child Death) সংখ্য়া বেড়ে হল ১৩৫। বৃহস্পতিবার রাত ১১টা ৪৫-এ বিসি রায় হাসপাতালে মৃত্য়ু হয় চুঁচুড়ার বাসিন্দা, ১১ মাসের শিশুপুত্রের। হাসপাতাল সূত্রে খবর, শিশুর জ্বর ও সর্দিকাশি ছিল। এরপর রাত আড়াইটে নাগাদ মৃত্য়ু হয় বনগাঁর বাসিন্দা, দেড় বছরের আরেক শিশুর। আজ ভোর রাতে মৃত্য়ু হয় উত্তর ২৪ পরগনার ঠাকুরনগরের ২ বছরের শিশুর। হাসপাতাল সূত্রে খবর, দুই শিশুরই জ্বর ও শ্বাসকষ্টের সমস্য়া ছিল। অন্য়দিকে, রায়গঞ্জ মেডিক্য়াল কলেজে গতকাল মৃত্য়ু হয়েছে ২ শিশুর।
দোসর নিউমোনিয়া: আতঙ্কের নতুন নাম অ্যাডিনো ভাইরাস। দোসর নিউমোনিয়া। উদ্বেগ বাড়াচ্ছে পেডিয়াট্রিক আইসিইউ বেডের সঙ্কট। এর মধ্যেই ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা জানিয়ে হাসপাতালের পরিকাঠামো নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন শিশুর আত্মীয়-পরিজনেরা।
অ্যাডিনো-আতঙ্কের আবহে দিনকয়েক আগে নবান্নে প্রশাসনিক বৈঠকে হাসপাতালগুলিকে কড়া বার্তা দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু তারপরও সরকারি হাসপাতালের অবস্থা এতটুকুও পাল্টায়নি বলে অভিযোগ উঠছে। বি সি রায় হাসপাতালে হাওড়ার শ্যামপুর থেকে আসা ৪ বছরের অসুস্থ শিশুকে প্রায় ১০ ঘণ্টা বিনা চিকিৎসায় ফেলে রাখার অভিযোগ তুলল পরিবার। পরিবারের দাবি, দুপুর ১২টায় হাসপাতালে আনা হলেও, রাত ১০টা পর্যন্ত কোনও চিকিৎসক শিশুকে দেখেননি।
এমনকি, ভর্তির আগেই ICU নেই বলে বন্ডে সই করিয়ে নেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। পরিবারের দাবি, এরপর শিশুর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে, আইসিইউ-তে স্থানান্তরিত করা হয়। পরিবারের প্রশ্ন, তাহলে প্রথমে কেন আইসিইউ বেডের সঙ্কট রয়েছে বলে জানানো হয়েছিল? শিশুর পরিবারের আরও দাবি, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ থার্মোমিটার আনতে বলে। নর্মাল নাকি ডিজিটাল থার্মোমিটার, তা নিয়েও চলে টানাপোড়েন। এই বি সি রায় হাসপাতালেই আরেক ধরনের সমস্যায় পড়েছে রাজারহাটের এক পরিবার। সুস্থ হওয়ার পরেও শিশুকে ফেরত পেতে দেখা দিয়েছে জটিলতা।
পরিবারের দাবি, জন্মের পর ওই শিশু বড় হচ্ছে আত্মীয়ের বাড়িতে। সম্প্রতি ১১ মাসের অসুস্থ শিশুকে বি সি রায় হাসপাতালে ভর্তি করেন ওই আত্মীয়। পরিবারের দাবি, শিশু সুস্থ হওয়ার পরে তাকে ফেরত দেওয়া নিয়ে শুরু হয়েছে টানাপোড়েন। এক্ষেত্রে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, নির্দিষ্ট গাইডলাইন মেনেই তারা ওই শিশুকে রাজ্য শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের হেফাজতে দিতে চেয়েছে। অ্যাডিনো-আতঙ্কের মধ্য়েই হাসপাতালের পরিকাঠামো নিয়ে বিতর্ক থামছে না।
আরও পড়ুন: ধর্মঘটের ডাক, বিকাশ ভবনে চলছে পিকেটিং, টেবিল ফাঁকা খাদ্য ভবনে, পুলিশ প্রহরায় দুর্গ কলকাতা পুরসভা