![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/Premium-ad-Icon.png)
Bolpur Push Mela Update: সাড়া নেই বিশ্বভারতীর, বোলপুরে বিকল্প পৌষমেলা বাংলা সংস্কৃতি মঞ্চের
Bolpur Push Mela Update: ১৮৯৪ সালে ব্রাহ্মমন্দিরের প্রতিষ্ঠাদিবস হিসেবেই মেলার সূত্রপাত। ১৯৪৩ সালে মন্বন্তর এবং ১৯৪৬ সালে সাম্প্রদায়িক হিংসার জন্য শুধুমাত্র পৌষমেলা বন্ধ ছিল।
![Bolpur Push Mela Update: সাড়া নেই বিশ্বভারতীর, বোলপুরে বিকল্প পৌষমেলা বাংলা সংস্কৃতি মঞ্চের Birbhum Bolpur Poush Mela to be organised by Bangla sanskriti mancha after no response from Visva Bharati Bolpur Push Mela Update: সাড়া নেই বিশ্বভারতীর, বোলপুরে বিকল্প পৌষমেলা বাংলা সংস্কৃতি মঞ্চের](https://feeds.abplive.com/onecms/images/uploaded-images/2021/12/14/da65f6d3cdd97b1640eba65b9da1bf1c_original.jpg?impolicy=abp_cdn&imwidth=1200&height=675)
আবির ইসলাম, বোলপুর: ঐতিহ্যবাহী পৌষমেলা (Bolpur Poush Mela) থেকে কার্যত হাত তুলে নিয়েছেন বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ (Visva Bharati)। কিন্তু বোলপুর সর্বোপরি বাংলার সংস্কৃতির সঙ্গে ওতপ্রোত ভাবে জড়িত পৌষমেলাকে বাঁচিয়ে রাখতে এ বার তৎপর হল বাংলা সংস্কৃতি মঞ্চ (Bangla Sanskriti Mancha) । বোলপুর (Bolpur) ডাকবাংলোর মাঠে বিকল্প পৌষমেলার আয়োজন করতে চলেছে তারা।
কোভিডের জন্য ২০২০ সালে বন্ধ ছিল পৌষমেলা। আগের থেকে পরিস্থিতিতি শুধরে যাওয়ায় এ বছর দুর্গাপুজো, কালীপুর হয়েছে বলে পৌষমেলা নিয়েও উদ্গ্রীব ছিলেন শান্তিনিকেতনপ্রেমীরা। কিন্তু দু’মাস আগে পর্যন্ত প্রস্তুতি শুরু হতে না দেখে সন্দেহ জাগে। বিশ্বভারতী এ নিয়ে কোনও উচ্চবাচ্য না করায়, শেষ পর্যন্ত বিকল্প মেলার আয়োজনে উদ্যোগী হয় বাংলা সংস্কৃতি মঞ্চ৷
বিকল্প মেলার জন্য বাংলা সংস্কৃতি মঞ্চকে সহযোগিতা করছে বোলপুর ব্যবসায়ী সমিতি এবং পুরসভা। মেলার জন্য ইতিমধ্যে জেলা পিরষদের কাছ থেকে অনুমতিও জোগাড় করে নিয়েছে বাংলা সংস্কৃতি মঞ্চ। মঙ্গলবার ব্যবসায়ী সমিতির সঙ্গে ডাকবাংলো মাঠ ঘুরে দেখেন সংগঠনের সদস্যরা। তাঁরা জানিয়েছেন, শান্তিনিকেতনে যে ভাবে পৌষমেলা হয়, একই ভাবে ২৩ ডিসেম্বর থেকে ডাকবাংলো মাঠে মেলা বসবে।
আরও পড়ুন: বক্সার জঙ্গলে বাঘের আরও পায়ের ছাপ, পাশে কেন পড়ে পেন? রহস্য
রবীন্দ্রনাথের স্মৃতিমণ্ডিত শান্তিনিকেতন এবং পৌষমেলা ঘিরে বরাবর আবেগপ্রবণ বাঙালি। সাংস্কৃতিক মেলবন্ধনের পাশাপাশি এই পৌষমেলার উপর বোলপুর এবং শান্তিনিকেতনের আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থাও নির্ভর করে। তা কোনও ভাবেই নষ্ট হতে দেওয়া যাবে না বলে জানিয়েছে বাংলা সংস্কৃতি মঞ্চ।
সংগঠনের সদস্যরা জানিয়েছেন, বরাবরের মতই ডাকবাংলো মাঠে পসরা সাজিয়ে বসবেন বিক্রেতারা। এর পাশাপাশি নাগরদোলাও বসানো হবে। মেলাপ্রাঙ্গনে পৌষমেলার আদলে মঞ্চ তৈরি করে চলবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও।
১৮৪৩ সালের ২১ ডিসেম্বর দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর নিজের অনুগামীদের নিয়ে ব্রাহ্মধর্ম গ্রহণ করেন। ১৮৯১ সালের ২১ ডিসেম্বরে শান্তিনিকেতনে ব্রাহ্মমন্দির স্থাপিত হয়। ১৮৯৪ সালে ব্রাহ্মমন্দিরের প্রতিষ্ঠাদিবস হিসেবেই মেলার সূত্রপাত। প্রথম প্রথমে মন্দিরের উল্টোদিকের ছোট মাঠে মেলার আয়োজন হতো। পরবর্তী কালে তা পূর্বপল্লীর মাঠে সরিয়ে আনা হয়। সেই থেকে প্রতিবধর পৌষমেলা হয়ে আসছে। ১৯৪৩ সালে মন্বন্তর এবং ১৯৪৬ সালে সাম্প্রদায়িক হিংসার জন্য শুধুমাত্র পৌষমেলা বন্ধ ছিল।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/metaverse-mid.png)