Behala Road Accident : 'বেসরকারি স্কুলের সামনে পুলিশ থাকে, বারবার বলেও আমাদের স্কুলের সামনে নিরাপত্তা নেই' ফুঁসে উঠলেন প্রধান শিক্ষক
Behala Road Accident Update: বেপোরোয়া গতিতে আসা লরি, সৌরনীলের মাথা ও তার বাবার পায়ের উপর দিয়ে চলে যায়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় একরত্তির।
সঞ্চয়ন মিত্র, ব্রতদীপ ভট্টাচার্য, প্রবীর ঘোষাল, হিন্দোল দে, সন্দীপ সরকার,কলকাতা : ভয়ঙ্করভাবে শুরু হল মহানগরের দিন। বেপরোয়া লরির ধাক্কায় মর্মান্তিক মৃত্যু হল দ্বিতীয় শ্রেণির পড়ুয়ার। ঘাতক লরি পিষে দিয়ে গেল ৭ বছরের পড়ুয়াকে। ভয়াবহভাবে আহত হলেন বাবা। তারপরেও ফোন করে বলেছিলেন স্ত্রীকে। পড়ে থাকা স্কুল ব্যাগটা জড়িয়ে ধরে মৃত সৌরনীলের মা ডুকরে উঠলেন, 'ওর বাবা বলল, আমাদের অ্য়াক্সিডেন্ট হয়েছে, সব শেষ।'
ঘটনাকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল বেহালার বড়িশা। বাবার সঙ্গে পরীক্ষা দিতে স্কুলে আসছিল, বড়িশা হাইস্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির পড়ুয়া সৌরনীল সরকার। পরিবার ও স্থানীয়দের দাবি, অটো থেকে নেমে সিগন্যাল দেখেই রাস্তা পেরোতে পেরোচ্ছিলেন। হঠাৎ, বেপোরোয়া গতিতে আসা লরি, সৌরনীলের মাথা ও তার বাবার পায়ের উপর দিয়ে চলে যায়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় একরত্তির।
এই ঘটনার পর ক্ষোভে ফেটে পড়ে জনতা। পুলিশের গাড়ি, একের পর এক বাইকে অগ্নিসংযোগ করে উত্তেজিত জনতা! ছুটে আসেন স্কুলের হেড মাস্টারমশাই। দৃশ্যতই শোক-বিহ্বল তিনি। বললেন, স্কুলে ঢোকার পরই খবর পান তিনি....'আমাদের বাচ্চাটাকে স্পট ডেড করে দিয়েছে...আমরা গিয়ে দেখি বাচ্চাটা মরে পড়ে আছে। বাবাকে পুলিশ হাসপাতালে নিয়ে যায়নি, আমরাই নিয়ে গিয়েছি। বিদ্যাসাগর হাসপাতাল থেকে পিজিতে ট্রান্সফার করা হয়েছে। মা বিদ্যাসাগরে পড়েছিলেন...আমরা তুলে নিয়ে এসে টিচার্স রুমে বসিয়েছি।'
এরপর পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন তিনি। বলেন, পুলিশ কাঁদানে গ্যাস চালাচ্ছে। স্কুলে বাচ্চারা ভয়ে সিঁটিয়ে রয়েছে। তিনি আরও বলেন, পুলিশকে বহুবার বলা হয়েছে, এই স্কুলে হাজার জন বাচ্চা পড়াশোনা করে। পুলিশকে ভোর বেলা নিরাপত্তা দেওয়ার কথা বলা হয় বারবার। তবুও লাভ হয়নি। স্কুলের অভিভাবকদের সাইকেল চুরি হয়ে গিয়েছে। সেই সাইকেল-চোরকেও স্কুল ধরিয়ে দিয়েছে, তাকেও ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
হেড মাস্টারমশাইয়ের অভিযোগ, পাশাপাশির বেসরকারি স্কুলগুলির সামনে পুলিশি নিরাপত্তা থাকলেও এই স্কুলের সামনে পুলিশ থাকে না। তিনি বলেন, তাঁর স্কুলে গরিব ঘর থেকে শিশুরা আসে, কেউ চার-চাকা করে আসে না। তাঁর স্কুলের সামনে নেই কোনও নিরাপত্তা। এই দুর্ঘটনার জন্য পুলিশই দায়ী।
প্রধান শিক্ষকের অভিযোগ, ঘাতক লরিটিকে ধরতে ধাওয়াও করেনি পুলিশ। তিনি বলাতে, পুলিশ জানায় নম্বর টুকে নেওয়া হয়েছে ! বারবার বাসিন্দাদেরও অভিযোগ , পুলিশের গাফিলতির জন্যই আজ এই পরিণতি।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন