Viswa Bharati University: বিশ্বভারতীর ফলক বিতর্কে উপাচার্যর থেকে রিপোর্ট তলব আচার্য রাজ্যপালের
এর আগেই বিশ্বভারতীর বিতর্কিত ফলক বদলানোর নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক। বিশ্বভারতী সূত্রের খবর, নতুন ফলকে কী লেখা হবে তার বয়ানসহ চিঠি পাঠানো হয়েছে।
কলকাতা: বিশ্বভারতীর (Viswa Bharati) ফলক বিতর্কে এবার উপাচার্যর থেকে রিপোর্ট তলব করলেন আচার্য রাজ্যপাল (CV Ananda Bose)। সিভি আনন্দ বোস বলেন, 'রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাংলা, ভারত এবং বিশ্বের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রতীক। বিশ্বভারতীর ফলকে কবিগুরুকে সম্মানিত করা উচিত'। রাজ্যপাল ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছেন, রাজভবনের নর্থ গেটের নাম পরিবর্তন করে 'গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর' গেট করা হবে।
ফলক বদলে কেন্দ্রের নির্দেশ
এর আগেই বিশ্বভারতীর বিতর্কিত ফলক বদলানোর নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক। বিশ্বভারতী সূত্রের খবর, নতুন ফলকে কী লেখা হবে তার বয়ানসহ চিঠি পাঠানো হয়েছে। বয়ানে আচার্য প্রধানন্ত্রী ও উপাচার্যের নামের কোনও উল্লেখ নেই। চিঠি পেয়েই ৪ সদস্য়ের একটি কমিটি তৈরি করেঠে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। অবশেষে বদলাতে চলেছে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্য়ালয়ের বিতর্কিত ফলক। বিশ্বভারতীর ফলক বিতর্কে এবার সরাসরি হস্তক্ষেপ করেছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকে বিতর্কিত ফলক বদলানোর নির্দেশ দেয় কেন্দ্র।
৪ সদস্য়ের কমিটি গঠন
নির্দেশ পেয়েই ৪ সদস্য়ের কমিটি গঠন করে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। বিশ্বভারতী সূত্রের খবর, নতুন ফলকে কী লেখা হবে তার বয়ান-সহ মঙ্গলবার একটি চিঠি পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক। চিঠিতে বলা হয়েছে, ১৯২১ সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাবধারা ও আদর্শে প্রতিষ্ঠিত বিশ্বভারতী উদ্ভাবন ও সম্প্রীতির চেতনাকে লালন করে। এরপরেই নতুন ফলকে কী লেখা হবে তা ঠিক করতে, রবীন্দ্রভবনের ভারপ্রাপ্ত ডিরেক্টর অধ্যাপক অমল পাল, অধ্যাপক অমৃত সেন, অধ্যাপক শকুন্তলা মিশ্র ও অধ্যাপক মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায়কে নিয়ে একটি কমিটি গঠন করে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।
২০১০ সালে বিশ্বভারতীকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের তালিকা ভুক্ত করার জন্য আবেদন জানায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ২০২১ সালের ২৬ অক্টোবর, UNESCO-এর ৭ সদস্যের প্রতিনিধি দল এসেছিলেন শান্তিনিকেতনে। গত ১৭ সেপ্টেম্বর রবি ঠাকুরের শান্তিনিকেতনকে 'ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ' তকমা দেয় UNESCO.
বিতর্কের সূত্রপাত
তারপরেই বিশ্বভারতীর ঐতিহ্য়বাহী উপাসনা গৃহ, রবীন্দ্রভবন ও গৌরপ্রাঙ্গণে তিনটি শ্বেত পাথরের ফলক বসানো হয়। আর সেই ফলকে নাম নেই খোদ প্রতিষ্ঠাতা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরেরই!তার পরিবর্তে নাম আছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্য়ালয়ের সদ্য় প্রাক্তন উপাচার্য বিদ্য়ুৎ চক্রবর্তীর!
বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্য়ালয়ের ফলকে খোদ রবীন্দ্রনাথকেই ব্রাত্য় করে দেওয়ার এই ঘটনায় সমালোচনার ঝড় ওঠে! খোদ রাজ্য়পাল, এমনকি বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্বও এর প্রতিবাদ জানায়!
এরই মধ্য়ে মেয়াদ শেষ হয় উপাচার্য বিদ্য়ুৎ চক্রবর্তীর। বিশ্বভারতীর নতুন ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য হয়েছেন কলাভবনের অধ্যক্ষ সঞ্জয় কুমার মল্লিক। তাঁকে ইতিমধ্যেই দিল্লিতে ডেকে পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রক৷ আর এবার বিতর্কিত ফলক বদলানোর নির্দেশ দিল কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। যার নামে ভারতকে চেনে গোটা বিশ্ব, তিনিই তাঁর স্বপ্নের বিশ্বভারতীর ফলকে ব্রাত্য় হয়ে পড়েছিলেন! শেষ অবধি নতুন ফলকে কী লেখা হয়, সেদিকেই সবার নজর।