Bankura News: পঞ্চায়েত নির্বাচনে সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের হুঁশিয়ারি, বিজেপি বিধায়কের মন্তব্যে বিতর্ক
Onda News: ২০১৬ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ঢুকে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করেছিল ভারতীয় সেনার প্যারা কমান্ডোরা।
তুহিন অধিকারী, বাঁকুড়া: তাঁকে দেখে চোর স্লোগান উঠলে বুকে পা তুলে দেওয়ার কথা শোনা গিয়েছিল দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh)মুখে। ২৪ ঘণ্টা পর এ বার বিজেপি (BJP) বিধায়কের গলায় শোনা গেল পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election 2023) ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’-এর (Surgical Strike) কথা। 'পঞ্চায়েত নির্বাচনে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক' করবেন বলে মন্তব্য করলেন ওন্দার বিজেপি বিধায়ক অমরনাথ শাখা। তাঁর মন্তব্য ঘিরে বিতর্ক শুরু হয়েছে। পাল্টা আক্রমণে নেমে তৃণমূল জানিয়েছে, বিধানসভায় মানুষ ২১৩টি গোল দিয়েছেন, পঞ্চায়েতে আরও গোল দেবেন।
পঞ্চায়েত নির্বাচনে সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের হুঁশিয়ারি বিজেপি বিধায়কের
২০১৬ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ঢুকে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করেছিল ভারতীয় সেনার প্যারা কমান্ডোরা। এ বার বঙ্গ রাজনীতির পরিসরেও উঠে এল সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের প্রসঙ্গ। সৌজন্যে বাঁকুড়ার ওন্দার বিজেপি বিধায়ক অমরনাথ শাখা।
আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের হুঁশিয়ারি শোনা গেল বিজেপি বিধায়কের গলায়। অমরনাথ বলেন, "২০১৮-য় যে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করেছিল, সেই স্ট্রাইক করব। সেই মানসিকতা নেন আর এই লাঠিগুলো এত বড় হলে ঘোরাতে পারবেন না। আর একটু ছোট।"
আরও পড়ুন: Pankura Blast: পাঁশকুড়ায় বাজি বিস্ফোরণকাণ্ডে গ্রেফতার ২
সায়ের ব্লকের হামিরপুর এলাকায় বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করেছিল বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, এলাকায় মঞ্চ বাঁধতে চাইলেও প্রশাসনের অনুমতি মেলেনি। সেই আবহে এ দিন স্থানীয় এলাকায় মিছিল করে তারা। বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সোনামুখীর বিধায়ক দিবাকর ঘরামি এবং ওন্দার বিধায়ক অমরনাথ শাখা।
মিছিলের পর বক্তৃতা করতে গিয়ে, ২০১৮’র পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রসঙ্গ তোলেন ওন্দার বিজেপি বিধায়ক। তখন সন্ত্রাসের অভিযোগে তৃণমূলকে আক্রমণ করতে গিয়ে তাঁর গলায় উঠে আসে সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের প্রসঙ্গ। বলেন, "আজকে আমার ওন্দাতে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করে গোটা পশ্চিমবাংলায় সার্জিক্যাল স্ট্রাইক হয়েছিল। হয়েছিল কিনা? এইভাবে মানসিকভাবে তৈরি হন। মানুষ আমাদের সাথে আছে। মণ্ডল সভাপতিকে বলব যে, লোকে মরবার সময়...ডেকাড্রন নেয়, তুমি আগেই নিয়ে নাও। চনমনা ভাব এনো। তোমার আগ্রাসী মনোভাবে আরও ৫০টা কর্মী আগ্রাসী মনোভাবে এগোবে।"
তীব্র প্রতিক্রিয়া তৃণমূলের
এ নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার যুব তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি সুব্রত দত্ত। তিনি বলেন, "ওন্দার বিধায়ক যে সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের কথা বলেছেন, সেটা তো পাকিস্তানের উপর ভারত করেছিল। তাহলে কি বিজেপি নেতা ওন্দার হামিরপুরের মানুষকে পাকিস্তানের সঙ্গে তুলনা করছেন? আমাদের লাঠি দেখিয়ে লাভ নেই। মানুষ ২১৩টা গোল দিয়েছে গত বিধানসভায়। এবার লাঠি দেখালে মানুষ আরও বেশি গোল দেবে।"