Birbhum News: দেউচায় কয়লার বোরিংয়ের কাজ শুরু
Deucha Coal boring Start :আরও একধাপ এগোলো কয়লা শিল্প। দেউচা পাচামিতে শুরু হল কয়লার বোরিং।
এরশাদ আলম,বীরভূমঃ আরও একধাপ এগোলো কয়লা শিল্প (Coal Project)। দেউচা পাচামিতে (Deucha Pachami Coal Project) শুরু হল কয়লার বোরিং। হরিণশিঙা দেওয়ানগঞ্জ প্রথম প্রজেক্ট এলাকার কেন্দ্রগড়িয়া গ্রামে কতফুট নিচে কোথায় কয়লা রয়েছে তা দেখার জন্য বোরিং করা হচ্ছে। গ্রামবাসীদের দাবি, তাঁরা শিল্পের পক্ষে রয়েছেন। তবে তাঁদের জন্য সরকারও যেন ভাবেন। আজ দেউচা পাচামিতে পুলিশের ঘেরাটোপে বোরিং শুরু হয়। ছিলেন বিডিও, বিএলআরও। পিডিসিএলের আধিকারিকরাও ছিলেন।
আরও পড়ুন, আগামীকাল থেকে কলকাতায় বিনামূল্যে বুস্টার
বৃহস্পতিবার দেউচা পাচামিতে পুলিশি ঘেরাটোপের মধ্যে দিয়ে শুরু হল কয়লার বোরিংয়ের কাজ। হরিণশিঙা দেওয়ানগঞ্জ প্রথম প্রজেক্ট এলাকার কেন্দ্রগড়িয়া গ্রামে কতফুট নিচে কোথায় কয়লা রয়েছে তা দেখার জন্য বোরিং করা হচ্ছে।মোট ১৪ টি জায়গায় বোরিং করা হবে। গ্রামবাসীদের দাবি, তাঁরা শিল্পের পক্ষে রয়েছেন। তবে তাঁদের জন্য সরকারও যেন ভাবেন। কারণ তাদের অনেকেরই জমি নেই, কোনও রকমে পাথর কলে কেউ বা আবার পাথর ভেঙে দিন গুজরান করেন। আজ পুলিশের ঘেরাটোপে বোরিং শুরু হয়। ছিলেন বিডিও, বিএলআরও এবং পিডিসিএলের আধিকারিকরাও উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, দেউচা পাচামি প্রস্তাবিত কয়লা খনি এলাকায় যারা জমি দিতে ইচ্ছুক, তাঁদের পরিবারের একজন সরকারি চাকরি পাবে, গত ফেব্রুয়ারিতেই ঘোষণা করেছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন যে, ডেউচা পাঁচামি প্রস্তাবিত কয়লা খনি এলাকায় জমিদাতাদের পরিবারের একজনকে চাকরি দেবে রাজ্য সরকার। চাকরি মিলবে কনস্টেবল পদে। তার জন্য সরকার ৫১০০ পদ তৈরি করেছে। স্বাভাবিকভাবেই এই চাকরির প্রস্তাব আসতেই, জমিদাতাদের উৎসাহ বাড়ে। অনেক তরুণ-তরুণী চাকরির আশায় জমি দান করেছেন।
সম্প্রতি, জুলাইয়ের শুরুতেই সিউড়ির ইনডোর স্টেডিয়ামে একটি অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে চাকরির এই নিয়োগ পত্র তুলে দেওয়া হয়। যেখানে উপস্থিত ছিলেন বীরভূম জেলাশাসক বিধান রায় সহ অন্যান্য জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই সকল জমিদাতাদের চাকরির নিয়োগের বিষয়ে আগেই ঘোষণা করেছিলেন। সেইমতো তাদের শারীরিক প্রশিক্ষণ সহ অন্যান্য প্রশিক্ষণ শুরু হয়। সেই সকল প্রশিক্ষণ শেষে অবশেষে শুক্রবার প্রায় ৩০০ জনের হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের চূড়ান্ত নিয়োগপত্র তুলে দেয় বীরভূম জেলা প্রশাসন।