Andal : ‘দুয়ারে রেশন’ কেন দুয়ারে নয় ? রেশন দোকানে ক্ষোভে ফেটে পড়লেন গ্রাহকরা
অন্ডালে রেশন দুয়ারে না পৌঁছনোয় ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা। বিক্ষোভে বন্ধ হল দোকান।
মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, পশ্চিম বর্ধমান : ‘দুয়ারে রেশন’ । গ্রাহকদের ঘরের কাছে রেশন পৌঁছ দিতে শুরু হয়েছে এই পাইলট প্রজেক্ট। রাজ্য সরকারের এই প্রকল্প ঘিরেই দুই ছবি পশ্চিম বর্ধমানের পাশাপাশি দুই জায়গায়।
অন্ডালে বিক্ষোভ দেখালেন গ্রাহকরা, অন্য দিকে, দুর্গাপুরে প্রকল্পের কাজ হল শান্তিপূর্ণভাবে। অন্ডালের দক্ষিণখণ্ড গ্রামে দুয়ারে রেশন পাইলট প্রজেক্ট-এ অনিয়মের অভিযোগ তোলেন গ্রাহকরা। তাঁদের দাবি, রেশন ডিলার জানিয়েছেন, রেশন নিতে হবে দোকানে গিয়ে। তার জেরে রবিবার রেশন দোকানে ক্ষোভে ফেটে পড়েন গ্রাহকরা।
অভিযোগ রেশন ডিলার মহাদেব মুখোপাধ্য়ায় জানিয়ে দেন, রেশন সামগ্রী নিতে হবে দোকান থেকেই, তাদের পক্ষে বাড়ি বাড়ি দেওয়া সম্ভব নয় । ক্ষোভ তৈরি হয় গ্রাহকদের মধ্যে। এরপর ীরে ধীরে দোকানে ভিড় জমাতে থাকেন গ্রাহকেরা । ডিলারের সঙ্গে গ্রাহকদের তুমুল বচসা বেঁধে যায় । এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
ডিলারের সঙ্গে বচসাও বেধে যায় গ্রাহকদের। অন্ডালের এক রেশন গ্রাহক উদয় হাজরা জানান, 'ডিলার বলেছে বাড়িতে রেশন পৌঁছবে না। দোকানে এসে নিতে হবে। প্রশাসনকে জানিয়েছি'
এ নিয়ে উত্তেজনা ছড়ালে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। মঙ্গলবার পর্যন্ত বন্ধ করে দেওয়া হয় রেশন দোকান। অন্যদিকে আবার অন্ডাল পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ স্বপন হাজরা জানান, ' বাড়ি বাড়ি রেশন দেওযার কথা। ডিলার সে সব মানছেন না। আমরা প্রশাসনকে বলেছি। এমনটা চলতে পারে না। মঙ্গলবার পর্যন্ত দোকান বন্ধ করতে বলা হয়েছে'
অভিযুক্ত রেশন ডিলার মহাদেব মুখোপাধ্যায়ের দাবি, 'পুজোর মুখে লোক কোথায়, বাড়ি বাড়ি রেশন দেব। তাছাড়া দুয়ারে রেশন পৌঁছতে গেলে, দোকান দেখবে কে? আমি সমস্যার কথা জানিয়েছি।'
এ বিষয়ে অন্ডালের বিডিও জানান, রেশন ডিলারের সঙ্গে কথা বলেছেন। মঙ্গলবার রেশন দোকানে গিয়ে ইনস্পেকশন করবেন। ডিলারের দোষ প্রমাণিত হলে প্রয়োজনে লাইসেন্স বাতিল করা হবে।
অন্যদিকে আবার দুর্গাপুরে করোনা ঠেকাতে রেশনের লাইনে বিলি হল মাস্ক।