Ram Mandir : বাবরি মসজিদের শিলান্যাসের দিনই অদূরেই হল আরেক রামমমন্দিরের শিলান্যাস ! কে করলেন?
বহরমপুরে আরও এক রাম-মন্দিরের শিলাপুজো হয়ে গেল হুমায়ুনের প্রস্তাবিত বাবরি মসজিদের শিলান্যাসের পাশাপাশি।

সন্দীপ সরকার, পার্থপ্রতিম ঘোষ, মুর্শিদাবাদ : মসজিদ, মন্দির , বাবর, রাম, রাজনীতি এখন শুধুই ধর্মময়। শনিবার, রেজিনগরে 'বাবরি' মসজিদের শিলান্যাস করেন সাসপেন্ডেড তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। সেদিনই বহরমপুরে বিজেপি নেতা শাখারভ সরকারের নেতৃত্বে হয় রামমন্দিরের শিলাপুজো।
৬ ডিসেম্বর, একদিকে যখন রেজিনগরে বাবরি মসজিদের শিলান্যাস করেন, হুমায়ুন কবীর, রেজিনগরে বাবরি মসজিদের শিলান্য়াস , তার কিছুক্ষণের মধ্য়ে, প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে, বহরমপুরের বানজেটিয়ায়, বিজেপি নেতা শাখারভ সরকারের নেতৃত্বে হয় রামমন্দিরের শিলাপুজো। বহরমপুরে আরও এক রাম-মন্দিরের শিলাপুজো হয়ে গেল হুমায়ুনের প্রস্তাবিত বাবরি মসজিদের শিলান্যাসের পাশাপাশি।
কী বললেন শাখারভ সরকার?
মঙ্গলবার, ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের বেলডাঙা শাখার প্রধান কার্তিক মহারাজের সঙ্গে দেখা করতে যান বিজেপি নেতা শাখারভ সরকার। কিন্তু বেলডাঙার ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের সন্ন্যাসীর সঙ্গে কেন সাক্ষাৎ করলেন তিনি ? বললেন, 'পরামর্শ নিতে এসেছি। অনেক মসজিদ হয়েছে। আপত্তি নাম নিয়ে। আর্জি নিয়ে এসেছি রামমন্দির করতে চাই।'
কী বলছেন কার্তিক মহারাজ ?
কার্তিক মহারাজ (প্রধান, ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘ, বেলডাঙা) বলছেন, 'ব্যক্তিগতভাবে যদি কেউ করতে চান আপত্তির জায়গা নেই। আনন্দের কথা। মানুষ সাহায্য করবে। ফুল জল দেওয়ার লোক নেই...সেটা হওয়া কাম্য নয়। তাহলে বিগ্রহ হয়ে যায় গলগ্রহ। সেটাই পরে হয়ে যায় নিগ্রহ। সেটা যাতে না হয়।' সব মিলিয়ে, মন্দির-মসজিদের টক্করে মুর্শিদাবাদের রাজনীতি এখন সরগরম!
এদিকে, মুর্শিদাবাদে হুমায়ুন কবীরের প্রস্তাবিত 'বাবরি' মসজিদের নির্মাণকাজ এখনও শুরু হয়নি। তারমধ্যেই সেই চত্বরে জাতীয় সড়কের দু'পাশে দেখা গেল দোকান খোলার হিড়িক! জাতীয় সড়কের ধারে ধারে প্রস্তাবিত জায়গার আশেপাশে অস্থায়ী দোকান বসতে শুরু করে দিয়েছে ইতিমধ্যেই। বিভিন্ন জায়গায় বিক্রেতারা দোকান দিয়েছেন। কোথাও বসে গেছে টিউবওয়েল। এদিকে হুমায়ুন কবীর দাবি করছেন, শুধু মুর্শিদাবাদ নয়, মালদা, বীরভূম, একাধিক জেলা থেকে তাঁর কাছে 'বাবরি' মসজিদ তৈরির প্রস্তাব আসছে।
রামনবমী-হনুমান জয়ন্তী-রথ-দোল-ইদের নমাজ-ইফতার, এ সব নিয়ে এতদিন পশ্চিমবঙ্গে রাজনীতি চোখে পড়ত, কিন্তু এবার ভোটের আহহে সরাসরি মন্দির-মসজিদের রাজনীতির প্রবেশ । তাহলে কি শিক্ষা-স্বাস্থ্য-উন্নয়ন নয়, ২৬-এর বিধানসভা ভোট হবে মন্দির মসজিদকে সামনে রেখে? ইঙ্গিত অন্তত তেমনটাই।





















