(Source: Poll of Polls)
Behala: বেহালায় শিশুমৃত্যুতে ২জন গ্রেফতার, ভাঙচুর-তাণ্ডবে গ্রেফতার ২৫
Behala Accident: তাণ্ডবের নেপথ্যে রাজনৈতিক ইন্ধন রয়েছে কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
কলকাতা: বেহালায় (Behala) শিশুমৃত্যুতে ২জন গ্রেফতার, ভাঙচুর-তাণ্ডবে গ্রেফতার ২৫। এলাকায় ভাঙচুর তাণ্ডবে বেহালা-ঠাকুরপুকুর থানার (Thakurpukur Police Station) হাতে গ্রেফতার ২৫। ধৃতদের বিরুদ্ধে একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রের মর্মান্তিক মৃত্যুর পরে হুঁশ ফিরল পুলিশের। ডায়মন্ড হারবার রোডে (Diamond Harbour Road) জায়গায় জায়গায় ব্যারিকেড, ৫টি মুভেবল ড্রপগেট। বেহালা চৌরাস্তায় গতকালের পথ দুর্ঘটনায় শিশুর মৃত্যু, জনরোষ ও পুলিশি নিগ্রহের ঘটনায় এ পর্যন্ত ২৭ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাণ্ডবের নেপথ্যে রাজনৈতিক ইন্ধন রয়েছে কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
বদলে গেল বেহালা চৌরাস্তার ছবি: গতকাল পথ দুর্ঘটনায় শিশু মৃত্যুর পরের দিন অনেকটাই বদলে গেল বেহালা চৌরাস্তার ছবি। ডায়মন্ড হারবার রোডে জায়গায় জায়গায় লাগানো হয়েছে ব্যারিকেড। ৫টি জায়গায় বসানো হয়েছে মুভেবল ড্রপগেট। সাতসকালে বেহালা চৌরাস্তার মোড়ে পুলিশি তৎপরতাও ছিল চোখে পড়ার মতো। শনিবার হওয়ার কারণে এদিন রাস্তায় স্কুল পড়ুয়ার সংখ্যা কম ছিল দিনভরই। যদিও বেহালা চৌরাস্তা মোড়ে প্রতিদিন ভিড় লেগেই থাকে। যানবাহন শুরু করে নিত্যযাত্রী, জট পাকানো পরিস্থিতি তৈরি হয়। সেখানে আজকের ছবিটা সম্পূর্ণ আলাদা। সকলে জেব্রা ক্রসিং ধরে রাস্তা পারাপার করছেন। বাস বা অটোয় ওঠার জন্য নির্ধারিত। জায়গায় দাঁড়াতে দেখা গিয়েছে যাত্রীদের। রাস্তায় যানবাহন নিয়ন্ত্রণে তৎপর পুলিশ। স্কুল পড়ুয়াদের অভিভাবকরা সামগ্রিক ব্যবস্থাপনায় সন্তুষ্ট হলেও কতদিন এই ব্যবস্থা বজায় থাকবে, তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন।
পথ দুর্ঘটনায় শিশু মৃত্যুর পর, সকাল থেকে রাস্তায় ছিলেন ডায়মন্ড হারবার ট্রাফিক গার্ডের ওসি অমলেন্দু চক্রবর্তী। দুর্ঘটনা এড়াতে ডায়মন্ড হারবার রোডে বেশ কিছু পরিকল্পনার কথা জানান তিনি। জানিয়েছেন, বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে বসানো হবে মুভেবল ড্রপগেট। যান নিয়ন্ত্রণে লাগানো হবে ব্যারিকেড। থাকছে পুলিশি প্রহরাও।
টনক নড়ল পুলিশের? বেহালায় ট্রাকের ধাক্কায় ৭ বছরের শিশুর মৃত্যুর পর, টনক নড়ল পুলিশের। লালবাজারের নির্দেশ, সকাল ৬টার পর কলকাতায় ঢুকবে না কোনও ট্রাক। আজ থেকেই চালু হয়েছে এই নিয়ম। মৌখিকভাবে সমস্ত ট্রাফিক গার্ডকে ইতিমধ্যেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সরকারি হোক বা বেসরকারি, কলকাতার সমস্ত স্কুলের বাইরে থাকতে হবে ওসি বা অ্যাডিশনাল ওসি পদমর্যাদার একজন অফিসারকে। সমস্ত স্কুলের বাইরে যান নিয়ন্ত্রণ ও ভিড় সামলাতে থাকবে পুলিশ। এছাড়া, লালবাজারের নির্দেশ, এবার থেকে কোথাও কোনও দুর্ঘটনা ঘটলে সবার প্রথমে আগে দেহ সরানোর ব্যবস্থা করতে হবে। নির্দেশে বলা হয়েছে, প্রতিটি থানায় ওসি অথবা অ্যাডিশনাল ওসি-র উপস্থিত থাকা জরুরি। কলকাতা পুলিশের সমস্ত থানা ও ব্যারাকে দিনের যে কোনও সময়, বিশেষ করে রাতে ২৫ শতাংশ বাহিনী থাকতে হবে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সামাল দিতে বাহিনী পাঠালে পর্যাপ্ত মহিলা পুলিশ থাকা জরুরি। বাহিনীর ওপর নজরদারির দায়িত্বে থাকবেন ডিসি পদমর্যাদার অফিসাররা।