Bappi Lahiri Update: কলকাতায় বাপি লাহিড়ির পরিবার, গঙ্গায় বিসর্জন দেওয়া হবে অস্থি
Bappi Lahiri Update: গত ১৬ ফেব্রুয়ারি সকালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন বাপি লাহিড়ি (bapi lahiri)। তার আগের দিন মধ্যরাতে অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়ার কারণে মৃত্যু হয় তাঁর।
ব্রতদীপ ভট্টাটার্য, কলকাতা: গঙ্গায় বিসর্জন দেওয়া হবে বাপি লাহিড়ির চিতাভস্ম। স্ত্রী চিত্রাণী ও ছেলে বাপ্পা-সহ পরিবারের সদস্যরা আজ মুম্বই থেকে কলকাতায় আসেন। বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী সুজিত বসু। এখান থেকে আউট্রামে ঘাটে গিয়ে পারিবারিক প্রথা মেনে গঙ্গায় বিসর্জন দেওয়া হবে বাপি লাহিড়ির চিতাভস্ম।
উল্লেখ্য, গত ১৬ ফেব্রুয়ারি সকালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন বাপি লাহিড়ি। তার আগের দিন মধ্যরাতে অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়ার কারণে মৃত্যু হয় তাঁর। ভেঙে পড়ে সঙ্গীতপ্রেমী অংখ্য অনুরাগী থেকে শুরু করে গোটা সিনে দুনিয়া।
১৯৫২ সালের ২৭ নভেম্বর জলপাইগুড়িতে জন্ম বাপি লাহিড়ির। বাবা অপরেশ লাহিড়ি ও মা বাঁশরী লাহিড়ি দু’জনেই ছিলেন গানের জগতের মানুষ। কিশোর কুমারের আত্মীয় বাপি ছোট থেকে বড় হয়েছেন সঙ্গীতের পরিবেশে। ৩ বছর বয়সে তবলা বাজানো দিয়ে শুরু। ১৯৭০ থেকে ৮০-এর দশকে হিন্দি ছায়াছবির জগতে অন্যতম জনপ্রিয় নাম বাপি লাহিড়ি। ‘ডিস্কো ডান্সার’, ‘চলতে চলতে’, ‘শরাবি’-তে সুর দিয়েছেন। গেয়েছেন একাধিক গান। ২০২০ সালে তাঁর শেষ গান ‘বাঘি থ্রি’-র জন্য। গত বছর এপ্রিলে করোনা আক্রান্ত হয়ে মুম্বইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন বাপি লাহিড়ি। পরে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন।
সালটা ১৯৭৬। আরডি বর্মন ও লক্ষ্মীকান্ত-প্যায়ারেলালদের মতো প্রতিষ্ঠিত সুরকারদের তখন দম ফেলবার ফুরসৎ নেই কাজের চাপে। তাই চলতে চলতে সিনেমার সঙ্গীত পরিচালনার কাজ থেকে সরে দাঁড়ান তাঁরা। সে জন্য সিনেমার সঙ্গীত পরিচালনার সুযোগ আসে বাপি লাহিড়ির কাছে। আর সেই সুযোগকেই দারুণভাবে কাজে লাগিয়েছিলেন প্রতিভাবান সঙ্গীতশিল্পী বাপি লাহিড়ি। আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁকে। এ কথা জানিয়েছেন বিশিষ্ঠ গীতিকার ও চলচ্চিত্র নির্মাতা অমিত খন্না।
সুরেন্দর দার পরিচালিত এই সিনেমা এখনও দর্শকদের মধ্যে জনপ্রিয় বাপি লাহিড়ির সুরে টাইটুলার গান চলতে চলতে মেরে ইয়ে গীত-এর সৌজন্যে। গানটির কথা লিখেছিলেন খন্না। আর গেয়েছিলেন কিশোর কুমার। বাপি লাহিড়ি-কিশোর কুমার যুগলবন্দি শ্রোতাদের মন কেড়ে নিয়েছিল।