Ashwini Vaishnaw: 'ইঞ্জিনে যান্ত্রিক ত্রুটিই কারণ', রেল দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে জানালেন রেলমন্ত্রী
Bikaner-Guwahati Express derailed: রেল সূত্রে খবর, দুর্ঘটনার সময়ে ট্রেনে মোট ১ হাজার ৫৩ জন যাত্রী ছিলেন। আর দুর্ঘটনাগ্রস্ত কোচগুলিতে যাত্রী সংখ্যা ছিল ৫৭৫।
ময়নাগুড়ি: ট্রেনের ইঞ্জিনে যান্ত্রিক ত্রুটিই দুর্ঘটনার কারণ। প্রাথমিক তদন্তে এমনটাই অনুমান। দুর্ঘটনাস্থল খতিয়ে দেখে এদিন এমনটাই জানালেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব ( Railway Minister Ashwini Vaishnaw)। এদিকে, জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) ময়নাগুড়ির দোমহনিতে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৯। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ, ময়নাগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতাল ও জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে ৩৬ জনের।
রাত তিনটে নাগাদ বিকানের এক্সপ্রেসের S10 কামরা থেকে এক যাত্রীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এদিকে, উদ্ধারকাজ শেষ, এখন লাইন পরিষ্কারের কাজ চলছে। কুয়াশার মধ্যেই রেল লাইন থেকে ইঞ্জিন ও দুমড়ে মুচড়ে যাওয়া ৮টি কামরা সরানোর কাজ চলছে। ব্যবহার করা হচ্ছে হাইড্রোলিক ক্রেন। দুর্ঘটনাস্থলে যান রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। সেখান থেকে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে যান রেলমন্ত্রী। আজ সকালে দুর্ঘটনাস্থলে যান আলিপুরদুয়ারের সাংসদ ও কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জন বার্লাও। এদিকে, রেল সূত্রে খবর, দুর্ঘটনার সময়ে ট্রেনে মোট ১ হাজার ৫৩ জন যাত্রী ছিলেন। আর দুর্ঘটনাগ্রস্ত কোচগুলিতে যাত্রী সংখ্যা ছিল ৫৭৫।
আরও পড়ুন, মাঘ মেলায় দ্রুত ছড়াচ্ছে করোনা, মকর স্নানে সুপার স্প্রেডারের সম্ভাবনা
অভিশপ্ত বিকানের এক্সপ্রেসে চড়ে জয়পুর থেকে বাড়ি ফিরছিলেন কোচবিহারের বাসিন্দা অনেক পরিযায়ী শ্রমিক। রাজস্থানের বিভিন্ন জায়গায় কাজ করতেন তাঁরা। করোনার বাড়বাড়ন্তের জেরে বাড়ি ফিরছিলেন শ্রমিকরা। বাড়ি পৌঁছনোর আগে বৃহস্পতিবার বিকেলে ঘটে যায় ভয়াবহ দুর্ঘটনা। তাতে আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন পরিযায়ী শ্রমিক। বরাতজোরে বেঁচে যাওয়া S10 কামরার এক যাত্রী অজিত বর্মনের চোখে মুখে এখনও আতঙ্কের ছাপ স্পষ্ট। দুর্ঘটনার কথা বলতে গিয়ে রীতিমতো গলা কেঁপে আসছে তাঁর। এদিকে, জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালেও ভিড় করেছেন অনেকে। আহতদের সম্পর্কে খোঁজ নিচ্ছেন পরিজনরা। আবার কেউ কেউ কোনও খোঁজখবর না পেয়ে রয়েছেন উৎকণ্ঠায়।
বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টা নাগাদ পটনা-গুয়াহাটি বিকানের ১৫৩৬৬ এক্সপ্রেসটি লাইনচ্যূত হয়। দুর্ঘটনার সময় ট্রেনের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার। কিন্তু দুর্ঘটনার তীব্রতা এত বেশি ছিল যে, ইঞ্জিনের পর থেকে ১২টি কামরা লাইনচ্যূত হয়ে যায়। একটি কামরার উপর উঠে যায় আর একটি কামরা। একাধিক কামরা লাইনচ্যূত হয়ে যায়। এমনকি একটি কামরা জলেও গিয়ে পড়ে। ফলে হতাহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। যদিও আলিপুরদুয়ারের ডিআরএম (Divisional Railway Manager/DRM) দিলীপ কুমার সিংহ জানিয়েছেন, কোভিডের কারণে ট্রেনে যাত্রীসংখ্যা কম ছিল। ফলে হতাহতের সংখ্যা মারাত্মক জায়গায় পৌঁছবে না বলে আশাবাদী তিনি।