Ballygunge Science College: অধ্যাপিকা-পড়ুয়াদের আটকে দরজায় তালা, বালিগঞ্জ সায়েন্স কলেজে TMCP নেতার 'দাদাগিরি'
Kolkata News: কসবাকাণ্ড সামনে আসতেই একাধিক কলেজে TMCP-র অতিসক্রিয়তার ছবি সামনে এসেছে। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ বালিগঞ্জ সায়েন্স কলেজ।

সুকান্ত মুখোপাধ্যায়, কলকাতা: কসবাকাণ্ডের মধ্যেই বালিগঞ্জ সায়েন্স কলেজে TMCP নেতার 'দাদাগিরির অভিযোগ। অধ্যাপিকা-পড়ুয়াদের আটকে ভুগোল বিভাগের দরজায় তালা দেওয়ার অভিযোগ TMCP নেতা সজল মণ্ডলের বিরুদ্ধে। অভিযোগ অধ্যাপক-শাসিয়েছন ওই বিভাগের রিসার্চ স্কলারের সজল মণ্ডল।
কসবাকাণ্ড সামনে আসতেই একাধিক কলেজে TMCP-র অতিসক্রিয়তার ছবি সামনে এসেছে। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ বালিগঞ্জ সায়েন্স কলেজ। গতকাল ভুগোলের স্নাতকোত্তর বিভাগের ফাইনাল সিমেস্টারের ফর্ম ফিলআপ ছিল। ৪০জন পড়ুয়াকে ফর্ম ফিলআপ করতে না দেওয়ার অভিযোগে বিক্ষোভ দেখান সজল মণ্ডলরা। TMCP নেতার নেতৃত্বে প্রায় দু ঘণ্টা বিভাগীয় প্রধানের অফিসে তালা দিয়ে বিক্ষোভ দেখানো হয় বলে অভিযোগ। চাবি ছিনতাই করে গেটে তালা দিয়ে সজল মণ্ডলের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখানোর অভিযোগ উঠেছে। বিভাগীয় প্রধান জানিয়েছেন, জুন মাসে ছাত্রদের অভিযোগ, কী সমস্যা, বারবার ডেকেও সাড়া না পাওয়া যায়নি। কেন এহেন আচরণ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়।
বালিগঞ্জ সায়েন্স কলেজে ভুগোল বিভাগের মূল দরজা এবং বিভাগীয় প্রধানের অফিসও তালা দিয়ে আটকে রাখার অভিযোগ। বুধবার বিকেল ৪টে থেকে ৬টা পর্যন্ত প্রায় দু ঘণ্টা বিভাগীয় প্রধানকে আটকে রাখা হয়। ভুগোলের স্নাতকোত্তর বিভাগের ফাইনাল সিমেস্টারের ফর্ম ফিলআপ করতে যান ১৫০ জন্যে এর মধ্যে ৪০ জনের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয় কর্তৃপক্ষের তরফে। ১৩ জুন এই ৪০ জন একজন অধ্যাপকের বিরুদ্ধে নালিশ করেন রেজিস্ট্রারের কাছে। যে বিষয় সম্পর্কে তাঁরা বিভাগীয় প্রধানকে জানাননি বলে জানা গিয়েছে। এরপর বারবার বিভাগীয় প্রধান এবং রেজিস্ট্রারের তরফে সংশ্লিষ্টদের কাছে জানতে চাওয়া হয় কখন শিক্ষকের বিরুদ্ধে তাঁদের নালিশ। কিন্তু ওই ৪০ জন তা রেজিস্ট্রারকে স্পষ্ট করে বলেননি। এরপরই সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। তার ফলস্বরূপ গতকাল তাঁরা ফর্ম ফিলাপ করতে গেলে বারণ করা হয়। ওই ৪০ জন সজল মণ্ডলকে ডাকেন। যিনি ভুগোল বিভাগের রিসার্চ স্কলার এবং TMCP নেতা। ওই ৪০ জনকে সঙ্গে নিয়ে রীতিমতো চাবি ছিনতাই করে প্রথমে ভুগোল বিভাগে তালা লাগিয়ে দেন সজল মণ্ডল। সেখানে নিজেও উপস্থিত ছিলেন বিভাগীয় প্রধান সুমনা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাইরে এসে বিভাগের কলাপসেবল গেটের তালা দিয়ে দেন। ভেতরে আটকে ছিলেন বিভাগীয় প্রধান এবং অন্যান্য পড়ুয়ারা। অবশেষে সচিব এসে তালা খুলে তাঁদের মুক্ত করেন। সজল মণ্ডল সহ ৪০ জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চলেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। রিপোর্ট তলব করেছে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ও।






















