Birbhum News: সাঁইথিয়ায় মিড ডে মিলের খিচুড়িতে টিকটিকি ! অসুস্থ বেশ কয়েকজন পড়ুয়া; বিক্ষোভ স্থানীয়দের
Mid Day Meal Food: অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মীদের আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখালেন অভিভাবক এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ
ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, সাঁইথিয়া : মিড ডে মিলের খিচুড়িতে মিলল টিকটিকি। সেই খিচুড়ি খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছে বেশ কয়েকজন ছাত্রছাত্রী। এমনই অভিযোগ তুলে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মীদের আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখালেন অভিভাবক এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ। পুলিশ গিয়ে তাঁদের উদ্ধার করে। শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে সাঁইথিয়ার ১৯৭ নম্বর নবডাঙাল অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে।
কয়েক মাস আগে ময়ূরেশ্বরের মণ্ডলপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মিড-ডে মিলের খাবারে সাপ পাওয়া গিয়েছিল। সেই খাবার খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে জনা ৩০ ছাত্রছাত্রী। কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে স্কুলের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষককে সরিয়ে দেওয়া হয়। সম্প্রতি কীর্ণাহারের একটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে বিছে মিলেছিল বলে অভিযোগ। এ বার খিচুড়িতে টিকটিকির অভিযোগ উঠল সাঁইথিয়ায়।
প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নবডাঙা অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র থেকে ৫০ জন ছাত্রছাত্রী, প্রসূতি এবং গর্ভবতীকে রান্না করা খাবার দেওয়া হয়। সেই মতো এ দিন যে যাঁর খাবার বাড়ি নিয়ে গিয়ে খেতে শুরু করেন। তখনই এক ছাত্রের খিচুড়ির মধ্যে টিকটিকি পড়ে থাকতে দেখা যায় বলে অভিযোগ। এর পরেই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে গিয়ে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন অভিভাবক ও গ্রামবাসীর একাংশ। কেন্দ্রের কর্মী প্রতিভা মণ্ডল এবং সহায়িকা নয়ন বাগদিকে আটকে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তাঁরা। খবর পেয়ে সাঁইথিয়া থানার পুলিশ গিয়ে কর্মী ও সহায়িকাকে উদ্ধার করে। খবর পেয়ে আসেন স্থানীয় মাঠপলশা পঞ্চায়েতের প্রধান সান্ত্বনা খাতুন এবং সিডিপিও শিলাদিত্য বাগচি।
গ্রামবাসী সাহিনা সুলতানা, সাকিলা বিবি, সালিমা সুলতানা বলেন, “এর আগেও একবার খাবারে টিকটিকি পড়েছিল। বারবার বলা সত্ত্বেও কর্মীরা শোধরাননি। নোংরা বাসনপত্রেই রান্না করা হয়। আমরা কর্মী এবং সহায়িকার বদলি চাইছি।”
পঞ্চায়েত প্রধান বলেন, “আমি এসে দেখলাম, সত্যিই খাবারে টিকটিকি পড়ে আছে। তিন-চার জন ছাত্রছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তাদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।”
যদিও কর্মী প্রতিভা দাবি করেছেন, রান্না করা কিংবা খিচুড়ি বিলির সময় টিকটিকি নজরে পড়েনি। বাড়ি নিয়ে যাওয়ার পরে কী করে খিচুড়িতে টিকটিকি এল বুঝতে পারছি না।
সাঁইথিয়া ব্লকের সুসংহত শিশুবিকাশ প্রকল্প আধিকারিক (সিডিপিও) শিলাদিত্য বাগচি জানিয়েছেন, যে সব ছাত্রছাত্রী খাবার খেয়েছে তাদের সুস্থ রাখা প্রাধান লক্ষ্য। গ্রামবাসীর দাবি মেনে কর্মী এবং সহায়িকাকে সাময়িকভাবে অন্যত্র সরিয়ে দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।