Bankura News: নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে কালভার্টে ধাক্কা, যাত্রীবাহী বাস উল্টে আহত ৫০
Bankura Tragic Accident: পশ্চিম বর্ধমানের রানীগঞ্জ থেকে যাত্রী বোঝাই করে একটি বেসরকারী বাস আজ দুপুরে পুরুলিয়ার দিকে যাচ্ছিল। এরপরই আচমকা মর্মান্তিক দুর্ঘটনা বাঁকুড়ার শালতোড়ায়।
প্রসূন চক্রবর্তী,বাঁকুড়া: মর্মান্তিক দুর্ঘটনা বাঁকুড়ায় (Bankura Tragic Accident)। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে কালভার্টে ধাক্কা মেরে রাস্তার ধারের জমিতে উল্টে গেল যাত্রীবাহী বাস, ঘটনায় আহত ৫০। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার কালভার্টে ধাক্কা মেরে পার্শ্ববর্তী জমিতে উল্টে গেল যাত্রীবোঝাই বাস। ঘটনায় কমবেশি জখম হয়েছেন বাসের পঞ্চাশ জন যাত্রী। আজ দুপুরে ঘটনাটি ঘটে বাঁকুড়ার শালতোড়ায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পশ্চিম বর্ধমানের রানীগঞ্জ থেকে যাত্রী বোঝাই করে একটি বেসরকারী বাস আজ দুপুরে পুরুলিয়ার দিকে যাচ্ছিল। শালতোড়া কলেজ মোড়ের কাছাকাছি আসতেই বাসটির স্টিয়ারিং বিকল হয়ে পড়লে বাসটির চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। এরপরই বাসটি সজোরে গিয়ে ধাক্কা মারে রাস্তার উপর থাকা একটি কালভার্টের সাইড ওয়ালে। ধাক্কার অভিঘাত এতটাই ছিল যে বাসের সামনের দুটি চাকা এক্সেল সমেত খুলে গিয়ে আটকে যায় কালভার্টে। গতির কারণে সামনের চাকাবিহীন বাস কালভার্ট থেকে আরও বেশ কিছুটা এগিয়ে রাস্তার ধারের জমিতে উল্টে পড়ে। ঘটনা দেখে প্রথমে স্থানীয় বাদিন্দারাই উদ্ধার কাজে হাত লাগান। পরে শালতোড়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে এসে আহত যাত্রীদের উদ্ধার করে শালতোড়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যায়। আপাতত ওই হাসপাতালেই আহতদের চিকিৎসা চলছে।
আরও পড়ুন, বিতর্ক পেরিয়ে যাদবপুরে সিসি ক্যামেরা বসানোর কাজ শুরু
প্রসঙ্গত, সচেতনতা বাড়িয়ে দিতে, সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ নিয়ে উদ্যোগের শেষ নেই রাজ্যের পুলিশ প্রশাসনের। তারপরেও বারবার দুর্ঘটনার ছবি প্রকাশ্যে আসছে। সদ্য সৌরনীলকে হারিয়েছে শহর কলকাতা। এখনও আকাশে বাতাসে মা ও ছেলের মধ্য়ে কথোপকথন ভাসছে। জল শুকনো চোখে মা মনে করছে দুর্ঘটনার আগে তার ছোট্ট ছেলেটা কী বলছিল ? ইতিমধ্য়েই সেই সাক্ষাৎকার প্রকাশ্যে এসেছে। কিন্তু সৌরনীলের এই মৃত্যু স্বাভাবিকভাবেই এক সমুদ্র প্রশ্ন তুলে ধরেছে। আর সৌরনীলের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি জানিয়ে শহরে মৌন মোমবাতি মিছিল করেন শুভেন্দু অধিকারীরা। (Suvendu Adhikari) মূলত সম্প্রতি বেপরোয়া লরিতে পিষে সাত বছরের ফুটফুটে শিশু সৌরনীলের মৃত্য়ুর ঘটনায় এখনও শোকস্তব্ধ শহর। গত মাসের ২৫ তারিখই ছিল তাঁর জন্মদিন। কিন্তু,তার আগেই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা কেড়ে নিয়েছে তাকে। এই ঘটনার পর স্থানীয়দের রোষ আছড়ে পড়েছিল পুলিশের ওপর। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন নিহত শিশুর সকুলের প্রধান শিক্ষকও।
আরও পড়ুন, 'দলনেত্রীর প্রতি ভালবাসা থাকলেই রোষের মুখে..', যাদবপুর ছাত্র মৃত্যু ঘটনায় কী বললেন ব্রাত্য ?
তবে এখানেই শেষ নয়, মর্মান্তিক দুর্ঘটনার শিকার আগেও হয়েছে বাংলার ছাত্র। মুর্শিদাবাদে, বাড়ি থেকে বাইকে করে জাতীয় সড়ক দিয়ে কলেজে পরীক্ষা দিতে যাওয়ার পথে ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল এক ছাত্রের (Student)। মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী হয়েছিল সেবার মুর্শিদাবাদের শামসেরগঞ্জ থানার নতুন ডাকবাংলা ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে এসেছিল সামসেরগঞ্জ থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। দুর্ঘটনার প্রতিবাদে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন সাধারণ মানুষ। পাশাপাশি এমনই এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনার সাক্ষী হয়েছিল ২০২২ সালে। মহেশতলা ডাকঘরের কাছে পরীক্ষা দিয়ে ফেরার পথে লরির ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছিল এক উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর