Murder News: মাথায় আঘাতের চিহ্ন, লোহার ছাঁটের গুদাম থেকে উদ্ধার অটো চালক যুবকের দেহ
পরিবারের দাবি, পেশায় অটোচালক ওই ব্যক্তি গতকাল রাতে বাড়ি ফেরেননি। আজ সকালে বাড়ির কাছেই লোহার ছাঁটের গুদামে তাঁর দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়।
কলকাতা: আনন্দপুরে (Anandapur) যুবক খুন। বাড়ির কাছে রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার। মৃতের নাম বিশ্বজিৎ জানা। পরিবারের দাবি, পেশায় অটোচালক ওই ব্যক্তি গতকাল রাতে বাড়ি ফেরেননি। আজ সকালে বাড়ির কাছেই লোহার ছাঁটের গুদামে তাঁর দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে আনন্দপুর থানার (Anandapur Police Station) পুলিশ জানিয়েছে। খুনের (Murder) কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা। দোষীদের গ্রেফতারির (Assrest) দাবিতে দেহ আটকে স্থানীয়দের বিক্ষোভ।
পুলিশ সূত্রে খবর আনন্দপুরে যুবককে পাথর দিয়ে থেঁতলে খুন করা হয়েছে। মদের আসরে খুন বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান পুলিশের। মৃতদেহ আটকে পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা। পরে মদের ঠেক ভাঙচুর করা হয়। মৃতের নাম বিশ্বজিৎ জানা। পরিবারের দাবি, পেশায় অটোচালক বছর ছত্রিশের বিশ্বজিৎ গতকাল রাতে বাড়ি ফেরেননি। আজ সকালে বাড়ির কাছেই লোহার ছাঁটের গুদামে তাঁর দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। স্থানীয়দের অভিযোগ, এলাকায় প্রায়ই মদের আসর বসে। অসামাজিক কাজকর্মও হয়। তার জেরেই খুন কিনা, খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
গত ২৬ ডিসেম্বর ছুটির দিনে ভরদুপুরে বহুতল থেকে উদ্ধার জোড়া দেহ (Dead Bodies) ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায় হাওড়ার চ্যাটার্জিহাট (Howrah Murder) এলাকায়। মৃত দম্পতি ওই বহুতল আবাসনে ভাড়া থাকতেন বলে জানা যায়। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, স্ত্রীর ফেসবুক আসক্তি নিয়ে বিরক্ত ছিলেন গৃহকর্তা। তা নিয়ে অশান্তি লেগেই থাকত। তবে এটি আত্মহত্যার ঘটনা নাকি খুনের, তা খতিয়ে দেখতে শুরু করে পুলিশ।
হাওড়ার চ্যাটার্জিহাট এলাকার নন্দলাল মুখার্জি লেনের ঘটনা। রবিবার দুপুরে সেখানকার একটি বহুতল আবাসনের নীচের তলার ঘর থেকে গৌতম মাইতি এবং মৌসুমী মাইতি নামের ওই দম্পতির দেহ উদ্ধার হয়। আঁকার ক্লাস থেকে ফিরে ঘরের দরজা বন্ধ পায় মৃত দম্পতির দুই মেয়ে। ডাকাডাকি করে সাড়া না মেলায় প্রতিবেশিদের কাছে ছুটে যায় তারা।
দুই মেয়ের চেঁচামেচি এবং কান্নাকাটি শুনে ছুটে আসেন আশেপাশের মানুষও। ভিতর থেকে বন্ধ থাকায় দরজা ভেঙে ভিতরে ঢোকেন তাঁরা। তাতেই ঘরের মধ্যে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় গৃহকর্তার নিথর দেহ দেখতে পান। মেঝেয় চাদরে মোড়া অবস্থায় পড়ে ছিল স্ত্রীর দেহ।
গত ১ জানুয়ারি বৃদ্ধার পোকাধরা দেহাংশ উদ্ধার হয় কল্যাণীতে। সেখানে মায়ের মৃতদেহ ঘরে আটকে রাখার অভিযোগ ওঠে ছেলের বিরুদ্ধে। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রায় এক মাস আগেই মারা যান বৃদ্ধা। সেই থেকে ঘরে দেহটি ফেলে রেখেছিলেন তাঁর ছেলে। অভিযুক্ত যদি এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি। তাঁকে আটক করে পুলিশ। কী কারণে মৃতদেহ ঘরে ফেলে রাখা হয়েছিল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
কল্যাণী এ ব্লকের ঘটনা। অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম সঞ্জয় পাল। কলের পাইপ লাগানোর কাজ করেন তিনি। প্রায় এক বছর আগে অসুস্থ মাকে নিয়ে ওই এলাকার একটি বাড়িতে ভাড়ায় ওঠেন তিনি। প্রতিদিন ঘরে তালা ঝুলিয়ে কাজে বেরিয়ে যেতেন ওই ব্যক্তি। কাজ সেরে ফিরে আসতেন বাড়ি।
তবে ওই ব্যক্তি নিয়মিত বাইরে বেরোলেও, তাঁর মাকে খুব একটা দেখা যেত না। বয়সের ভার এবং অসুস্থতার জেরেই বৃদ্ধা বাইরে বেরোন না বলে জানতেন এলাকাবাসী। কিন্তু সম্প্রতি একেবারেই ওই বৃদ্ধার দেখা মিলছিল না। তা নিয়ে প্রশ্ন করলে, স্থানীয়দের অভিযুক্ত জানান, একেবারেই হাঁটতে পারছেন না বৃদ্ধা। প্রচণ্ড অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। বার বার জিজ্ঞেস করলে অভিযুক্ত প্রশ্ন এড়িয়েও যেতেন বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।