Birbhum News:বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে ছাই সিউড়ির অস্থায়ী সবজি বাজারের একাধিক দোকান, অগ্নিদগ্ধ ১
Fire At Market: বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে ছাই সিউড়ি থানার বেনেপুকুর পাড়ার অস্থায়ী সবজি মার্কেটের সাত-সাতটি দোকান। অগ্নিদগ্ধ এক জন। তাঁকে উদ্ধার করে সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বীরভূম: বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডে (Fire) পুড়ে ছাই সিউড়ি (Suri Fire) থানার বেনেপুকুর পাড়ার অস্থায়ী সবজি মার্কেটের (Vegetable Market Fire) সাত-সাতটি দোকান। অগ্নিদগ্ধ (One Burnt) এক জন। তাঁকে উদ্ধার করে সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
কী ঘটেছিল?
শনিবার গভীর রাতের ঘটনা। হঠাতই সিউড়ি থানার বেনেপুকুর পাড়ার ওই অস্থায়ী সবজি মার্কেটে আগুন দেখতে পাওয়া যায় বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীদের একাংশ। অভিযোগ, আগুনের আঁচে ৭টি অস্থায়ী দোকান পুড়েও যায়। সেই সময়ই বাজারে নিজের দোকানে শুয়েছিলেন জিদান দাস নামে এক ব্যক্তি। তিনি ওই ঘটনায় অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন। ঘটনাস্থলে দমকল বাহিনীর কর্মীরা পৌঁছে জিদানকে উদ্ধার করেন এবং সিউড়ি সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে নিয়ে যান। যদিও হাসপাতাল সূত্রে খবর, তাঁর অবস্থা গুরুত্বর। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে দমকলের দুটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। কী ভাবে সবজি মার্কেটে আগুন লাগল, তা দমকল আধিকারিক এবং সিউড়ি থানার পুলিশ খতিয়ে দেখছে। যদিও কলকাতা-সহ রাজ্যের নানা প্রান্তে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা নতুন নয়। গত ডিসেম্বরেই যেমন ট্যাংরায় প্লাস্টিক কারখানায় ভয়াবহ আগুন লেগে কালো ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছিল আশপাশ, আতঙ্ক ছড়ায় লাগোয়া ঘন জনবসতিতে।
বার বার অগ্নিকাণ্ড...
ট্যাংরায় আগুনের কিছু দিন আগেই আবার গড়িয়ার জনবহুল এলাকায় ভয়ঙ্কর আগুন লাগে। আস্ত একটি বাড়ি সেবার আগুনের গ্রাসে চলে যায়। কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় গোটা এলাকা। স্থানীয় সূত্রে দাবি, ঘটনার দিন ভোর সাড়ে পাঁচটা নাগাদ গড়িয়ায় স্টেশনের কাছে তেঁতুলবেড়িয়া এলাকায় আগুন লাগে। বাড়িতে কেউ থাকেন না বলেই খবর। বিধ্বংসী এই আগুনকে নিয়ন্ত্রণে আনতে নাকানিচোবানি খেতে হল দমকলকর্মীদের। বহুক্ষণ আগুনের গ্রাসে চলে যাওয়া বাড়িটির ভিতরে ঢুকতেই পারেননি দমকল কর্মীরা। সকাল সাড়ে সাতটা পেরিয়ে গেলেও আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি। ঘটনাস্থলে দমকলের ৫টি ইঞ্জিন পৌঁছয়। স্থানীয় সূত্রে খবর, স্পিকার তৈরির কারখানা হিসেবে বাড়িটি ব্যবহৃত হত। ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় আগুনে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। এলাকার মানুষ আতঙ্কে বাইরে বেরিয়ে আসেন। এই আগুন যাতে পাশাপাশি বাড়িতে যেন না ছড়িয়ে পড়ে, তার জন্যই লড়াই চালান দমকল কর্মীরা। এত ঘনজনবসতিপূর্ণ এলাকায় কারখানা কীভাবে চলছিল ? কেন অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থাও নেই সেখানে, প্রশ্ন উঠেছিল সেবার। আবার একই সময়ে ডোমজুড়ে ১৬ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে লরির গ্যারাজে হঠাৎ আগুন লেগে যায়। দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে গ্যারাজটি। লরি ছাড়াও বেশ কয়েকটি গাড়ি ও বাইক আগুনে ভস্মীভূত হয়ে যায়। গ্যারেজ থেকে আগুন ছড়িয়ে পড়ে পাশের কয়েকটি গোডাউনেও। আগুন নেভাতে কয়েক ঘণ্টার লড়াই দমকলের ৩টি ইঞ্জিনের । বন্ধ গ্যারাজে ইলেকট্রিকাল শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লাগতে পারে, অনুমান ছিল দমকলের।
আরও পড়ুন:এটিএম কার্ডেই থাকে ১০ লক্ষ টাকার বিমা ! দাবি আদায়ে লাগে এই কাগজপত্র