Babul Supriyo: অবশেষে কাটল জট, ডেপুটি স্পিকারের পৌরহিত্যে বুধবার শপথ বাবুলের
Babul Supriyo Oath: উপনির্বাচনে বালিগঞ্জ থেকে জয়ী হন বাবুল। কিন্তু তাঁর শপথগ্রহণ নিয়ে এতদিন টানাপোড়েন চলছিল রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে।
কলকাতা: বাবুল সুপ্রিয়র শপথগ্রহণ ঘিরে অবশেষে কাটল জট। বুধবারই বালিগঞ্জের বিধায়ক হিসেবে শপথ নেবেন বাবুল। তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করাবেন ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ই। রাজ্যের পরিষদিয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে জয়ের পর প্রায় তিন সপ্তাহ কেটে গেলেও, এত দিন টানাপোড়েনে আটকে ছিল বাবুলের শপথগ্রহণ। তার মধ্যেই রাজ্যের তরফে, বিশেষ করে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের তরফে ডেপুটি স্পিকারকে অনুরোধ জানানো হয়। শারীরিক অসুস্থতা সত্ত্বেও তাতে রাজি হয়েছেন তিনি। বুধবার গুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ বাবুলকে শপথবাক্য পাঠ করাবেন তিনি।
বাবুলের শপথ নিয়ে জট কাটল
উপনির্বাচনে বালিগঞ্জ থেকে জয়ী হন বাবুল। কিন্তু তাঁর শপথগ্রহণ নিয়ে এতদিন টানাপোড়েন চলছিল রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে। প্রথা মেনে শপথগ্রহণের অনুমতি চেয়ে পরিষদীয় দফতরের তরফে রাজ্যপালকে দু’বার চিঠি দেওয়া হয়। কিন্তু পাল্টা নোট পাঠিয়ে রাজ্যপাল জানান, বিধানসভা সংক্রান্ত কিছু বিষয় রয়েছে, যা নিয়ে তথ্য চেয়েও তিনি পাননি। তাই উত্তর না মেলা পর্যন্ত এ নিয়ে এগোনোর অনুমতি মিলবে না বলেই কার্যত ইঙ্গিত দেন তিনি। এক পর সংবিধানের ১৮৮ নম্বর ধারা উল্লেখ করে জগদীপ ধনকড় ট্যুইট করে জানান, বালিগঞ্জের উপনির্বাচনে জয়ী প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয়কে শপথবাক্য পাঠ করাবেন বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার আশিস। কিন্তু সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার।
রাজ্যপালের নির্দেশ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিধানসভার স্পিকার বিমান এবং তৃণমূল নেতৃত্ব। স্পিকার থাকা সত্ত্বেও কেন ডেপুটি স্পিকারকে শপথবাক্য পাঠ করানোর দায়িত্ব দিচ্ছেন রাজ্যপাল, জানতে চান তাঁরা। এর নেপথ্যে রাজ্যপাল এবং বিমানের মধ্যেকার সংঘাতই দায়ী বলে মনে করা হয়। কারণ এ বছর ২৫ জানুয়ারি, বিধানসভা চত্ত্বরে দাঁড়িয়ে বেনজির সংঘাতে জড়ান রাজ্যপাল এবং স্পিকার। এর পর সংবিধানের প্রণেতা বি আর আম্বেদকরের জন্মজয়ন্তীতেও তৈরি হয় সংঘাতের পরিস্থিতি।
এর পর খোদ বাবুল রাজ্যপালের দ্বারস্থ হন। দ্রুত শপথের জটিলতা কাটাতে এবার সরাসরি রাজ্যপালের কাছে আর্জি জানিয়ে টুইটারে তিনি লেখেন, 'শপথবাক্য পাঠ করাতে দয়া করে স্পিকারকে অনুমতি দিন'। বাবুল লেখেন, 'বালিগঞ্জের মানুষের স্বার্থে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করুন। সুব্রত মখোপাধ্যায়ের প্রয়াণের পর থেকে বালিগঞ্জ বিধায়ক শূন্য। শপথবাক্য পাঠ করাতে দয়া করে স্পিকারকে অনুমতি দিন। যাতে আমি কাজ শুরু করতে পারি'।
বুধবার শপথ নেবেন বাবুল
তার পরেও জটিলতা কাটেনি। সেই নিয়ে বিধানসভায় রবীন্দ্রজয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানে অধ্যক্ষ বিমান বলেন, "বাবুলের শপথগ্রহণ কেন আটকে আছে, তা রাজ্যপালই বলতে পারবেন"। তিনি জানান, সহকারী অধ্যক্ষ যে শপথবাক্য পাঠ করাতে পারবেন না, তা রাজ্যপালকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন রাজ্যপালই ঠিক করবেন, কে, কবে শপথবাক্য পাঠ করাবেন। তার পর মঙ্গলবার বাবুলের শপথগ্রহণের কথা জানালেন পার্থ।