Birbhum News: 'কে স্টেজে এল, কে এল না, আমাদের কাছে ম্যাটার করে না', ইঙ্গিতপূর্ণ বার্তা কাজল শেখের
TMC News : আমন্ত্রিত ছিলেন সকলেই। কিন্তু, একপক্ষ এলেও, আরেকপক্ষ অনুপস্থিতই থেকে গেলেন।

ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, নানুর : বীরভূমের নানুরে, তৃণমূলের বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের জেলা কোর কমিটির আহ্বায়ক অনুব্রত মণ্ডলের অনুগামীরা। সেই মঞ্চ থেকেই নাম না করে একাধিক ইঙ্গিতপূর্ণ বার্তা দিলেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাধিপতি কাজল শেখ। যা ঘিরে খোঁচা দিতে দেরি করেনি বিজেপি। পাল্টা গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের তত্ত্ব উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল জেলা নেতৃত্ব।
আমন্ত্রিত ছিলেন সকলেই। কিন্তু, একপক্ষ এলেও, আরেকপক্ষ অনুপস্থিতই থেকে গেলেন। বীরভূমের নানুরে, বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠানের মঞ্চে অনুপস্থিত থাকলেন তৃণমূলের জেলা কোর কমিটির আহ্বায়ক অনুব্রত মণ্ডলের অনুগামীরা। আর দলীয় মঞ্চ থেকে নাম না করে ইঙ্গিতপূর্ণ বার্তা দিলেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাধিপতি কাজল শেখ। তিনি বললেন, "নানুরে মানুষ লড়াই করতে জানে। নানুরে মানুষ সংগ্রাম করতে জানে। নানুরে মানুষ রক্ত দিতে জানে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তারা আছে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আছে। কে স্টেজে এল, কে এল না, এটা ম্যাটার আমাদের কাছে করে না। এটা আমাদের কাছে কোনও বিষয় নয়। আমরা লড়াই করেছি। সংগ্রাম করেছি।"
কিন্তু কাদের উদ্দেশে এই বার্তা ? ৫ অক্টোবরের থেকে ব্লকে ব্লকে বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এক কথায়, তৃণমূলের মেগা আউটরিচ। বৃহস্পতিবার, বীরভূমের নানুরেও তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে আয়োজন করা হয় বিজয়া সম্মিলনীর। মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন, তৃণমূলের জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখ, বোলপুরের তৃণমূল সাংসদ অসিত মাল,
দুবরাজপুরের প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক নরেশ বাউড়ি, তৃণমূলের জেলা যুব সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সহ তৃণমূলের একাধিক নেতৃত্ব। কিন্তু অদ্ভূতভাবে, এদিনের অনুষ্ঠানে দেখা যায়নি অনুব্রত মণ্ডলের অনুগামীদের। তাৎপর্যপূর্ণভাবে এদিনের মঞ্চে দেখা যায়নি, রামপুরহাটের বিধায়ক তথা জেলা তৃণমূলের চেয়ারপার্সন আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় ও লাভপুরের তৃণমূল বিধায়ক অভিজিৎ সিংহ-কেও।
গোটা ঘটনা ঘিরে তৃণমূলকে খোঁচা দিতে ছাড়েনি বিজেপি। বীরভূম সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি ধ্রুব সাহা বলেন, "তৃণমূলের এই গোষ্ঠী কোন্দল এবং তৃণমূলের ভাগ-বাঁটোয়ারা...ভাগাভাগি...এটাকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের বিসর্জন হবে। " অন্যদিকে, রামপুরহাটের তৃণমূল বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "কাজল কিন্তু বলেননি কখনো যে এটা অন্তর্দ্বন্দ্ব, সেটা বলেছেন কী ? তা তো বলেননি। রামপুরহাটে কি সবাই আসতে পেরেছিলেন ? আসতে পারেননি।"
সূত্রের খবর, পুজোর পর থেকে বীরভূমে তৃণমূলের একাধিক বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠানে একসঙ্গে দেখা যায়নি লাল মাটির জেলার তৃণমূলের দুই হেভিওয়েট নেতাকে।একইভাবে, নানুরের সভাতেও এক মঞ্চে এলেন না দুই নেতা। কাজে বিধানসভা নির্বাচনের আগে, দ্বন্দ্ব থেকেই গেল ঘাসফুল শিবিরে।






















