(Source: Poll of Polls)
Adeno Virus : অ্যাডিনো-আতঙ্কের মধ্যেই বি সি রায় হাসপাতালে আরও ২ শিশুর মৃত্যু
Child Death : বেসরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এই নিয়ে ২ মাসে রাজ্যে মৃত্যু হল দেড়শো জন শিশুর।
কলকাতা : অ্যাডিনো-আতঙ্কের (Adeno Virus Scare) মধ্যেই বি সি রায় হাসপাতালে (BC Roy Hospital) বাড়ছে শিশু মৃত্যু। গতকাল উত্তর ২৪ পরগনার ২ শিশুর মৃত্যু হল। এদের মধ্যে দেড়বছরের শিশু বারাসাতের কদম্বগাছি ও ২ বছর ২ মাসের অপর শিশু হাড়োয়ার বাসিন্দা। অ্যাকিউট রেসপিরেটরি ইলনেসে (Acute Respiratory Illness) মৃত্যু বলে ডেথ সার্টিফিকেটে উল্লেখ করা হয়েছে। বেসরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এই নিয়ে ২ মাসে রাজ্যে মৃত্যু হল দেড়শো জন শিশুর।
থামছে না শিশুমৃত্যু
অ্যাডিনো ভাইরাস, জ্বর, শ্বাসকষ্টজনিত অসুখে থামছে না শিশুমৃত্যু। এই পরিস্থিতিতে এবার অ্যাডিনো টেস্টের খরচ কমাতে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য় সরকার (West Bengal Government)। আরও একটি তাৎপর্যপূর্ণ সিদ্ধান্ত হল, এবার থেকে অ্যাডিনো ও শ্বাসকষ্টজনিত অসুখে মৃত্যুর ক্ষেত্রে করা হবে ডেথ অডিট। বেসরকারি হাসপাতালগুলির ক্ষেত্রেও, চিকিৎসা প্রোটোকল তৈরি করবে রাজ্য সরকার। তা ঠিকমতো মেনে চলা হচ্ছে কি না, খতিয়ে দেখবে সরকার।
একাধিক ব্যবস্থা
অ্যাডিনো-মোকাবিলায় সোমবার ভার্চুয়াল বৈঠকে এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ৮ সদস্যের টাস্ক ফোর্স। সোমবারের বৈঠকে, কোভিডের মতোই অ্যাডিনো ও শ্বাসকষ্টজনিত রোগে মৃত্যুর ক্ষেত্রে বুলেটিন চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সোমবার রাজ্য়ের তরফে প্রকাশ করা বুলেটিনে উল্লেখ করা হয়েছিল, গত আড়াই মাসে রাজ্যে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১২ হাজার ৩৪৩ জন শিশু। ১৩ মার্চ পর্যন্ত, রাজ্য়ে ১৯জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। যার মধ্যে ১৩ জনের গুরুতর কো-মর্বিডিটি ছিল। সরকারের দাবি, দৈনিক হাসপাতালে নতুন ভর্তি হওয়ার সংখ্য়া গত সপ্তাহের তুলনায় ৮০০ থেকে কমে ৬০০ হয়েছে। যদিও বেসরকারি পরিসংখ্য়ান অনুযায়ী, গত আড়াই মাসে ১৪৮ জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। রবিবার রাত থেকে সোমবার দুপুর পর্যন্তই প্রাণ গেছে ৪ শিশুর। এদিকে, সরকারের নির্দেশে মঙ্গলবারই বেসরকারি হাসপাতালগুলির সঙ্গে বৈঠকে বসছে স্বাস্থ্য কমিশন।
ছোটোদের পাশাপাশি বড়রাও এইসময় আক্রান্ত হচ্ছে অ্য়াডিনো ভাইরাসে। সেক্ষেত্রে, করোনা কালের মত, ফের হাসপাতালে হাসপাতালে সিভিয়র অ্যাকিউট রেসপিরেটরি ইলনেস ক্লিনিক চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। টাস্কফোর্সের তরফে জানানো হয়েছে, গ্রামে আশাকর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে দেখবেন, কেউ অসুস্থ রয়েছে কিনা। নিয়মিত সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল পরিদর্শনে যাবেন টাস্কফোর্সের সদস্যরা।