Cattle Scam: কুলটির BJP বিধায়ক ও তাঁর ছেলের বিরুদ্ধে গরুপাচারের অভিযোগ !
Cattle Scam Against BJP MLA : বিজেপি বিধায়ক অজয় পোদ্দার ও তাঁর ছেলে কেশব পোদ্দারের বিরুদ্ধে গরুপাচারের অভিযোগ তৃণমূলের।
পশ্চিম বর্ধমান: কুলটির বিজেপি বিধায়ক ও তাঁর ছেলের বিরুদ্ধে গরুপাচারের (Cattle Scam) অভিযোগ। বিজেপি বিধায়ক অজয় পোদ্দার ও তাঁর ছেলে কেশব পোদ্দারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তৃণমূলের (TMC)। ভাইরাল অডিও (Viral Aduio) ক্লিপ প্রকাশ করে অভিযোগ তৃণমূলের।
তৃণমূল নেতা সমীর চক্রবর্তী অভিযোগ তুলে বলেছেন, ‘কুলটির বিজেপি মণ্ডল সভাপতি কাঞ্চন সিনহা ও বিজেপি নেতা বিভাস সিংয়ের কথোপকথন। অডিওয় অজয় পোদ্দার ও তাঁর ছেলে কেশবের কথা বলছেন বিজেপির মণ্ডল সভাপতি। গরুপাচার করে দিনে ৪ লক্ষ টাকা আয়, অডিওয় সব ফাঁস হয়ে গিয়েছে’। যদিও অভিযোগ অস্বীকার কুলটির বিজেপি বিধায়ক অজয় পোদ্দারের। 'চরিত্রহননের চেষ্টা', অভিযোগ বিজেপি বিধায়কের।
মূলত বিধায়কের ছেলের বিরুদ্ধে গরুপাচারের অভিযোগের অডিও ভাইরাল। এদিকে, শেষ অবধি পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, ওই অডিওতে রয়েছে বিজেপির জেলা কমিটির সদস্য বিভাস সিংয়ের কন্ঠস্বর। এই কারণেই বিপাকে পড়েছেন বিভাস। আজ দুপুর ১ টা এবং সন্ধ্যা ৭টা ২৫ মিনিট নাগাদ মোবাইলে পেলেন খুনের হুমকি। দ্বারস্থ হলেন কুলটি থানার পুলিশের।
প্রসঙ্গত, রাজ্যে গরুপাচার মামলায় ইতিমধ্যেই শাসকদলের একাধিক হেভিওয়েটদের নাম জড়িয়েছে। গ্রেফতার হয়েছেন বীরভূমের তৃণমূল নেতা অনুব্রত মন্ডল (Anubrata Mandal)। বিস্তর আইনি টানাপড়েনের পর গত দোলপূর্ণিমার দিন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতিকে রাজধানী উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। তার পর, দিল্লিতে দিল্লিতে দফায় দফায় বেশ কয়েকবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে তাঁকে। অনুব্রত নগদে কোটি কোটি টাকা দিয়ে সম্পত্তি কিনেছেন বলে আগেই দাবি করেছিল ইডি। সেই সংক্রান্ত নথিও হাতে পেয়েছে তারা, যার প্রতিলিপি এসে পৌঁছয় এবিপির হাতে।
বলা হয়েছে, ২০১৪ সালের নভেম্বর মাসের ১০ থেকে ১৭-র মধ্যে প্রায় সাড়ে ৬ কোটি টাকার সম্পত্তি কেনেন অনুব্রত। বোলপুরের কালিকাপুর মৌজায় নগদে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি কেনা হয়। শুধু সম্পত্তি কেনাই নয়, ২৫ লক্ষ টাকার জমির বাজারমূল্য ৮ লক্ষ দেখানো হয় বলেও দাবি ইডি-র। স্ত্রী ছবি মণ্ডল, মেয়ে সুকন্যামণ্ডল, ভোলে ব্যোম চালকল এবং নিজের নামেও অনুব্রত সম্পত্তি কেনেন বলে দাবি ইডি-র। সূত্রের আরও খবর, ২০১৬ সালে নিজের নামে দেড় কোটি টাকার সম্পত্তি কেনেন অনুব্রত।
আরও পড়ুন, 'শকুনের রাজনীতি করছে BJP', কালিয়াগঞ্জকাণ্ডে পাল্টা আক্রমণ কুণালের
ইডি-র দাবি, বাজারের দামের থেকে ডিড ভ্যালু কম দেখানো হয়েছে কেনাবেচায়। ২৩ লক্ষ টাকার সম্পত্তিকে ৮ লক্ষ টাকার বলে দেখানো হয়েছে, খবর ইডি সূত্রে। কিন্তু এত টাকা কোথা থেকে এল, তা নাকি বলতে পারেননি অনুব্রত! বরং তিনি জানিয়েছিলেন, টাকা কোথা থেকে এল মনে নেই তাঁর! ইডি সূত্রে জানা যায়, অনুব্রত তদন্তে সহযোগিতা করছেন না। তাতে অসন্তুষ্ট তদন্তকারীরা। আসানসোল জেলেও এর আগে অনুব্রত একই আচরণ দেখিয়েছিলেন বলে দাবি তাঁদের। সূত্রের খবর, অনুব্রতর কাছ থেকে মূলত টাকার উৎস সম্পর্কে জানতে চায় ইডি। কয়েক বছরের মধ্যে কী ভাবে রকেটের গতিতে অনুব্রতর সম্পত্তি বেড়েছে, টাকা কোথা থেকে এসেছে, রাজনৈতিক নেতা অনুব্রতর রোজগারই বা কী, এসবও খতিয়ে দেখার পর্ব শুরু হয়।