Fraud Case: সরকারি চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ, গ্রেফতার ২
South 24 Parganas News: আর্থিক প্রতারণার অভিযোগে আটক সোনারপুরের হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক উত্তম মুখোপাধ্যায় ও তাঁর ছেলে অর্ণবকে গ্রেফতার করল পুলিশ।
রঞ্জিত হালদার, সোনারপুর: সরকারি চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে আর্থিক প্রতারণার (Fraud Case) অভিযোগে সোনারপুরের (Sonarpur) হোমিপ্যাথি চিকিত্সক (Homeopathy Physician) ও তাঁর ছেলেকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতদের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে নগদ টাকা, প্রচুর জাল নথি এবং ভুয়ো নিয়োগপত্র। এই চক্রে আরও কেউ জড়িত কিনা, খতিয়ে দেখছে পুলিশ (Police)।
আর্থিক প্রতারণার অভিযোগে আটক দুই: অভিযোগ, বলা হয়েছিল রাজ্যের প্রধান প্রশাসনিক ভবন (Administrative Building), নবান্নে (Nabanna) চাকরি হবে। প্রত্যেকটা চাকরিই হবে রাজ্যের মন্ত্রীদের কোটায়। এমনই সরকারি চাকরির লোভ দেখিয়ে, আর্থিক প্রতারণার অভিযোগে আটক সোনারপুরের হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক উত্তম মুখোপাধ্যায় ও তাঁর ছেলে অর্ণবকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃত এই বাবা-ছেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ, সরকারি চাকরি দেওয়ার নামে ১৫৬ জনের কাছ থেকে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা নিয়েছেন দু’জনে।
বাবা-ছেলের প্রতারণা চক্র: সম্প্রতি নিয়োগে দুর্নীতি নিয়ে রাজ্য উত্তাল। স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। দুর্নীতির অভিযোগে চাকরি গিয়েছে প্রাক্তন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর কন্যার। এরমধ্যেই সামনে এল সরকারি চাকরি দেওয়ার নামে বাবা-ছেলের প্রতারণা চক্র! তবে এই চক্রে আরও কেউ জড়িত রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। মঙ্গলবার ধৃতদের বৈকুণ্ঠপুরের বাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন চাকরিপ্রার্থীরা। এরপর খবর পেয়ে পুলিশ এসে দু’জনকে আটক করে সোনারপুর থানায় নিয়ে যায়। পুলিশ সূত্রে দাবি, ধৃতদের বাড়ি থেকে প্রচুর জাল নথি উদ্ধার হয়েছে। তারমধ্যে রয়েছে নবান্ন লেখা খামে বেশ কয়েকটি অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটার। এছাড়াও তিনটি মোবাইল এবং নগদ ২২ হাজার টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
এদিকে পুলিশ ও প্রাথমিকে চাকরি হওয়ার লোভে, দিয়েছিলেন ২৪ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা। অথচ হয়নি চাকরি। তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ তুলেছেন বীরভূমের মুরারইয়ের হিয়াতনগরে বাসিন্দা, তৃণমূলেরই একদা সক্রিয় এক কর্মী। প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন অভিযোগকারী। যদিও অভিযুক্ত আনাই শেখ বলেন, “আমি তো কিছু জানি না। আমি মুর্খ মানুষ। আমি কিছু জানি না। আমার তো চাকরি দেওয়ার ক্ষমতাই নেই। উনি তো অপহরণ কেসে জড়িত। আমি সাক্ষী দিয়েছিলাম। তাই আমায় জড়িয়ে দিচ্ছে।’’ বর্তমানে, রামপুরহাটের এসডিও অফিসে তিন জনের বিরুদ্ধে ফের অভিযোগ জানিয়েছেন এই ব্যক্তি।
আরও পড়ুন: Purulia News: কাজে পুনর্বহালের দাবি, পুরুলিয়ার হাসপাতালে অস্থায়ী স্বাস্থ্য কর্মীদের বিক্ষোভ