Firhad on Anubrata: বীরভূমের বাঘ বেরিয়ে আসার অপেক্ষা, শিয়ালরা সব খাঁচায় ঢুকে যাবে, অনুব্রতর গড়ে বললেন ফিরহাদ
Birbhum News: বীরভূমের মাটিতে দাঁড়িয়েই শনিবার এমন মন্তব্য করেন ফিরহাদ। আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে রামপুরহাটে সভা করছিলেন ফিরহাদ।
কলকাতা: গরুপাচার কাণ্ডে জেলবন্দি থাকাকালীনই, লটারি নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়ছেন বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandal)। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে লটারির টিকিট বিক্রেতাদেরও। মেয়ে সুকন্যাকেও জেরা করা হচ্ছে দিল্লিতে। সেই পরিস্থিতিতেও ফের একবার অনুব্রতর পাশে দাঁড়াল তৃণমূল। সরাসরি বাঘের সঙ্গে অনুব্রতর তুলনা টানলেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)।
বীরভূমে দাঁড়িয়ে অনুব্রত-বন্দনা ফিরহাদ হাকিমের
বীরভূমের (Birbhum News) মাটিতে দাঁড়িয়েই শনিবার এমন মন্তব্য করেন ফিরহাদ। আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে রামপুরহাটে (Rampurhat News) সভা করছিলেন ফিরহাদ। সেখানেই অনুব্রতকে উপমা, প্রশংসায় ভরিয়ে দেন তিনি। ফিরহাদকে বলতে শোনা যায়, "বনের বাঘ না থাকলে শিয়ালরা লাফালাফি করে। বাঘ ফিরে এলে শিয়ালরা লেজ গুটিয়ে পালায়। বীরভূমের বাঘকে তোমরা কিছুদিনের জন্য খাঁচায় রেখেছো। সারাজীবন আটকে রাখতে পারবে না। বাঘ বেরিয়ে এলে শিয়ালরা সব খাঁচায় ঢুকে যাবে।"
বিগত কয়েক মাসে দুর্নীতি মামলায় নাম জড়িয়েছে একাধিক তৃণমূল নেতার। অন্য় কারও পাশে সে ভাবে না দাঁড়ালেও, বরাবর অনুব্রতর পাশে দাঁড়াতে দেখা গিয়েছে তৃণমূল। দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় খোদ অনুব্রতকে বীরের সম্মানে ফিরিয়ে আনার কথা বলেছিলেন। দলের সাংসদ শতাব্দি রায়ের গলাতেও একই সুর শোনা গিয়েছিল।
এ দিন ফিরহাদকে আরও বলতে শোনা যায়, "আজ যারা হুক্কা হুয়া করছে, তৃণমূলের সবাইকে চোর বলার অধিকার নেই বিজেপি-র। লটারি কেন পেল? আরে ভাই, তোমাকে খোঁজ নিতে হবে না। ভগবানকে বল ভাগ্য ফেরাতে। এগুলোকে বলে খিল্লিপনা।" ফিরহাদের এমন মন্তব্যে আরও একবার তৃণমূলের অবস্থান স্পষ্ট হয়ে গেল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
বাঘের সঙ্গে অনুব্রতর তুলনা ফিরহাদের
তবে ফিরহাদের মন্তব্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা। তাঁর কথায়, "মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় এখন ভয়ে ভয়ে রয়েছেন। যদি অনুব্রত মণ্ডল মুখ খোলেন, তাহলে কালীঘাটের অবস্থা শোচনীয় হবে। তাই অনুব্রতকে বীরের সম্মান দিয়েছেন। আর যিনি ইতিমধ্যেই টাকা উদ্ধারের কেলেঙ্কারিতে ফেঁসে রয়েছেন, তিনি তো অনুব্রতকে বাঘ বলবেনই। কারণ রতনে রতন চেনে। যারা বীরভূমে একটা লোকের গুন্ডামির উপর নির্ভর করে আছে, এতেই বোঝা যায়, গুন্ডা যারা জন সমর্থন নেই ওদের। দুর্নীতির পক্ষেই ওদের সমর্থন। "