Howrah Station: খাওয়াদাওয়া থেকে বিশ্রাম, যাত্রী-স্বাচ্ছন্দ্যে এগজিকিউটিভ লাউঞ্জ হাওড়া স্টেশনে
Executive Lounge in Howrah Station: বিমানবন্দরে আগেই দেখা গিয়েছে। এবার দূরপাল্লার যাত্রীদের বিশ্রাম ও খাওয়াদাওয়ার জন্য হাওড়া স্টেশনেও চালু এগজিকিউটিভ লাউঞ্জ। সঙ্গে ফুড কোর্ট।
সুনীত হালদার, হাওড়া: বিমানবন্দরে আগেই দেখা গিয়েছে। এবার হাওড়া স্টেশনেও (howrah station) চালু এগজিকিউটিভ লাউঞ্জ (executive lounge)। সঙ্গে ফুড কোর্ট (food court)। দূরপাল্লার ট্রেনযাত্রীদের (passengers) সুবিধার কথা মাথায় রেখে আজ এই লাউঞ্জ উদ্বোধন করেন পূর্ব রেলের হাওড়া ডিভিশনের ডিআরএম মণীশ জৈন।
কী পাওয়া যাবে লাউঞ্জে?
রেল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, যে সব যাত্রীরা এক-দুঘণ্টার জন্য স্টেশনে অপেক্ষা করবেন তাঁদের স্বাচ্ছন্দ্যের জন্যই বিষয়টি তৈরি করা হয়েছে। ওয়েটিং রুমে অপেক্ষা করার ব্যবস্থা থাকছে। কিন্তু দূরপাল্লার যাত্রীরা অর্থের বিনিময়ে তূলনামূলক কিছুটা আরামদায়ক পরিবেশে অপেক্ষা করতে চাইলে এই লাউঞ্জে থাকতে পারবেন। লাউঞ্জের এন্ট্রি ফি ধার্য হয়েছে ঘণ্টায় ৫০ টাকা। খাবারের ব্যবস্থা থাকছে, তবে তার দামবাবদ আলাদা টাকা গুণতে হবে। যদিও সংস্থার দাবি, সব কিছুর দাম যাতে নাগালের মধ্যে থাকে তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
থাকার জায়গার মধ্যে দুরকম ব্যবস্থা রয়েছে। একটি ডর্মিটরি। যেখানে বাকি যাত্রীদের সঙ্গেই থাকতে হবে। তবে আলাদা থাকতে চাইলেও অসুবিধা নেই। ডাবল-বেডের চারটি রুম থাকছে। আগামী ৯ বছরের জন্য হাওড়া স্টেশনের এই এগজিকিউটিভ লাউঞ্জটির দায়িত্ব বেসরকারি হাতে রয়েছে বলে জানাল পূর্ব রেলের হাওড়া ডিভিশন।
শুক্রবার চালু হয়ে গেল লাউঞ্জ
হাওড়া ওল্ড কমপ্লেক্সে এই অত্যাধুনিক লাউঞ্জের উদ্বোধন উপলক্ষে
আজ পুজোআচ্চা হয়। রেলের তরফে আশা, উদ্যোগটি দ্রুত সাফল্যের মুখ দেখবে। যে সংস্থাকে লাউঞ্জের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল তাদের দাবি, এক্ষেত্রে পরিষেবার মানই অন্য়তম ইউএসপি। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন শৌচালয় থেকে খাবার ও বিশ্রাম নেওয়ার জায়গা, সব কিছুতেই এগিয়ে থাকবে এই এগজিকিউটিভ লাউঞ্জ। সদ্যোজাতের স্তন্যদানের জন্য আলাদা জায়গাও করা হয়েছে এখানে। রেলসফরের ফাঁকে কেউ চাইলে যাতে কাজ করতে পারেন সে জন্য লাউঞ্জে কনফারেন্স রুমেরও ব্যবস্থা থাকছে জানিয়েছে রেল।
আরও পড়ুন:উলটপুরান! যশবন্ত নন, দ্রৌপদীকেই রাষ্ট্রপতি হিসেবে দেখছেন তৃণমূল নেতা