Abhishek Banerjee: ঢেলে সাজাব স্বাস্থ্য ও শিক্ষা, মেঘালয়ে বসে 'প্রতিজ্ঞা' অভিষেকের
এ দিন তিনি আরও বলেন, 'কিছু বললে তা রক্ষার জন্য তৃণমূল কংগ্রেস শেষ রক্তবিন্দু পর্যন্ত লড়বে। মানুষের অনুমতি ছাড়া কোনও সিদ্ধান্ত নয়। ইস্তেহারে শুধু প্রতিশ্রুতি নয়, প্রতিজ্ঞা'।
অসম: 'মেঘালয়ের স্বাস্থ্য ও শিক্ষাকে ঢেলে সাজানো হবে। মেঘালয়ের অর্থনীতিকে চাঙা করা, নতুন তৃণমূল সরকারের প্রথম লক্ষ্য'। মেঘালয়ে ইস্তেহার প্রকাশ অনুষ্ঠানে এমনটাই বললেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পাখির চোখ মেঘালয়, আজই শিলং গিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মেঘালয়ে আজ দলের ইস্তেহার প্রকাশ করেন অভিষেক।
এ দিন তিনি আরও বলেন, 'কিছু বললে তা রক্ষার জন্য তৃণমূল কংগ্রেস শেষ রক্তবিন্দু পর্যন্ত লড়বে। মানুষের অনুমতি ছাড়া কোনও সিদ্ধান্ত নয়। ইস্তেহারে শুধু প্রতিশ্রুতি নয়, প্রতিজ্ঞা'। এদিন মেঘালয়ের মানুষের উদ্দেশে অভিষেক বলেন, 'মানুষের জীবনকে বিপন্ন করে কোনও খনির কাজ চলবে না। আগামী ৫ বছরে ৩ লক্ষ নতুন কাজ সৃষ্টি করা তৃণমূলের লক্ষ্য। ১ লক্ষ পড়ুয়াকে ল্যাপটপ বিলি করা হবে। ইস্তেহারে যা আছে, তা রূপায়িত করার কাজ শুরু হবে আগামী ৩ মাসে'
এ দিন অভিষেকের মেঘালয় সফরকে কটাক্ষ করেছেন দিলীপ ঘোষ। 'ত্রিপুরা, গোয়া, অসম, অনেক নাটক দেখেছি। মেঘালয়েও তেমনই একটা ফ্লপ শো হবে'। মন্তব্য বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষের।
গোয়ার পর মেঘালয়। আসন্ন বিধানসভা ভোটের প্রচারে এর আগে কংগ্রেসকে নিশানা করেন অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। বললেন, কংগ্রেসকে ভোট দেওয়া মানেই, বিজেপিকে ভোট দেওয়া। বিরোধীরা অবশ্য় বলছে, বিভিন্ন রাজ্য়ে বিরোধী ভোট কাটতে মমতা-মোদির যে আঁতাঁত হয়েছে তা ফের স্পষ্ট হয়ে গেল। জবাব দিয়েছে বিজেপিও।
প্রথমে গোয়া, তারপর মেঘালয়। বিজেপি শাসিত দুই রাজ্য়েই কংগ্রেসে ভাঙন ধরিয়েছে তৃণমূল। আর বুধবার যখন মেঘালয়ে বিধানসভা ভোটের দিন ঘোষণা হল, তখন সেদিনই উত্তর-পূর্বের এই রাজ্য়ে দাঁড়িয়ে কংগ্রেস-বিজেপির আঁতাঁতের অভিযোগে সরব হলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০১৮ সালে, ৬০ আসনের মেঘালয় বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসেবে উঠে এসেছিল কংগ্রেস কিন্তু, ৩৪ জন বিধায়কের সমর্থন জোগাড় করে সরকার গঠন করে NDA।
২০২১ সালের ২৫ নভেম্বর, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মুকুল সাংমা-সহ ১২ জন বিধায়ক, কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন। কংগ্রেসে ভাঙন ধরিয়েই, বিরোধী দলের মর্যাদা পায় তৃণমূল। বুধবার সেই রাজ্য়ে দাঁড়িয়ে, কংগ্রেস-বিজেপিকে এক ব্র্য়াকেটে ফেলে আক্রমণ করলেন অভিষেক। তৃণমূল বারবার কংগ্রেসের বিরুদ্ধে বিজেপির সঙ্গে আঁতাঁতের অভিযোগ তুললেও, কংগ্রেস কিন্তু সেই পথে হাঁটেনি। ভারত জোড়ো যাত্রায় সামিল হওয়ার আহ্বান জানিয়ে রাহুল গান্ধী বিরোধীদের যে চিঠি দিয়েছিলেন তা পৌঁছেছিল তৃণমূলের কাছেও। কিন্তু, তৃণমূল সেই কর্মসূচিতে অংশ নেয়নি। কাশ্মীরে ভারত জোড়ো যাত্রার সমাপ্তি অনুষ্ঠানে, ২১টি বিজেপি বিরোধী দলকে আমন্ত্রণ জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। সেই তালিকাতেও কিন্তু, তৃণমূল লাগাতার কংগ্রেস-বিজেপিকে একসারিতে ফেলে আক্রমণ শানিয়ে চলেছে। গতবছর গোয়া বিধানসভা ভোটের আগেও অভিষেকের গলায় শোনা গেছিল এই সুর। গোয়াতেও একইভাবে কংগ্রেসে ভাঙন ধরিয়েছিল তৃণমূল। কংগ্রেসের দাবি, গোয়া বিধানসভা ভোটে বিরোধী ভোটে ভাঙন ধরিয়ে, আদতে বিজেপিরই সুবিধা করে দিয়েছিল তৃণমূল। এবার মেঘালয়েও সেই পথেই হাঁটছে তারা।