JU Student Death: ঘণ্টাতিনেক জিজ্ঞাসাবাদের পর যাদবপুর কাণ্ডে গ্রেফতার আরও ৩, মোট ধৃত ১২
3 More Arrested:যাদবপুর কাণ্ডে গ্রেফতার আরও ৩। প্রাক্তনী ও পড়ুয়া মিলিয়ে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১২ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। এদিন আরও ৩ জনকে নোটিস পাঠিয়ে জিজ্ঞাসাবদ করা হচ্ছিল।
কলকাতা: যাদবপুর কাণ্ডে (Jadavpur University)গ্রেফতার আরও ৩। প্রাক্তনী ও পড়ুয়া মিলিয়ে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১২ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। এদিন আরও ৩ জনকে নোটিস পাঠিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ (Questioning) করা হচ্ছিল। ঘণ্টাতিনেক জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁদের গ্রেফতার (Arrest) করা হয়েছে বলে খবর। ধৃতদের মধ্যে ১ জন বর্তমান পড়ুয়া। বাকি ২ জন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী।
যা জানা গেল...
ধৃত ২ প্রাক্তনীর নাম শেখ নাসিম আখতার এবং হিমাংশু কর্মকার। ধৃত তৃতীয় জন বর্তমান পড়ুয়া। নাম সত্যব্রত রাই। নাসিম আখতার রসায়নে স্নাতকোত্তর করেছেন। হিমাংশু স্নাতকোত্তর করেছিলেন গণিতে। আর সত্যব্রত রাই লেখাপড়া করছেন কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগে। তিনি চতুর্থ বর্ষের পড়ুয়া। গত ৯ অগাস্ট, অর্থাৎ ঘটনার দিন, ৩ জনেই ঘটনাস্থলে ছিলেন বলে দাবি পুলিশের। ছাত্রমৃত্যুর পর ২জন বাড়ি চলে যান, ১জন হস্টেলেই ছিলেন বলে প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে। সব মিলিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় গ্রেফতারের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১২।
আর যা...
গ্রেফতারির আগে, এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই ২ জন প্রাক্তনী ও ১ বর্তমান পড়ুয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। সূত্রের খবর, তিন জনকেই নোটিস পাঠিয়ে তলব করা হয়েছিল। তার পর যাদবপুর থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। প্রাথমিক তদন্তে আরও যা উঠে এসেছে, তা চমকে ওঠার মতো। ওই পড়ুয়ার মৃত্যুর পর হস্টেল লাগোয়া মাঠে প্রথম জিবি মিটিং হয়েছিল, জানতে পেরেছে পুলিশ। ছাত্রমৃত্যু নিয়ে পুলিশকে কী বলতে হবে, তা শেখাতে খোলা মাঠেই ক্লাস নেওয়া হয়! এখনও পর্যন্ত যে ৯ জনকে ধরা হয়েছে, তাঁরাও ওই জিবি মিটিংয়ে ছিলেন, দাবি পুলিশ সূত্রে। ছাত্রমৃত্যুর ঘটনার সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত ছিলেন তাঁরা, আরও দাবি তদন্তকারীদের। হস্টেলে পুলিশ ঢুকতে না দেওয়ার নেপথ্যেও হাত রয়েছে তাঁদের, এমনই ধারণা পুলিশের। কিন্তু ঠিক কী ঘটেছিল সে দিন? পরিচয় পর্বের নামে কী ভাবে হেনস্থা করা হয় ছাত্রকে? ভিডিও উদ্ধারের জন্য ধৃতদের মোবাইল ফোনের ফরেন্সিক রিপোর্টের অপেক্ষায় পুলিশ। পাশাপাশি এদিন থেকেই, পাজল গেমের মতো ঘটনাক্রম সাজাতে পুনর্নির্মাণের প্রক্রিয়া শুরু করেছেন তদন্তকারীরা। সূত্রের খবর, অভিযুক্তদের প্রত্যেককে পৃথক পৃথকভাবে মেন হস্টেলে নিয়ে গিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করতে চায় পুলিশ।
আরও পড়ুন:হয়তো আপনার নামেই ব্যাঙ্কে জমে মোটা টাকা! এবার এক ক্লিকেই খোঁজ