![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/Premium-ad-Icon.png)
Durga Puja Banedi Bari Special: নহবতের সুর, পুতুল নাচ নেই, ঐতিহ্য মেনেই পুজোর আয়োজন ইন্দাসের জমিদার বাড়ির
২৫০ বছর আগে এই পুজো শুরু করেছিলেন চন্দ্রমোহন পাল। নিজেদের মতো করে এখনও মাতৃ আরাধনায় মেতে ওঠেন বাঁকুড়ার ইন্দাসের সোমসার জমিদার বাড়ির সদস্যরা।
![Durga Puja Banedi Bari Special: নহবতের সুর, পুতুল নাচ নেই, ঐতিহ্য মেনেই পুজোর আয়োজন ইন্দাসের জমিদার বাড়ির Bankura Indus Pujo is organized in accordance with the tradition Pal zamindar house Durga Puja Banedi Bari Special: নহবতের সুর, পুতুল নাচ নেই, ঐতিহ্য মেনেই পুজোর আয়োজন ইন্দাসের জমিদার বাড়ির](https://feeds.abplive.com/onecms/images/uploaded-images/2021/10/10/b4eda20be9e7835fc3569dc04bbf9826_original.jpg?impolicy=abp_cdn&imwidth=1200&height=675)
তুহিন অধিকারী, বাঁকুড়া: আলোর রোশনাই, নহবতের সুর, শৌখিন যাত্রাপালা, রামলীলা, পুতুল নাচ আর কবি গানের আসরে জমজমাট পুজো মণ্ডপ। এলাকার জমিদার দু’হাত ভরে প্রজাদের তুলে দিচ্ছেন নতুন বস্ত্র। হিন্দু, মুসলিম, জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলে পাতপেড়ে পুজোর প্রসাদ খাচ্ছেন। আজ সেই সব ইতিহাস। কাপড়ের সেই ব্যবসা নেই। নেই জমিদারি। নেই সেই সাবেকিয়ানা। তবুও ভক্তি আর শ্রদ্ধার মিশ্রণ আছে দুর্গাপুজোয়। ২৫০ বছর আগে এই পুজো শুরু করেছিলেন চন্দ্রমোহন পাল। নিজেদের মতো করে এখনও মাতৃ আরাধনায় মেতে ওঠেন বাঁকুড়ার ইন্দাসের সোমসার জমিদার বাড়ির সদস্যরা।
দামোদর আর শালী নদীর সঙ্গমস্থলে সমৃদ্ধশালী জনপদ সোমসার। বাঁকুড়ার ইন্দাসের এই গ্রামের পালেরা এক সময় কলকাতায় বিলিতি বস্ত্রের ব্যবসা বাণিজ্য করে ফুলে ফেঁপে উঠেছিলেন। আর সেই সূত্রেই দামোদর তীরবর্তী সোমসার গ্রামে গড়ে উঠেছিল পালেদের সুবিশাল জমিদারি। আর তার সূত্র ধরেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলেন দেবী দুর্গা। কিন্তু এখন সেসব ইতিহাস। জমিদারি প্রথার বিলোপের সঙ্গে সঙ্গেই পাল পরিবারের সেই বনেদিয়ানাও ম্লান হয়েছে। তবে সুপ্রাচীন ঐতিহ্য বহন করে চলেছেন বর্তমান বংশধরেরা। কথিত আছে, সোমসারের পালেরা বিলিতি বস্ত্র ব্যবসাকে কেন্দ্র করে সুবিশাল জমিদারি পত্তন করেছিলেন। সোমসার এলাকায় মোট ছ’টি তালুক কিনেছিলেন তারা। জমিদারি প্রতিষ্ঠার সঙ্গে শুরু হয় দুর্গাপুজো। এক সময় এই বংশের চন্দ্রমোহন পালের হাত ধরে পালেদের শ্রীবৃদ্ধি ঘটেছিল। শোনা যায় এই চন্দ্রমোহন পাল নিজের ব্যবসার প্রয়োজনে কলকাতার গঙ্গা নদীতে একটি ঘাট নির্মাণ করেন। যে ঘাটে বিদেশ থেকে জলপথে কাপড় ভর্তি জাহাজ এসে থামত। পুজোর ঠিক আগে এখানকার প্রজাদের জন্য সরাসরি কলকাতা থেকে জলপথে কাপড় বোঝাই বজরা এসে থামতো সোমসার সংলগ্ন দামোদরের ঘাটে। কলকাতা সহ বর্ধমানে বিশাল বিশাল বাড়ি সহ জমিদারী পরিচালনার জন্য সোমসার গ্রামেও ছিল সুদৃশ্য বিশালাকার বাড়ি। কিন্তু এখন সোমসারের সেই পলেস্তারা খসে খসে পড়ে। সাধ্যের অভাবে বর্তমান বংশধরেরা সেই ঐতিহ্যবাহী বাড়ি সংস্কারের কাজেও হাত লাগাতে পারেননি। কিন্তু এতও সবের পরেও একটা ঐতিহ্য আজও বহন করে চলেছেন সোমসারের জমিদার বাড়ির সদস্যরা।
সোমসার জমিদার বাড়ির বর্তমান সদস্য উদয় কুমার পাল বলেন, আমাদের ছোট বয়সেও পুজোর যে জাঁকজমক দেখেছি৷ তার অনেকটাই এখন কমে গিয়েছে। তবুও কষ্টের মধ্যেও নানান প্রতিকূলতাকে সঙ্গী করে এখনও আমরা পুজো চালিয়ে যাচ্ছি। আগে বলিদানের ঠিক পূর্ব মুহূর্তে শঙ্খচিল এসে উপস্থিত হতো বলে শুনেছি। পরে বর্ধমান রাজবাড়ির সর্বমঙ্গলা মন্দিরের তোপধ্বনি শুনে বলিদান হতো। বর্তমানে পঞ্জিকা নির্ধারিত সময় ধরে অষ্টমী ও নবমী তিথিতে মাস কলাই বলিদান হয়। একই সঙ্গে ব্যবসা সূত্রে বর্ধমান, কলকাতা, বার্ণপুরে পরিবারের সদস্যরা বসবাস করলেও পুজোর দিনগুলিতে সোমসারের বাড়িতে তারা ঠিক হাজির হয়ে যান৷
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/metaverse-mid.png)