TMC: প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পে কাটমানি নিয়েছেন তৃণমূল সদস্যা! বীরভূমে বড় অভিযোগ
Birbhum News: সদ্য কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা খরচের হিসেব খতিয়ে দেখে গেছে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। তারপরই তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে উঠল কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ।
নান্টু পাল, বীরভূম: তৃণমূলের (TMC) এক পঞ্চায়েত (Panchayat) সদস্যার বিরুদ্ধে কাটমানি (Cut Money) চাওয়ার অভিযোগ উঠল। বীরভূমের (Birbhum) মুরারই ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা। অভিযোগকারী স্থানীয় বাসিন্দা। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পঞ্চায়েত সদস্য। এ নিয়ে বিডিওর (BDO) কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
সদ্য কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা খরচের হিসেব খতিয়ে দেখে গেছে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। তারপরই তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে উঠল কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ। এই ঘটনা বীরভূমের মুরারই ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ভাদিশ্বরের।
কী অভিযোগ?
স্থানীয় বাসিন্দা আশ্রানন্দ ভুঁইমালির দাবি, ২০২০ সালে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় বাড়ি তৈরির জন্য তিনি প্রথম কিস্তির ৬০ হাজার টাকা পান। সেসময় মুরারই ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূলের সদস্য অনিতা রবিদাস ১০ হাজার টাকা কাটমানি নেন বলে অভিযোগ। এই অগাস্টে তাঁর দ্বিতীয় কিস্তির টাকা পাওয়ার কথা ছিল। এবারও তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য অনিতা রবিদাস ১০ হাজার টাকা কাটমানি চান বলে অভিযোগ। ৪ অগাস্ট, স্থানীয় বিডিও’র কাছে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন আশ্রানন্দ।
কাটমানি-অভিযোগ অস্বীকার তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য অনিতা রবিদাসের। তিনি বলেন, "মিথ্যে অভিযোগ। আমাকে বদনাম করার জন্য বিরোধীদের চক্রান্ত। টাকা পয়সা নিয়ে ওর সঙ্গে কোনও কথাই হয়নি।" অন্যদিকে বিডিও প্রণব চট্টরাজ বলেন, "অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"
আরও পড়ুন, মাদক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে প্রত্যক্ষ যোগ রয়েছে পুলিশের! বিস্ফোরক অভিযোগ শাসকদলের বিধায়কের
পঞ্চায়েত ভোটের আগে কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। বীরভূমের বিজেপির সাংগঠনিক সভাপতি ধ্রুব সাহা বলেন, "আমরা অনেকবারই বলেছি, তৃণমূলের সবাই চোর। আবারও প্রণামিত হল তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য চোর। সমস্ত কিছুর তদন্ত হোক। আমরা ফের কেন্দ্রীয় টিমকে বীরভূমে আসার দাবি জানাচ্ছি।"
মুরারই ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল নেতা ও সহ সভাপতি বিপ্লব শর্মা বলেন, "আমি বিষয়টি দলের নেতৃত্বকে জানাব। এটা করে থাকলে খুবই খারাপ। টাকা নিয়ে থাকলে আইনত ব্যবস্তা নেওয়া হবে।" এদিকে, আবাস যোজনার দ্বিতীয় কিস্তির টাকা না মেলায়, আশ্রানন্দর বাড়ির ছাদ ঢালাই হয়নি। বর্ষায় গোটা পরিবারকে নিয়ে দিন কাটাতে হচ্ছে ত্রিপলের ছাউনির নীচে।