Cooch Behar: মাথাভাঙায় স্থানীয় ব্যক্তিকে মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে
Cooch Behar: স্থানীয় তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ উঠল কোচবিহারের মাথাভাঙায়। স্থানীয় এক ব্যক্তির বাড়িতে হামলা করে মারধরের অভিযোগ উঠল।
শুভেন্দু ভট্টাচার্য, মাথাভাঙা (কোচবিহার): স্থানীয় তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ উঠল কোচবিহারের মাথাভাঙায়। স্থানীয় এক ব্যক্তিকে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ তোলা হল। শুধু তাই নয়, ওই ব্যক্তির বাড়িতেও হামলা করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে।
রতন সরকার নামে মাথাভাঙা শহরের ১১ নম্বর ওয়ার্ডের ওই বাসিন্দার অভিযোগ তাঁর ছেলের সঙ্গে ঘটে যাওয়া এক পুরনো ঘটনাকে কেন্দ্র করেই বাড়িতে চড়াও হয় ওই ঘাসফুল নেতা। তিনি জানান, গতকাল অর্থাৎ রবিবার রাতে শাহিনুর ইসলাম নামে ওই তৃণমূল কংগ্রেস নেতা বেশ কিছু লোকজন নিয়ে তাঁর বাড়িতে চড়াও হন। রতন সরকারের আরও অভিযোগ, তাঁর বাড়িতে চড়াও হয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা হয় তাঁদের, এমনকী বাড়িতে ভাঙচুরও চালায় তারা। ঘটনার প্রতিবাদ করলে তাঁদেরও মারধর করা হয় এবং মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেছেন রতন সরকার নামক ওই স্থানীয় বাসিন্দা।
এই হামলার পর মাথাভাঙা থানায় ওই তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন রতন সরকার। যদিও এই বিষয়ে শাহিনুর ইসলামের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
অন্যদিকে গতকালও তৃণমূলের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ ওঠে পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুরে। সেখানকার নাড়াজোল গ্রামে চার বিজেপি কর্মী আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় গেরুয়া শিবির দাবি করে, তাদের কর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছে তৃণমূল। পদ্ম শিবির দাবি করেছিল, শনিবার রাতে তাদের কয়েকজন কর্মীর ওপর আচমকা লাঠিসোটা নিয়ে চড়াও হয় তৃণমূলের লোকজন। লাঠির ঘায়ে আহত হন চারজন বিজেপি কর্মী। এঁদের মধ্যে দু’জন কর্মী ঘাটাল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। বিজেপির ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা সম্পাদক রামকুমার দে জানান, 'আমাদের কর্মীদের ভয় দেখাতে, এলাকায় আতঙ্ক তৈরি করতেই এমন হামলা চালায় তৃণমূল।'
আক্রমণের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে যদিও পাল্টা পদ্মশিবিরের ঘাড়েই দোষ চাপিয়ে দিয়েছিল তৃণমূল। পশ্চিম মেদিনীপুরের বিধায়ক ও তৃণমুল কংগ্রেসের জেলা কমিটির সদস্য অজিত মাইতির বক্তব্য, 'বিজেপির লোকজন মদ্যপ অবস্থায় অসভ্যতা করছিল। আমাদের ছেলেরা তার প্রতিবাদ করলে তাদের মারধর করা হয়।'