Bangladesh MP Murder: বাংলাদেশ সাংসদ খুনে হানিট্র্যাপ যোগ? বান্ধবীকে নিয়েই ফাঁদ তৈরি করেছিলেন আখতারউজ্জামান!
Bangladesh MP Murder Mystery: এক বাংলাদেশে মার্কিন নাগরিকের নির্দেশে এই হত্যাকাণ্ডটি ঘটিয়েছেন তিনি। আখতারউজ্জামানই ঘটনার মাস্টারমাইন্ড। সূত্রের দাবি, নিহত বাংলাদেশের সাংসদের বন্ধু এই আখতারউজ্জামান।
কলকাতা: নিউটাউনের (Newtown) ফ্ল্যাটে বাংলাদেশের সাংসদ (Bangladesh MP) খুনে হানিট্র্যাপ? এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য এবার সামনে এসেছে। খুনের পর চামড়া ছাড়িয়ে টুকরো টুকরো করে কাটা হয় দেহ। সেইজন্য মুম্বই থেকে আনা হয় কসাই। নিউটাউনে বাংলাদেশের (Bangladesh) সাংসদ খুনের তদন্তে নেমে চাঞ্চল্যকর দাবি, সিআইডির। ভারতে বাংলাদেশের সাংসদ খুনের ঘটনায় উঠে এসেছে আমেরিকা যোগও। সিআইডি (CID) সূত্রে দাবি গ্রেফতার করা কসাইকে জেরা করে জানা গিয়েছে যে আখতারউজ্জামান নামে এক বাংলাদেশে মার্কিন নাগরিকের নির্দেশে এই হত্যাকাণ্ডটি ঘটিয়েছেন তিনি। আখতারউজ্জামানই ঘটনার মাস্টারমাইন্ড। সূত্রের দাবি, নিহত বাংলাদেশের সাংসদের বন্ধু এই আখতারউজ্জামান। কিন্তু কেন বন্ধু বন্ধুকে এভাবে খুন করালেন।
জানা গিয়েছে, বছর খানেক আগে রাজারহাট মেন রোডের একটি অভিজাত আবাসনে ফ্ল্যাট ভাড়া নেন এই আখতারউজ্জামান। মাঝে মাঝেই এই ফ্ল্য়াটে আসতেন আখতারউজ্জামান। সিআইডি সূত্রে খবর, প্রথমদিকে এই ফ্ল্যাটে রাখা হয়েছিল কসাই জুবেরকে। এই খুনের ঘটনার তদন্ত করতে গিয়েই উঠে এসেছে হানিট্র্যাপের প্রসঙ্গ। খুনে জড়িত থাকার অভিযোগে বাংলাদেশের তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছেন শিলাস্তি রহমন নামে এক মহিলা। বাংলাদেশের সংবাদসূত্রের খবর, শিলাস্তি আমেরিকা নিবাসী আখতারউজ্জামানের বান্ধবী। বাংলাদেশের সাংসদকে কলকাতায় আনতে এই মহিলাকেই ফাঁদ হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছিল। আপাতত শিলাস্তিকে হেফাজতে নিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। এদিকে, কলকাতায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে এক ক্যাব চালককে। দেহ লোপাট করতে তাঁর সাহায্য নেওয়া হয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, মুম্বই থেকে ওই কসাইকে এনে নিউটাউনের ফ্ল্যাটে নারকীয়ভাবে খুন করা হয় আওয়ামি লিগের সাংসদকে। প্রথমে ক্লোরোফর্ম ব্যবহার করে অজ্ঞান করা হয় আনোয়ার-উল-আজিমকে। তারপর মুখে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়। মৃত্যু নিশ্চিত করার পর, পরিচয় ও প্রমাণ লোপাটের জন্য শরীর থেকে চামড়া ছাড়িয়ে নেয় জুবের। মৃতদেহ লোপাটের উদ্দেশ্যে টুকরো টুকরো করে কাটা হয় হাড় ও মাংস। সেগুলি ভরা হয় বিভিন্ন প্যাকেটে। সেই প্যাকটগুলি ভরা হয় একটি ব্রিফকেস ও একটি ট্রলিব্যাগে। গভীর রাতে দেহাংশের প্যাকেট ফেলা হয় ভাঙড়ের পোলেরহাট এলাকার জলাশয়ে। সিআইডি সূত্রে খবর, দেহাংশ ফেলার পর ব্যাগ ২টি ফেলা হয় অন্য জায়গায়। কিন্তু কী কারণে এমন নৃসংশভাবে খুন করা হল ঝিনাইদহের সাংসদকে? সে বিষয়ে এখনও ধন্দে সিআইডি। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, গত ১২ মে চিকিৎসার জন্য কলকাতায় আসেন বাংলাদেশের সাংসদ। বাংলাদেশ থেকে এসে প্রথমে তিনি ওঠেন বরানগরে এক বন্ধুর বাড়িতে। সেখানে থেকে পরের দিন তিনি যান নিউটাউনের অভিজাত আবাসনে। ওইদিনই সাংসদের আবাসনে যায় জুবের। তারপরই ঘটে নারকীয় হত্যাকাণ্ড।