(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Bengal Recruitment Scam : ইডি-নজরে শ্বেতা, অয়ন ও আত্মীয়দের ৩২টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, কোথায় কত টাকা
Bengal Recruitment Scam : অয়ন , তাঁর আত্মীয় ও ঘনিষ্ঠদের ৩২টি অ্যাকাউন্টের হদিশ মিলেছে।
প্রকাশ সিনহা, কলকাতা : নিয়োগ-দুর্নীতিকাণ্ডে ( Bengal Recruitment Scam ) ইডি-র স্ক্যানারে অয়ন শীল, তাঁর ঘনিষ্ঠ শ্বেতা চক্রবর্তী ও অয়নের আত্মীয়দের ৩২টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট। ইডি ( ED ) সূত্রে খবর, তল্লাশির দিনেই অয়ন, অয়নের স্ত্রী কাকলি, বান্ধবী শ্বেতা, অয়নের বাবা সদানন্দ শীল, মা অমিতা ও অয়নের ছেলে অভিষেক-সহ আত্মীয় ও ঘনিষ্ঠদের ৩২টি অ্যাকাউন্টের হদিশ মিলেছে।
এর মধ্যে রয়েছে অয়নের সংস্থা ABS ইনফোজোন প্রাইভেট লিমিটেডের নামে ২টি অ্যাকাউন্ট ও হুগলিতে অয়নের পেট্রোল পাম্পের নামে ৩টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট। ইডি-র সিজার লিস্টে এই অ্যাকাউন্টগুলির উল্লেখ রয়েছে। এই অ্য়াকাউন্ট থেকে কোথায় কোথায় লেনদেন হয়েছে, সেটাই খতিয়ে দেখছেন ইডি-র তদন্তকারীরা।
কোথায় কী সম্পত্তি অয়নের
এছাড়াও ইডি-র হাতে এসেছে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য। ইডি-র দাবি, হুগলি ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় বেশ কিছু সম্পত্তি কিনেছিলেন অয়ন। এর মধ্যে ২০২০-তে লকডাউন-পর্বে গুড়াপের ঘোশলা মৌজায় ছেলে অভিষেক ও ছেলের ঘনিষ্ঠ ইমন গঙ্গোপাধ্যায়ের নামে অয়ন ১ কোটি টাকার সম্পত্তি কেনেন।
ঠিক তার আগের বছর, ২০১৯-এ ভাঙড়ের ব্যাওতা মৌজায় নিজের সংস্থার ABS ইনফোজোনের কর্মী রীতেশ জয়সোয়ালের নামে ৫ লক্ষ ৭১ হাজার টাকা দিয়ে জমি কেনেন অয়ন। এর আগে, ২০১৬ সালে একই দিনে ভাঙড়ের ব্যাওতা মৌজায় সংস্থার কর্মী ও আত্মীয়দের নামে তিন-তিনটি জমি কেনেন অয়ন শীল। নিয়োগ-দুর্নীতির টাকাতেই এই সম্পত্তি-ক্রয় বলে মনে করছে ইডি।
অয়নের অতীত কীর্তি
সম্প্রতি গ্রেফতার হয়েছেন প্রোমোটার অয়ন চক্রবর্তী। তবে তাঁর বিরুদ্ধে চাকরির নামে টাকা তোলার অভিযোগ উঠেছিল বছর চারেক আগেও। এবিপি আনন্দে অয়নের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন সেরকমই এক অভিযোগকারিণী। বছর চারেক আগেই অয়ন শীলের বিরুদ্ধে চাকরি দেওয়ার নামে টাকা তোলার অভিযোগ দায়ের হয়! বুধবার এবিপি আনন্দের সামনে মুখ খুলেছেন এক অভিযোগকারিণী! ২০১৯ সালে চুঁচুঁড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন মল্লারপুরের বাসিন্দা সফিরুল শেখ, বলাগড়ের বাসিন্দা উদয় সরকার এবং কলকাতার মানিকতলার বাসিন্দা এক তরুণী। প্রত্য়েকেরই অভিযোগ ছিল সরকারি চাকরি দেওয়ার নামে টাকা নিয়েছিলেন অয়ন শীল। কিন্তু, পরে চাকরিও হয়নি, টাকাও ফেরত মেলেনি। এই সব অভিযোগের ভিত্তিতে অয়ন শীলের বিরুদ্ধে ৪২০ ধারায় প্রতারণা, ৪০৬ ধারায় বিশ্বাসভঙ্গ, ১২০ বি ধারায় অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের মামলা দায়ের হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, কোনও মামলায় অয়ন শীল গ্রেফতার হননি। প্রত্য়েকটা মামলায় তিনি আগাম জামিনে আছেন।