Anandapur: ফের শিশু বিক্রি চক্রের পর্দাফাঁস, ৩০ হাজার টাকায় নাতনিকে বিক্রির অভিযোগে গ্রেফতার দাদু ও সৎ দিদিমা-সহ মোট ৫ জন
Child Trafficking: গত অগাস্টে এই আনন্দপুরেই VF সেন্টারের আড়ালে শিশু পাচার চক্র চালানোর অভিযোগ উঠেছিল। ২২ দিনের শিশুকন্যাকে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় মা-সহ ৬ জনকে
কলকাতা: আনন্দপুরে ফের শিশু বিক্রি চক্রের পর্দাফাঁস। ৩০ হাজার টাকায় নিজের নাতনিকে বিক্রির অভিযোগে গ্রেফতার দাদু ও সৎ দিদিমা-সহ মোট ৫ জন। উদ্ধার ২৩ দিনের সদ্যোজাত। গতকাল রাতে শিশুসন্তান নিখোঁজ বলে আনন্দপুর থানায় (Anandapur Police Station) অভিযোগ দায়ের করেন মা। তদন্তে নেমে দাদু এবং সৎ দিদিমার বয়ানে অসঙ্গতি ধরা পড়ে। ধৃতদের মধ্যে দাদু ও সৎ দিদিমা ছাড়াও ৩ জন মহিলা। এদের মধ্যে ২ জন মহিলা দালাল ও পঞ্চমজন বেআইনিভাবে টাকা দিয়ে শিশুকে কিনেছিলেন। এই চক্রে আরও কেউ জড়িত থাকতে পারে বলে পুলিশের অনুমান। গত অগাস্টে এই আনন্দপুরেই VF সেন্টারের আড়ালে শিশু পাচার চক্র চালানোর অভিযোগ উঠেছিল। ২২ দিনের শিশুকন্যাকে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় মা-সহ ৬ জনকে।
দুই ঘটনার মধ্যে মাত্র চারমাসের ব্যবধান
ফের কলকাতায় শিশু বিক্রির অভিযোগ উঠল। ৪ মহিলাসহ ৫ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, শিশুর মামাবাড়িতে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করতেই সামনে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা যায়, মাত্র ৩০ হাজার টাকার নিজের নাতনিকে বিক্রি করে দিয়েছেন দাদু চুন্নু দাস ও সৎ দিদিমা অলকা সর্দার। ওই এলাকারই বাসিন্দা শিখা মুখোপাধ্যায় ও পূর্ণিমা মণ্ডল শিশু পাচার চক্রে জড়িত। টাকার বিনিময়ে তাঁরাই নিঃসন্তান দম্পতিদের হাতে তুলে দিতেন সদ্যোজাতদের। এক্ষেত্রে তাঁরাই ফাঁদ পেতেছিলেন। টাকার বিনিময়ে ২৩ দিনের শিশুকন্যাকে এই দুই মহিলাই নরেন্দ্রপুরের বাসিন্দা চৈতালি চক্রবর্তীর হাতে তুলে দেন। বুধবার অভিযোগ দায়ের হওয়ার কয়েকঘণ্টার মধ্যেই চৈতালির বাড়ি থেকে সদ্যোজাতকে উদ্ধার করে আনন্দপুর থানার পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় শিশুর দাদু, সৎ দিদিমা-সহ ৫ জনকেই।
আনন্দপুরে অভিযোগ উঠেছিল আগেও: এর আগেও আনন্দপুর থানা এলাকায় শিশু পাচারের অভিযোগ ওঠে। গত ১ অগাস্ট ২২ দিনের শিশুকন্যার নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় মা-সহ ৬ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তদন্তে জানা যায়, পূর্ব মেদিনীপুরের বাসিন্দা নিঃসন্তান দম্পতি কলকাতার একটি IVF সেন্টারের দ্বারস্থ হন। IVF সেন্টারের এক মহিলা কর্মী তাঁদের বলেন, ৪-সাড়ে ৪ লক্ষ টাকা খরচ করলেই তাঁরা সন্তান পেতে পারেন। তবে, সন্তানের জন্ম না হওয়া পর্যন্ত অন্যত্র বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতে হবে।
বাড়ি তাঁরাই ঠিক করে দেবেন। সন্তান-সুখ পেতে মরিয়া দম্পতি প্রস্তাবে রাজিও হয়ে যান। ওই ঘটনায় সামনে এসেছিল IVF সেন্টার-যোগ। এক্ষেত্রেও কোনও বড় চক্র থাকতে পারে বলে পুলিশের অনুমান।