Egra Incident : 'বিজেপির পঞ্চায়েতে' বিস্ফোরণ, এগরা নিয়ে দায় চাপালেন মুখ্যমন্ত্রী, পাল্টা কী বললেন বিরোধীরা ?
ঘটনায় ইতিমধ্য়েই লেগেছে রাজনীতির রং। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের মতে গ্রাম পঞ্চায়েতেরই জানা উচিত ছিল আবার কেন বাজি তৈরি করছে।
মানস জানা, সত্য়জিৎ বৈদ্য় ও আবীর দত্ত, এগরা: বিস্ফোরণের (Blast ) দায়, কার্যত এলাকার পঞ্চায়েতের ( Egra Panchayat ) ওপর চাপালেন মুখ্য়মন্ত্রী ( Mamata Banerjee0 । তাঁর প্রশ্ন, কেন ওই বেআইনি বাজি কারখানা সম্পর্কে তথ্য় ছিল না পঞ্চায়েতের কাছে? মুখ্য়মন্ত্রীর দাবি, আগে পঞ্চায়েতের ক্ষমতায় ছিল তৃণমূল ( TMC ) । ২ মাস আগে নির্দলদের সমর্থনে দখল নেয় বিজেপি ( BJP )। এদিকে, পঞ্চায়েত প্রধানের বক্তব্য়, তাঁরা পঞ্চায়েত চালালেও, যাঁরা লাইসেন্স দেন, তাঁরাই এর জন্য় দায়ী।
এগরার খাদিকুলে বিস্ফোরণস্থলের পাশেই রয়েছে নির্মীয়মান বাড়িটি। এখানেই রয়েছে গোপন কুঠুরি। আন্ডারগ্রাউন্ড এই বাঙ্কারে এখনও মজুত করে রাখা বাজি তৈরির সরঞ্জাম ও বাজি! বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে পুরো বাড়িটাই কার্যত ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে। বাড়ির চাল পুরোটা উড়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন :
হাইপারটেনশন থেকে হতে পারে চোখের ভয়ঙ্কর রোগ, হারাতে পারেন দৃষ্টিও !
এক স্থানীয় বাসিন্দা জানালেন, এর আগেও,আগুন লেগেছিল। তাঁর এক ভাই মারা গিয়েছিল।
এই ঘটনায় ইতিমধ্য়েই লেগেছে রাজনীতির রং। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের মতে গ্রাম পঞ্চায়েতেরই জানা উচিত ছিল আবার কেন বাজি তৈরি করছে। তিনি বলেন, বিধায়ককে বিজেপির লোকজন ঢুকতে দেয়নি।
সাহারা গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের আবার পাল্টা দাবি, 'আমরা পঞ্চায়েত চালাচ্ছি ঠিকই, কিন্তু যাঁরা লাইসেন্স দেন, যাঁরা এই প্রশাসন থেকে দেখভাল করেন তারা দায়ী। আমরা তো এ ব্য়াপারে কিছু জানি না। আগে তো ট্রেড লাইসেন্স পঞ্চায়েত থেকে নিত, এখন তো ট্রেড লাইসেন্স গভর্নমেন্ট থেকে দেয়। অনলাইন থেকে বেরিয়ে যায়, আমরা তো সেটাও দিই না। তাহলে আমরা কী করে দায়ী হব?'
আইনশৃঙ্খলা দেখার কাজ কার? পুলিশের না পঞ্চায়েতের? প্রশ্ন বিরোধীদের।
সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর মন্তব্য, 'গ্রাম পঞ্চায়েত ওখানে সব তৃণমূলের। কোনও বিজেপি, সিপিএম নেই। নিজেদের মধ্য়ে গন্ডগোল থাকতে পারে। কিন্তু সবাই তৃণমূল।'
পাল্টা যুক্তি দিয়েছেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। তৃণমূল নেত্রীর প্রশ্ন, বাজি কারখানার মালিক যদি তৃণমূলের লোক হয়, তাহলে কেন পুলিশ কেন গ্রেফতার করেছিল?
শেষ অবধি কি বিস্ফোরণের নেপথ্য়ের প্রকৃত কারণ সামনে আসবে? এটাই লাখ টাকার প্রশ্ন।