(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Bengal Recruitment Scam : অয়নের অফিসের কম্পিউটার খুলে চক্ষু চড়কগাছ ED র, কী কী তথ্য সামনে এল ?
সল্টলেকের অফিসে প্রায় ৩৭ ঘন্টা ম্যারাথন তল্লাশির পর ইডির হাতে গ্রেফতার শান্তনু ঘনিষ্ঠ প্রোমোটার অয়ন শীল ।
আবীর দত্ত, কলকাতা : শান্তনু ঘনিষ্ঠ ( Shantanu’s ‘close aide’ ) ) প্রোমোটার অয়ন শীলের ( Promoter Ayan Sheel ) গ্রেফতারি ঘিরে টানটান নাটক চলল ৩৭ ঘণ্টা ধরে।
ED র তল্লাশি শুরু, কী প্রতিক্রিয়া ছিল অয়নের?
ইডি সূত্রে খবর, শনিবার অয়নের বাড়িতে গেলে তদন্তকারীদের সহযোগিতার আশ্বাস দেন তিনি। এরপর ইডি তাঁর সল্টলেকের অফিসে পৌঁছেছে জানতে পেরে, উল্টোপথে হাঁটতে শুরু করেন অয়ন। ইডি-র দাবি, তদন্তকারীদের কাছে বিভিন্ন নাম বলে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেন। তা বুঝতে পেরে অয়নকে সল্টলেকের অফিসে আনেন ইডি-র অফিসাররা।
আরও পড়ুন :
আজও চলবে ঝড়-বৃষ্টি, কোথায় কোথায় প্রবল হতে পারে দুর্যোগ?
সামনে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য
কম্পিউটার খুলে চক্ষু চড়কগাছ হয়ে যায় তদন্তকারীদের। সামনে আসে কোটি কোটি টাকা লেনদেনের নথি। ইডি-র দাবি, অয়নের সল্টলেকের অফিসের ড্রয়ার, আলমারির বিভিন্ন জায়গায় গুরুত্বপূর্ণ নথি লুকোনো ছিল। সেগুলি সম্পর্কে কোনও সদুত্তর মেলেনি বলে ইডি-র দাবি।
কেন্দ্রীয় এজেন্সির সূত্রের খবর, রাজ্যের অন্তত ৭০টি পুরসভার নিয়োগ সংক্রান্ত নথি ও চাকরিপ্রার্থীদের নামের তালিকা উদ্ধার হয় অয়নের অফিস থেকে। তবে কি শান্তনু-অয়নরা পুরসভার নিয়োগেও দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত?
কিন্তু, একজন প্রোমোটারের কাছে পুরসভার নিয়োগ সংক্রান্ত নথি এবং এত OMR শিট এল কীভাবে? ইডি সূত্রে খবর,
জেরায় অয়ন শীল দাবি করেন, তাঁর সংস্থা ABS ইনফোজোন প্রাইভেট লিমিটেডকে, OMR শিটের বার কোডিংয়ের বরাত দেওয়া হয়। সেই কারণেই অফিসে রাখা ছিল OMR শিট। কিন্তু, ইডির দাবি, নিয়ম অনুযায়ী, এই OMR শিট অয়নের কাছে থাকার কথাই নয়! যিনি পেশায় নাকি প্রোমোটার, তাঁর কাছে এমন নথি থাকবেই বা কেন?
মিলেছে প্রচুর ওএমআর শিট, অ্যাডমিট কার্ড
শান্তনুর অফিস থেকে মিলেছে প্রচুর ওএমআর শিট, অ্যাডমিট কার্ড, চাকরিপ্রার্থীদের নামের তালিকা। পাওয়া গিয়েছে ৬০ থেকে ৭০টি পুরসভার নিয়োগ সংক্রান্ত নথি, দাবি ইডি-র। এর আগে নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত বহিষ্কৃত যুব তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুন্তল ঘোষের নিউটাউনের ফ্ল্যাট থেকেও বেশকিছু OMR শিট উদ্ধার করেছিল ইডি।
নিয়োগ দুর্নীতিতে শান্তনু-কুন্তলের যোগসূত্র আরও জোরাল হল বলেই মনে করছেন গোয়েন্দারা। শুধু হুগলি নয়, আশপাশের বেশ কিছু পুরসভার নিয়োগ সংক্রান্ত নথিও মিলেছে, খবর ইডি সূত্রে। অয়ন শীলের অ্যাকাউন্ট থেকে ৫০ কোটিরও বেশি লেনদেন, দাবি ইডি-র। প্রশ্নের জবাবে সদুত্তর দিতে পারেননি অয়ন, দাবি ইডি-র।