Malda: প্রকল্প হয়নি, টাকাও 'লোপাট', মালদায় ১০০ দিনের প্রকল্পে নয়া অভিযোগ
100 Days Work:গোটা ঘটনায় জেলা শাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের বাবুপুর পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দাদের একাংশের।
করুণাময় সিংহ, মালদা: সব ঠিক থাকলে নতুন বছরেই পঞ্চায়েত ভোট। তার আগে একশো দিনের প্রকল্পের কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠল মালদায়। সম্প্রতি ১০০ দিনের প্রকল্প ঘিরে তীব্র তরজা শুরু হয়েছিল তৃণমূল-বিজেপির মধ্যে। একশো দিনের প্রকল্পে নানা দুর্নীতির অভিযোগ তুলে জনস্বার্থ মামলাও করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এই পরিস্থিতিতেই সামনে এল ওই প্রকল্পে টাকা লোপাটের অভিযোগ। অভিযোগের তির উঠেছে পঞ্চায়েত প্রধান ও কর্মীদের একাংশের বিরুদ্ধে। গোটা ঘটনায় জেলা শাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের বাবুপুর পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দাদের একাংশের। মালদার জেলাশাসক জানিয়েছেন, অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যদিও দুর্নীতির সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী।
পঞ্চায়েত ভোটের আগে দুর্নীতি ইস্যুতে তোলপাড় চলছে রাজ্য-রাজনীতিতে। কেন্দ্রীয় সরকারের নানা প্রকল্প নিয়েও শাসক-বিরোধী সংঘাতও চরমে! ঠিক এই আবহেই, ১০০ দিনের কাজে কোটি কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ উঠল মালদায়।
কাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ?
কাঠগড়ায় গাজোলের তৃণমূল পরিচালিত বাবুপুর পঞ্চায়েতের প্রধান। জেলা শাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে গ্রামবাসীরা জানাচ্ছেন, ২০২০-২১ অর্থবর্ষে, ১০০ দিনের কাজের মাধ্যমে ড্রাগন ফল ও কলা চাষের প্রকল্প নেওয়া হয়। কিন্তু তাঁদের অভিযোগ, আদৌ কোনও কাজ হয়নি। তার বদলে প্রকল্পের বরাদ্দ টাকা, পঞ্চায়েত প্রধান-সহ তৃণমূলের একাংশ আত্মসাৎ করে নিয়েছেন।
যদিও, ১০০ দিনের কাজের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন তৃণমূল পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী এবং স্থানীয় তৃণমূল নেতা ওবায়দুর হক। তিনি বলেন, 'সরকারি নিয়ম মেনে সমস্ত কাজ করা হয়েছে। টাকা আত্মসাৎ-এর অভিযোগ ভিত্তিহীন। বিরোধীরা চক্রান্ত করে বদনাম করার ষড়যন্ত্র করছে।'
বিজেপির অভিযোগ:
পদ্ম শিবিরের অভিযোগ, মালদায় সরকারি প্রকল্পে ২৩০০ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে। মালদা দক্ষিণের বিজেপির সাধারণ সম্পাদক অম্লান ভাদুড়ি বলেন, 'কেবলমাত্র বাবুপুর গ্রাম পঞ্চায়েত নয়, জেলার ১৪৬ টি গ্রাম পঞ্চায়েতে ২৩০০ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে। এই নিয়ে আমরা আদালতের দারস্থ হব।'
কী বলছে তৃণমূল:
তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী বলেন, 'দল বড় হয়েছে অনেকেই ঢুকে পড়েছে। তবে কেউ অন্যায় করলে প্রশাসন আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে দল পাশে দাঁড়াবে না।'
আরও পড়ুন: দলে থেকে কুৎসা করলে মিলবে না পঞ্চায়েতের টিকিট, হুঁশিয়ারি তৃণমূল নেতার