Bangladesh Unrest: এপারের হরগোবিন্দ দাস-চন্দন দাস, ওপারের দীপু দাস, একদম সেম, শুধু স্থানটা আলাদা, আক্রমণকারীরা একই : শুভেন্দু
Suvendu On Bangladesh Unrest Dipu Das Harogovinda Chandan Das: হরগোবিন্দ-চন্দন দাস খুনের সাজা ঘোষণার দিনেই, বাংলাদেশে হিন্দু যুবককে পিটিয়ে খুনের প্রতিবাদে ধুন্ধুমার কলকাতায়, কী বললেন শুভেন্দু ?

কলকাতা: সামশেরগঞ্জে হরগোবিন্দ-চন্দন দাস খুনের সাজা ঘোষণার দিনেই, বাংলাদেশে হিন্দু যুবককে পিটিয়ে খুনের প্রতিবাদে ধুন্ধুমার কলকাতায়। শিয়ালদা থেকে বেকবাগানে বাংলাদেশ ডেপুটি হাই কমিশনের দফতর পর্যন্ত মিছিল হিন্দু জাগরণ মঞ্চের। এবার এই ইস্যুতে সাংবাদিক সম্মেলনে এসে বড় ব্যাখ্যা দিলেন রাজ্যের শুভেন্দু অধিকারী। তৃণমূল সুপ্রিমোকে কটাক্ষ করে বললেন, 'হিন্দুদের প্রতিবাদে মুখ্যমন্ত্রী আতঙ্কিত।'
আরও পড়ুন, 'দীপুচাঁদ দাসের দোষটা কী ছিল ?' বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে অডিও বার্তা শেখ হাসিনার
'...প্রমাণ করা যায়নি'
শুভেন্দু বলেন, আন্দোলনকারীরা সামনের ব্যারিকেড ঠেলে সরিয়ে দেয়। পরের ব্যারিকেড ভাঙতে পারেননি, যেহেতু ব্যারিকেডটি শক্তপোক্ত ছিল। দড়ি দিয়ে, বেঁধে রাখা হয়েছিল। তৃতীয় ব্যারিকেডে যাওয়ার তো কোনও সুযোগই নেই। কিন্তু হিন্দু হলেই গেরুয়া পতাকা থাকলে, ইসলামি জঙ্গিদের হাতে নিরিহ নিষ্পাপ দীপ দাসের জীবন্ত জ্বালিয়ে দেওয়া...এবং জীবন্ত জ্বালিয়ে দেওয়া শুধু নয়, ইসলামিক মৌলবাদী জঙ্গিদের হাতে এই নৃশংস মৃত্যু নয়... থানা থেকে পুলিশ , তুলে দেয় তাঁদের হাতে ! যে ভিডিও গতকাল সন্ধ্যে থেকে ভাইরাল হয়েছে..অর্থাৎ সুদখোর ইউনুসের সরকার, ...পুলিশের হেফাজত থেকে জীবন ভিক্ষা করছে একটি ছেলে, এখনও পর্যন্ত তিনি কোনও আস্থাতে -বিশ্বাসে, অন্য ধর্মের কারও প্রতি আঘাত দিয়ে কিছু পোস্ট করেছেন ? মন্তব্য করেছেন ? প্রমাণ করা যায়নি। সেটা করলেও, থানা থেকে মবের হাতে তুলে দেওয়া, পৃথিবীতে একটি বিরলতম ঘটনা বলে আমার মনে হয়েছে। তাই শুধুমাত্র জামাতিদের, এবং চরম মৌলবাদীদের হাতে, কোনও এই হত্যা নয়। এটি অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করা, মোল্লা ইউনুস তথা সুদখোর ইউনুসের সরকারের একটি নিল্লজ্জতার উদাহরণ।
'এপারের হরগোবিন্দ দাস-চন্দন দাস, ওপারের দীপু দাস, একদম সেম, শুধু স্থানটা আলাদা, আক্রমণকারীরা একই ..'
শুভেন্দু আরও একটি কথা উল্লেখ করেছেন এখানে, 'কালকে পুলিশ যে বক্তব্যটা বারেবারে রেখেছে, অনেক চ্যানেল পুলিশের কথা দেখাতে -বলতে বাধ্য হয়েছে। তাতে তারা বলেছে যে, এই ঘটনার সঙ্গে হরগোবিন্দ দাস, চন্দন দাসের মৃত্যুকে লিঙ্ক করা হচ্ছে। এই ঘটনার সঙ্গে ধুলিয়ান-শামসেরগঞ্জের ঘটনাকে যুক্ত করার প্রয়াস নেওয়া হচ্ছে। আমি পিচ রাস্তায় বসে, হ্যান্ড মাইকে যে যে কথাগুলি বলেছিলাম, ব্যাক্তি ভিন্ন, আক্রমণকারীরা একই। জায়গা দুটো আলাদা। পদ্ধতি কার্যত এক। অর্থাৎ এপারের হরগোবিন্দ দাস, চন্দন দাস, ওপারের দীপু দাস, একদম সেম। শুধু দিনটা আলাদা। স্থানটা আলাদা। সময়টা আলাদা। নামটা আলাদা।'






















