(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Murshidabad Murder:বহরমপুরে কলেজছাত্রী সুতপা চৌধুরীকে কুপিয়ে খুনে দোষী সাব্যস্ত অভিযুক্ত সুশান্ত, বুধবার রায়দান
College Student Murder:বহরপুরপুরে ছাত্রীকে কুপিয়ে খুনের ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত অভিযুক্ত। আগামীকাল অর্থাৎ বুধবার রায়দান হওয়ার কথা।
রাজীব চৌধুরী, মুর্শিদাবাদ: বহরপুরপুরে ছাত্রীকে (Berhampore College Student Murder) কুপিয়ে খুনের ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত অভিযুক্ত (Conviction)। আগামীকাল অর্থাৎ বুধবার রায়দান হওয়ার কথা। গত বছর ২ মে, মেসের সামনেই কলেজ ছাত্রী সুতপা চৌধুরীকে (Sutapa Chowdhury Murder) কুপিয়ে খুনের অভিযোগ ওঠে সুশান্ত চৌধুরীর বিরুদ্ধে। পুলিশের অভিযোগ, রীতিমতো ছক কষে সুতপাকে খুন করা হয়। সেই মামলায় দোষী সাব্যস্ত হল সুশান্ত।
কী ঘটেছিল?
গত বছর মে মাসের ঘটনা হাড় হিম করে দিয়েছিল দুঁদে পুলিশ আধিকারিকদের। প্রাথমিক ভাবে উঠে এসেছিল, প্রেমের সম্পর্কে চিড় ধরায় 'প্রেমিকা' সুতপা চৌধুরীকে নারকীয়ভাবে কুপিয়ে খুন করেছিল সুশান্ত। ঘটনার দিন রাতেই গ্রেফতার করা হয় সুশান্তকে। ঘটনাটি ঘটেছিল বহরমপুরের গোরাবাজারের একটি মেসের সামনে। সেখানেই থাকতেন বহরমপুর গার্লস কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী সুতপা চৌধুরী। পুলিশ সূত্রে খবর, আদতে মালদার ইংরেজবাজারের বাসিন্দা সুতপার সঙ্গে পুখুরিয়ার বাসিন্দা সুশান্ত চৌধুরীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ঘটনার দিন, সন্ধেবেলা শহিদ সূর্য সেন রোড দিয়ে মেসে ফিরছিলেন বহরমপুর গার্লস কলেজের প্রাণীবিদ্যার তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী সুতপা। সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়ে, তাঁকে অনুসরণ করছে সুশান্ত! তার পর, সুযোগ বুঝে মেসের দরজার সামনেই তরুণীর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে সে। এতেই শেষ নয়। জেরায় পুলিশ জানতে পেরেছিল, সুতপাকে খুন করে পালানোর পথ আগেই তৈরি করে রেখেছিল সুশান্ত। এলাকার একটি বাড়ির পাঁচিলে লাগানো পেরেক বাঁকিয়ে রেখেছিল সে। খুনের পর ওই জায়গা দিয়েই পাঁচিল টপকে পালায় সুশান্ত। হাড় হিম করা হত্যাকাণ্ড নিয়ে এই সব তথ্য সামনে আসতেই তুমুল হইচই শুরু হয়ে যায়।
চার্জশিট পেশ...
সে বার কলেজ ছাত্রীকে খুনের ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে যায়। সেই ঘটনার ৭৫ দিনের মাথায়, বহরমপুর আদালতে হত্যাকাণ্ডের চার্জশিট পেশ করে পুলিশ। অভিযুক্ত সুশান্ত চৌধুরীর বিরুদ্ধে ৩০২ ধারা অর্থাৎ, খুন ও অস্ত্র আইনের ধারায় চার্জশিট দাখিল করা হয়। অভিযুক্তকে গ্রেফতারের পরই টানা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। অভিযুক্তকে নিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করে পুলিশ। তার পরই মুর্শিদাবাদ আদালতে ৩৮৩ পাতার চার্জশিট পেশ করা হয়। জানা যায়, তাতে ৫৪ জন সাক্ষীর বয়ান রয়েছে। অভিযুক্তের কঠোর শাস্তির দাবি করেন, নিহত কলেজ ছাত্রীর বাবা। জেল হেফাজতে ছিলেন অভিযুক্ত সুশান্ত চৌধুরী। এই মামলার দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য, কলকাতা থেকে সরকারি আইনজীবীকে নিযুক্ত করা হয়।
আরও পড়ুন:'ফুলঝুরি রাখবে বলে বস্তা বস্তা বারুদ, রাসায়নিক' কেরামতকে ঘর-ভাড়া দেওয়ার পরিণতি কী জানেন?