Anubrata Mondal: ‘খেলা হবে…মেরা জবান হি মেরা শাসন হ্য়ায়’, চেনা মেজাজে ফিরলেন অনুব্রত, বার্তা কি দলকেও?
Birbhum News: ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে এখনও একবছর বাকি।

ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বোলপুর: তিহাড় থেকে ফিরে এসেছেন আগেই। কিন্তু আগের মতো ঝাঁঝ এতদিন পাচ্ছিলেন না অনুগামীরা। তাঁদের নিরাশ করলেন না বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। বিধানসভা নির্বাচনের একবছর আগে ফের 'খেলা হবে' স্লোগান তুললেন তিনি। অনুগামীদের মতে, একটু সমঝে চলছেন বটে। কিন্তু মেজাজ যে আগের মতোই, তা বুঝিয়ে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের স্নেহধন্য কেষ্ট। (Anubrata Mondal)
২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে এখনও একবছর বাকি। কোনও ঘোষণা হয়নি এখনও পর্যন্ত। কিন্তু তার আগে ক্রমশ উত্তাপ বাড়ছে রাজ্য রাজনীতিতে। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে প্রায় ২৬ হাজার চাকরি চলে গিয়েছে। সেই নিয়ে শাসকদল তৃণমূলকে একযোগে নিশানা করে চলেছেন বিরোধীরা। এমনকি শাসকদলের ভূমিকা নিয়ে সরব চাকরিপ্রার্থী থেকে সাধারণ মানুষ। (Birbhum News)
এমন পরিস্থিতিতে শাসকদলের নেতা-নেত্রীরা কিছুটা হলেও ব্যাকফুটে বলে যখন মনে করছে রাজনৈতিক মহল, ঠিক সেই সময়ই বীরভূম থেকে 'খেলা হবে' রব তুললেন অনুব্রত। বোলপুরের মিস্ত্রি পাড়ায় 'আর্য সংঘ ক্লাব'-এর তরফে একটি ক্রিকেট টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হয়। সেখানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অনুব্রত। খেলার উদ্বোধনই নয় শুধু। হ্যাট হাতে ক্রিজেও দেখা যায় তাঁকে।
আর ক্রিকেট খেলার মাঠ থেকেই রাজনৈতিক মেজাজ বুঝিয়ে দিলেন অনুব্রত। তাঁর কথায়, "আমি খেলাধূলা পছন্দ করি। নিজে খেলতেও ভালবাসি।" আর তার পরই অনুব্রতর সংযোজন, "খেলা শুরু হল। মেরা জবান হি, মেরা শাসন হ্যায়।" বহুদিন পর অনুব্রতকে পুরনো মেজাজে পেয়ে তখন উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়ছেন অনুরাগীরা। মাঠ জুড়ে হাততালি, চিৎকার।
তবে শুধুমাত্র বিরোধীদের উদ্দেশে অনুব্রত এই মন্তব্য করেননি বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। কারণ আগামী বছর বিধানসভা নির্বাচনে বীরভূমে তৃণমূলের রাশ কার হাতে থাকবে, সেই নিয়ে টানাপোড়েন চলছে। অনুব্রতর সঙ্গে কাজল শেখের দ্বন্দ্ব নতুন নয়। তাই অনুব্রতর হাতে সম্পূর্ণ রাশ থাকবে, না কি দলে অন্য কাউকে দায়িত্ব পাবে, মুখে মুখে ফিরছে এই প্রশ্ন। দলীয় নেতৃত্ব সংগঠনেও রদবদল ঘটাতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছে। সেই আবহে অনুব্রতর মুখে 'মেরা জবান হি মেরা শাসন হ্যায়' মন্তব্য় যথেষ্ট ইঙ্গিতপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। তাঁদের মতে, তাঁর কথাই যে শেষ, তাঁর কথাতেই যে বীরভূম চলবে, সেটাই বোঝাতে চেয়েছেন অনুব্রত।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
