Bangladesh News: বাংলাদেশে নৃশংস মারে ICU-তে চিন্ময়কৃষ্ণের আইনজীবী ! দাদাকে বাঁচাতে দেশের বাইরে নিতে চান বোন, কিন্তু..
Chinmay Krishnas Advocate Romen Roy in ICU: বাংলাদেশে সন্ন্য়াসী চিন্ময়কৃষ্ণকে আইনি সহায়তা দিতে গিয়ে আক্রান্ত আইনজীবী রমেন রায়, এই মুহূর্তে তিনি হাসপাতালের ICU-তে, মুখ খুললেন এবার তাঁর বোন
সমীরণ পাল, কলকাতা: বাংলাদেশে সন্ন্য়াসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে আইনি সহায়তা দিতে চাওয়ায়, মৌলবাদীদের আক্রমণের মুখে পড়েছিলেন আইনজীবী রমেন রায়, EXCLUSIVE সাক্ষাৎকার দিলেন আইনজীবী রমেন রায়ের বোন। দাদাকে বাঁচাতে বাংলাদেশের বাইরে অন্য়ত্র নিয়ে যেতে চান তাঁরা। বাংলাদেশে সন্ন্য়াসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে আইনি সহায়তা দিতে চাওয়ায়, মৌলবাদীদের আক্রমণের মুখে পড়েছিলেন আইনজীবী রমেন রায়। নৃশংস মারধরে গুরুতর আহত এই আইনজীবী, এখন হাসপাতালের ICU-তে মৃত্য়ুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। সেই হাসপাতাল থেকেই, এবার এবিপি আনন্দকে EXCLUSIVE সাক্ষাৎকার দিলেন আইনজীবী রমেন রায়ের বোন। দাদাকে বাঁচাতে বাংলাদেশের বাইরে অন্য়ত্র নিয়ে যেতে চান তাঁরা।
অপরাধ হিন্দু হওয়া! হিন্দুদের অধিকারের জন্য় সোচ্চার হওয়া। অপরাধ, সন্ন্য়াসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের হয়ে আদালতে সওয়ালের তোড়জোড় করা!আর তাই চিন্ময়কৃষ্ণের শুনানির ঠিক আগে চট্টগ্রামের আইনজীবী রমেন্দ্রনাথ রায়কে এভাবেই পিটিয়ে আধমরা করে ফেলে দিয়েছিল বাংলাদেশের কট্টরপন্থী মৌলবাদীরা! সেদিন থেকে আজ অবধি মৃত্য়ুর সঙ্গে লড়াই করে চলেছেন এই আইনজীবী!দিনে দিনে শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটছে। বাংলাদেশ থেকে এবিপি আনন্দকে দেওয়া এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে সেই অভিশপ্ত দিনের কথা জানিয়েছেন আইনজীবী রমেন রায়ের বোন।
আক্রান্ত আইনজীবী রমেন্দ্রনাথ রায়ের বোন চন্দ্রা রায় বলেন, প্রথমে অনেক গণধোলাই দিয়েছে কয়েকজন মিলে। তারপরে চরমভাবে লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করা হয়েছে। আঘাতে মাথার খুলিটা বের করে রাখতে হয়েছে। জেলবন্দি চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের মুক্তির দাবিতে শাহবাগে যে প্রতিবাদ জমায়েতের ডাক দেওয়া হয়েছিল, সেখানে হাজির হয়েছিলেন বছর ৪৮-এর আইনজীবী রমেন্দ্রনাথ রায়ও। সেই জমায়েতে বর্বরোচিত হামলা চালানো হয়।
ভাইরাল ভিডিওতেই দেখা যাচ্ছে, কীভাবে লাঠি নিয়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে মৌলবাদীরা। প্রতিবাদ জমায়েতে হামলা এখানেই বীভৎস মারধর করা হয় আইনজীবী রমেন রায়কে। খুলি ফেটে যায়। তারপর থেকে আর জ্ঞান ফেরেনি। ভর্তি রয়েছেন ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে। চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের মুক্তির দাবিতে তিনি আন্দোলন করছিলেন এবং সেই সময় তিনি আক্রান্ত হয়েছিলেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকার বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।ভিডিও কলের মাধ্য়মে আইনজীবী রমেন্দ্রবাথ রায়ের পরিজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলাম আমরা। সেদিনের ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে রীতিমতো শিউরে উঠছেন তাঁর বোন।
আক্রান্ত আইনজীবী রমেন্দ্রনাথ রায়ের বোন চন্দ্রা রায় বলেন, চিন্ময় প্রভু যেদি গ্রেফতার হয়েছে, সেদিন শাহবাগে গেছিল। মুক্তির আন্দোলন হচ্ছিল। একটা ভিডিও পেয়েছিলাম, তাতে দেখেছিলাম, লাঠি দিয়ে বাড়ি মেরেছিল। মাথার একসাইডে খুলিটা খুলে রাখা হয়েছে। এটা মেজর। আর সারা শরীরে তো আছে অনেক। মাথার আঘাতটাই সবথেকে বেশি। যা আমাদের পরিবারের ওপর দিয়ে যাচ্ছে, আমরা জানি না আমরা, পরিবারের আরও সবাই, বেঁচে থাকব কিনা। প্রাণ থেকেও যেন নেই। হাসপাতালের বেডে পড়ে রয়েছে শরীরটা। কিন্তু কোনও সার নেই।
আক্রান্ত আইনজীবী রমেন্দ্রনাথ রায়ের বোন চন্দ্রা রায় আরও বলেন, 'সরকার থেকে আমাদেরকে যোগাযোগ করেছিল। সহযোগিতা করবেন। পরবর্তীতে আর যোগাযোগ করেননি। পরবর্তীতে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছিলাম। ফোন রিসিভ করেনি। অর্থনৈতিক কোনও সহযোগিতা পাইনি। আজকে কতদিন হল ICU-তে সেই অবস্থায় পড়ে আছে। অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে আছে। বাংলাদেশের প্রাইভেট একটা হাসপাতাল, সেখানে প্রতিদিন অনেক কস্টলি, বাংলাদেশের প্রায় ১ লাখ টাকার ওপরে যাচ্ছে। এখন ওঁর যেটা চিকিৎসা প্রয়োজন, উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন। সেটা এদেশে সম্ভব নয়।
এবিপি আনন্দ: ভারতে নিয়ে আসার চেষ্টা করছেন? প্রশ্নের উত্তরে আক্রান্ত আইনজীবী রমেন্দ্রনাথ রায়ের বোন চন্দ্রা রায় বলেন,এখন ওঁকে নিতে হলে এয়ার অ্য়াম্বুল্য়ান্সে নিতে হবে। এয়ার অ্য়াম্বুল্য়ান্সে নেওয়ার জন্য় অনেক প্রসিডিওর আছে।অনেক খরচের ব্য়াপার আছে। যেটা আমাদের মত মধ্য়বিত্ত পরিবারের পক্ষে সেটা সম্ভব নয়।' চট্টগ্রাম আদালতে খণ্ডযুদ্ধে নিহত আইনজীবী সাইফুল ইসলামের মতোই তো রমেন রায়ও বাংলাদেশের নাগরিক! তাহলে সাইফুলের হত্য়াকাণ্ডের তদন্তে পুলিশ সক্রিয় হলেও, রমেন রায়কে আধমরা করে দিল যারা, তাদের বিরুদ্ধে ব্য়বস্থা কোথায়? শান্তির প্রতীক মহম্মদ ইউনূস কি জবাব দেবেন?
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।