Anubrata Mondal Viral Audio: 'ফোন করেননি অনুব্রত,' এবার AI-এর তত্ত্ব কেষ্ট ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতার
Viral Audio Controversy: IC-কে কুকথা, ক্ষমা চেয়েও হাজিরা এড়ালেন কেষ্ট। অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে গেলেন না SDPO অফিসে।

পার্থ প্রতিম ঘোষ, বোলপুর: ডেডলাইন পার, এখনও হাজিরা দিলেন না কেষ্ট। এরইমধ্যে এবার AI-এর তত্ত্ব খাড়া করলেন কেষ্ট ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতা। তাঁর অভিযোগ, AI-এর মাধ্যমে অডিও তৈরি করা হয়েছে। নেপথ্যে রয়েছে বিজেপি।
IC-কে কদর্য কথার অভিযোগে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে পরপর দুবার পুলিশ তলব করেছে। পুলিশের তলব এড়িয়ে গতকাল পার্টি অফিসে হাজির ছিলেন অনুব্রত। সূত্রের খবর, অসুস্থতার কথা বলে হাজিরা এড়িয়ে যান কেষ্ট। দুটি জামিন অযোগ্য ধারা-সহ মোট ৪টি ধারায় মামলা। খবর সূত্রের, গতকালের পর আজ ফের অনুব্রত মণ্ডলকে তলব করা হয়। সকাল ১১টায় বোলপুরের এসডিপিও অফিসে তলব করা হয় কেষ্টকে। কিন্তু ডেডলাইন পেরিয়ে গেলেও পুলিশের দ্বিতীয় সমনে হাজিরা দেননি অনুব্রত। এরইমধ্যে SDPO অফিসে হাজির হন কেষ্ট ঘনিষ্ঠ এক তৃণমূল নেতা ও আইনজীবী। মেডিক্যাল সার্টিফিকেট নিয়ে হাজির হন অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবী। এদিকে অনুব্রত কদর্য আক্রমণের কথা মেনে নিলেও AI-এর তত্ত্ব খাঁড়া করেছেন কেষ্ট ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতা। পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল কংগ্রেস শিক্ষা বন্ধু সমিতির সভাপতি তথা তৃণমূল নেতা গগন সরকারের দাবি, "অনুব্রত অসুস্থ, বাড়িতে শুয়ে আছেন। কোনও কল করেননি অনুব্রত। AI-এর মাধ্যমে করা হয়েছে।''
পুলিশ আধিকারিককে গালিগালাজ-হুমকি। অনুব্রত মণ্ডলের এহেন আচরণে নিন্দার ঝড় সর্বত্র। দুটো চিঠি লিখে দায়সারাভাবে ক্ষমা চেয়েছেন কেষ্ট। শনিবার পুলিশের তলবে হাজিরাও দেননি তৃণমূল নেতা। আর এতেই একের পর এক প্রশ্ন তুলছেন বিরোধীরা। এতবড় ঘটনায় এই কয়েক লাইনের ক্ষমাপ্রার্থনা কি যথেষ্ট? দলের তরফে কেন কোনও কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হল না? অনুব্রত মণ্ডল আদৌ কি নিজের কাজের জন্য অনুতপ্ত? নাকি পুরোটাই আইওয়াশ? দলের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতাকে রেহাই দিতেই কি ক্ষমা চাওয়ার সুযোগ করে দিল তৃণমূল? এত বড় ঘটনার পর এই কয়েক লাইনের ক্ষমাপ্রার্থনা কি যথেষ্ট? বিরোধীদের প্রশ্ন, দলের তরফে কেন কোনও কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হল না? কী করছে তৃণমূলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি? নাকি এই ঘটনায় শৃঙ্খলাভঙ্গ হয়েছে বলে তাঁরা মনেই করেন না?
পুলিশ অফিসারকে কদর্য ভাষায় গালাগালির এই অডিও সামনে আসতেই পুরনো প্রসঙ্গ টেনে সরব হয়েছেন বিজেপি নেতা। ২০১৯ সালে অনুব্রতকে গালিগালাজ ও হুমকির অভিযোগে গুসকরা শহর তৃণমূল কংগ্রেসের তৎকালীন সভাপতি নিত্যানন্দ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁর দাবি, অনুব্রত ২০ লক্ষ টাকা ধার নেন। পরে টাকা চাইলেই গালিগালিজ ও হুমকির অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। তৎকালীন তৃণমূল নেতার দাবি, জেল থেকে ছাড়া পেয়ে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বকে চিঠি দিয়েও উত্তর মেলেনি। এর পর তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন নিত্যানন্দ। বিজেপি নেতার প্রশ্ন, এবার একই অভিযোগে কেন অনুব্রতকে গ্রেফতার নয়।






















