Bankura : বিপজ্জনকভাবে ঝুলছে চাঙড়, দুর্ঘটনা-আশঙ্কার মধ্যেও বাঁকুড়ায় দুই প্রাথমিক স্কুলে পঠনপাঠন
Bad Condition of School : ছেলেমেয়েদের স্কুলে পড়তে পাঠিয়ে দুর্ঘটনার আশঙ্কায় প্রতিদিন কাঁটা হয়ে থাকেন অভিভাবকরা

পূর্ণেন্দু সিংহ, বাঁকুড়া : যে কোনও মুহূর্তে ঘটে যেতে পারে বড়সড় দুর্ঘটনা। সেই আশঙ্কার মধ্যেও বাঁকুড়ায় (Bankura) দুই বেহাল প্রাথমিক স্কুলে চলছে পঠনপাঠন। বেহাল স্কুল ভবন নিয়ে শোরগোল শুরু হতেই দ্রুত সংস্কারের আশ্বাস দিয়েছে জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় (Primary School) সংসদ।
বেহাল-অবস্থা স্কুলের-
দেওয়ালে বড় বড় ফাটল। সিলিং থেকে বিপজ্জনকভাবে ঝুলছে সিমেন্টের চাঙড়। কার্নিশ ভেঙে বেরিয়ে পড়েছে লোহার কঙ্কাল। তার মধ্যেই প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে চলছে ক্লাস ! এই ছবি বাঁকুড়ার বেলগড়িয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের। স্কুলের পড়ুয়া শামিমা খাতুন বলে, স্কুলের ছাদ থেকে চাঙড় ভেঙে পড়ে। স্কুলে আসতে ভয় লাগে।
ছেলেমেয়েদের স্কুলে পড়তে পাঠিয়ে দুর্ঘটনার আশঙ্কায় প্রতিদিন কাঁটা হয়ে থাকেন অভিভাবকরা। শম্পা সিংহ নামে এক অভিভাবক বলেন, ছেলেমেয়েদের স্কুলে পাঠাতে ভয় লাগে। যে কোনও মুহূর্তে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
কিন্তু সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলের কেন এই দশা ? বেলগড়িয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক উত্তম মণ্ডল বলেন, পুরসভা ভোটের আগে স্কুলে নীল-সাদা রং করা হল। আমি বললাম, আগে স্কুলের বেহাল অবস্থা মেরামতি করুন। কেউ কান দিল না। যে কোনও সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। জেলার স্কুল পরিদর্শককে লিখিতভাবে জানিয়েছি।
রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে একই রকম জরাজীর্ণ এলাকার গোপীনাথপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়। দেওয়াল থেকে ছাদ, নীল-সাদা স্কুলবাড়ির প্রতিটি ঘরে বড় বড় ফাটল ! যে কোনও মুহূর্তে ঘটে যেতে পারে বড়সড় দুর্ঘটনা ! গোপীনাথপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অনুপম মুসিব বলেন, বাচ্চাদের পড়ানোর সময় চিন্তা হয়। মালদা-পুরুলিয়ার মতো দুর্ঘটনা যে কোনও সময় এখানেও ঘটতে পারে।
পড়ুয়াদের জীবন নিয়ে কেন এই ছিনিমিনি খেলা ? স্কুলের বেহাল ছবি ক্যামেরায় ধরা পড়ার সঙ্গে সঙ্গে নড়েচড়ে বসেছে বাঁকুড়া জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদ। জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের চেয়ারম্যান বসুমিত্রা সিংহ বলেন, আমি জেলাশাসকের সঙ্গে স্কুল মেরামতি নিয়ে দ্রুত কথা বলব। বেহাল স্কুলের তালিকাও রেডি করেছি।
চলতি সপ্তাহেই জেলার বিভিন্ন স্কুলে একের পর এক দুর্ঘটনা। বৃহস্পতিবার মালদার বাঙ্গীটোলা হাইস্কুলে দেওয়াল ভেঙে পড়ুয়ার মর্মান্তিক মৃত্যুর রেশ কাটতে না কাটতেই পুরুলিয়াতে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। শুক্রবার মুর্শিদাবাদে স্কুলে সিলিং ফ্যান খুলে জখম হয় ২ পড়ুয়া। অভিভাবকদের দাবি, বেহাল স্কুলে ছেলেমেয়েদের পাঠাতে রীতিমতো আতঙ্কে ভুগছেন তাঁরা।
আরও পড়ুন ; দুর্ঘটনার জের, ভবন সংস্কার না হলে শিশুদের স্কুলে পাঠানো হবে না; সাফ জানালেন অভিভাবকরা






















