Birbhum News: এলাকার দখলদারি ঘিরে গন্ডগোল লাভপুরে, বোমা বাঁধতে গিয়ে ২ জনের মৃত্যু ; আহত ১
Luvpur News: নকল কয়েন বিক্রি করে বিখ্যাত হাতিয়া গ্রাম। দীর্ঘদিন ধরে এই নকল কয়েনের ব্যবসা কাদের দখলে থাকবে তা নিয়ে দুই দল দুষ্কৃতীর মধ্যে লড়াই চলছে।

ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, লাভপুর : বীরভূমের লাভপুরে হাতিয়া গ্রামে বোমা বাঁধতে গিয়ে ২ জনের মৃত্যু হল। মৃতদের নাম- পিয়ার আলি ও সাবের আলি। এদের মধ্যে একজন স্থানীয় তৃণমূল নেতার ছেলে। তাদের মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে লাভপুর থানার পুলিশ। আহত হয়েছে আরও এক দুষ্কৃতী। গ্রামবাসীর একাংশের অবশ্য বক্তব্য, তৃণমূলের দুটি গোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদ। একটা জেলা সভাধিপতি কাজল শেখের গোষ্ঠী এবং অপরটি লাভপুরের বিধায়ক অভিজিৎ সিংহের ঘনিষ্ঠ আব্দুল মান্নান গোষ্ঠীর বিবাদের জেরে এই ঘটনা।
তৃণমূলের কোর কমিটির বৈঠকের কয়েক ঘণ্টা আগে উত্তপ্ত হয়ে উঠল লাভপুর। লাভপুরের হাতিয়া গ্রামে এলাকা দখলকে কেন্দ্রে করে দুই দল দুষ্কৃতীর মধ্যে ব্যাপক বোমাবাজি চলছিল। সেই সময় বোমা বাঁধতে গিয়ে অন্তত ২ জনের মৃত্যু হয়েছে, আহত হয়েছে আরও একজন।
প্রেক্ষাপট...
সোনার নকল কয়েন বিক্রি করে বিখ্যাত হাতিয়া গ্রাম। শুধু এই এলাকা নয়, গোটা পশ্চিমবঙ্গজুড়ে এদের জাল বিস্তৃত। লক্ষ লক্ষ কোটি টাকার কারবার। দীর্ঘদিন ধরে এই নকল কয়েনের ব্যবসা কাদের দখলে থাকবে তা নিয়ে দুই দল দুষ্কৃতীর মধ্যে লড়াই চলছে। হাতিয়ার বুথ সভাপতি শেখ মইনুদ্দিন ও তার সহযোগী শেখ মুস্তাফি বনাম নকল কয়েন বিক্রেতাদের মাথা শেখ মনিরের দ্বন্দ্ব।
এই পরিস্থিতিতে মাস ছয়েক ধরে ফেরার ছিল শেখ মইনুদ্দিন ও তাঁর সহযোগী শেখ মুস্তাফি। শুক্রবার সন্ধেয় গ্রামে ঢোকার চেষ্টা করে। অভিযোগ, শুরুতেই তাদের আটকে দেয় শেখ মনিরের লোকজন। হাথিয়া বাস স্ট্যান্ডের কাছে দুই পক্ষের মধ্যে তুমুল মারামারি শুরু হয়। ফের ৩ টের সময় গ্রামে ঢোকার চেষ্টা করে শেখ মইনুদ্দিন ও শেখ মুস্তাফি। আবারও তাদের আটকে দেওয়া হয়। এরপর সকাল ৭টায় আবার দলবল নিয়ে গ্রামে ঢুকতে যায় তারা। সেই সময় গ্রামেরই ছাতিম পুকুরের পাড়ে বসে বোমা বাঁধছিল মনিরের দলবল। বোমা ফেটে যায়।
সূত্রের খবর, ওই বিস্ফোরণে ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় অনেকেই। তাদের মধ্যে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ সুপার আমন দীপ জানান, বোমা বাঁধতে গিয়ে দু’জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। তদন্ত শুরু হয়েছে।
গত বছর মার্চে এই এলাকায় একটি নকল অস্ত্র কারখানার সন্ধান পেয়েছিল লাভপুর থানার পুলিশ। ঘটনাস্থলে গিয়ে আক্রান্ত হতে হয় পুলিশকে। গাড়ি ভাঙচুরও করা হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে বাধ্য হয়ে পুলিশ শূন্যে গুলি চালায়। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে ফের শিরোনামে হাথিয়া।






















