Influenza : হু হু করে বাড়ছে ইনফ্লুয়েঞ্জা ফ্লু, কীভাবে আলাদা করবেন অ্যাডিনো-হানার থেকে? কাজ করবে অ্যান্টিবায়োটিক?
হু হু করে বাড়ছে ইনফ্লুয়েঞ্জা ফ্লু কী লক্ষণ ?কদ্দিন ভোগাবে ?কীভাবে নিরাময় ?
নয়াদিল্লি: সারা ভারতে ক্রমেই থাবা চওড়া হচ্ছে H3N2 ভাইরাসের। বাচ্চা থেকে বড়, সবার মধ্যে ছড়াচ্ছে ইনফ্লুয়েঞ্জা। ক্রমেই দাপট বাড়ছে এই ভাইরাসের। এই পরিস্থিতিতে কী উপায়ে নিজেকে রক্ষা করবেন, তার পরামর্শ দিলেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। করোনার প্রকোপ কমেছে বলে যাঁরা মাস্ক ত্যাগ করেছেন, তাঁদের ফের মাস্ক ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা। IDSP-IHIP (ইন্টিগ্রেটেড হেলথ ইনফরমেশন প্ল্যাটফর্ম) এ উপলব্ধ সর্বশেষ তথ্য অনুসারে, সব রাজ্যে ৯ মার্চ পর্যন্ত H3N2 ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজারেরও বেশি।
- জানুয়ারিতে 1,245টি
- ফেব্রুয়ারিতে 1,307টি
- 9 মার্চ পর্যন্ত 486টি ইনফ্লুয়েঞ্জার কেস পাওয়া গিয়েছে।
ডা. সুনীল সেকরি ( সহযোগী পরামর্শদাতা - ইন্টারনাল মেডিসিন, ম্যাক্স হাসপাতাল, গুরুগ্রাম )সংবাদমাধ্যমকে বলেন, "আমার মতে, আপাতত সরকার আবারও মাস্ক বাধ্যতামূলক করে দিক । অন্তত অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলগুলিতে মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করা হোক। যেমন যেমন বাস-ট্রাম, হাসপাতাল, বিমান বন্দর, রেল স্টেশনের মতো জায়গায় মাস্ক পরাই ভাল। ভিড়ের জায়গায় যাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত, অথবা সবসময় মাস্ক পরা উচিত। জনসাধারণ,"
শ্বাসযন্ত্রের মধ্যে ভাইরাসগুলি ঘোরাফেরা করে। তার পর হাঁচি, কাশি, গলা ব্যথা মারফৎ ছড়িয়ে পড়ে। ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের ন্যাশনাল কোভিড -19 টাস্ক ফোর্সের সহ-চেয়ারম্যান ডা. রাজীব জয়দেবন বলেছেন, বিশেষ করে কেনও বদ্ভিধ জায়গায় জমায়েত হলে মাস্ক তো পরতেই হবে। H3N2 এবং H3N1 উভয় ধরনের ইনফ্লুয়েঞ্জা এ ভাইরাস, যা সাধারণত ফ্লু নামে পরিচিত। এই সমস্যা আটকাতে ফ্লু ভ্যাকসিন নেওয়া জরুরি।
এই জ্বরের লক্ষণগুলি হল -
- দীর্ঘস্থায়ী জ্বর
- কাশি
- নাক দিয়ে জল পড়া
- শরীরে ব্যথা
- গুরুতর ক্ষেত্রে শ্বাসকষ্ট
এদিকে, কোভিড সংক্রমণও চার মাস পরে আবার বেড়েছে। রবিবার ৫২৪ টি কোভিড আক্রান্তের খবর মিলেছে।
সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ ঈশ্বর গিলাদা বলেন, "গত তিন বছর ধরে আমরা শিখেছি যে কীভাবে শ্বাসযন্ত্র থেকে ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধ করা যায়। সঠিক মাস্ক প্রয়োজন, বিশেষ করে যখন আপনি জনাকীর্ণ জায়গায় রয়েছেন” । কারও পরিবারে একজনেরও উপসর্গ দেখা দিল, অন্যদের মাস্কের আড়াল নিতে হবে। নইলেই রোগ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা বেশি। এছাড়াও সাবান বা স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিষ্কার রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন ডাক্তাররা। এছাড়া ফ্লু ভ্যাকসিন নেওয়ার দিকে জোর দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। সেই সঙ্গে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, ফ্লু-এর চিকিত্সার ক্ষেত্রে অ্যান্টিবায়োটিক এড়ানো উচিত।
চিকিৎসকরা মনে করছেন, অ্যান্টিবায়োটিকগুলি ইনফ্লুয়েঞ্জা বা কোভিড-১৯ এর মতো ভাইরাল সংক্রমণের বিরুদ্ধে কার্যকর নয়৷ অ্যান্টিবায়োটিকগুলি ব্যাকটেরিয়াকে আটকাতে পারে, ভাইরাস বা ফাঙ্গাসকে নয়।