(Source: Poll of Polls)
Anubrata Mondal:জেলে বসেই কি বীরভূমে দল পরিচালনা করছেন অনুব্রত মণ্ডল, ফের ইঙ্গিত কাজল শেখের
Birbhum News:জেলে বসেই কি বীরভূমে দল পরিচালনা করছেন অনুব্রত মণ্ডল? প্রশ্ন খোদ তৃণমূল নেতা কাজল শেখের। বললেন, 'বিকাশদা বলছেন, কেষ্টদার কথামতোই দল চলছে। হয়তো বিকাশদার সঙ্গে মোবাইলে কেষ্টদার কথা হচ্ছে।'
বীরভূম:জেলে বসেই কি বীরভূমে (birbhum) দল পরিচালনা করছেন অনুব্রত মণ্ডল (anubrata mondal)? প্রশ্ন খোদ তৃণমূল নেতা (TMC Leader Kajal Sheikh) কাজল শেখের।
কী বললেন কাজল?
কাজলের অভিযোগ, 'জেলা কমিটির বৈঠকের আগে কোর বৈঠক হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু তা হচ্ছে না।' তাঁর সংযোজন, 'গত কাল আমি জেলা কমিটিকে পরামর্শ দিয়েছি। সারা দিন বাড়িতে না বসে থেকে পার্টি অফিসে আসুন। দিদি নিজেই সপ্তাহে এক দিন আলোচনার জন্য বলে গিয়েছেন। কিন্তু আপনারা তাঁর কথাও শুনছেন না। বিকাশদা বলছেন, কেষ্টদার কথামতোই দল চলছে। হয়তো বিকাশদার সঙ্গে মোবাইলে কেষ্টদার কথা হচ্ছে।' প্রসঙ্গত সিউড়ির বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরীর আবার বক্তব্য, 'অনুব্রত মণ্ডল যেমন বলছেন, তেমনই হচ্ছে।' এ নিয়ে কাজল শেখের পাল্টা কটাক্ষ, 'তা হলে হয়তো নিশ্চয়ই অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে বিকাশ রায়চৌধুরীর ফোনে কথা হচ্ছে'। তৃণমূলের কোর কমিটির সদস্য হওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই ফের বিস্ফোরক দাবি কাজল শেখের। তবে এটিই প্রথম বার নয়।
আগেও বিস্ফোরক দাবি...
গত বছর বীরভূমে নানুরের চারকল গ্রাম অঞ্চলে সম্মেলন হয় তৃণমূলের। সেখানে কাজল শেখ বলেছিলেন, 'তৃণমূল ক্ষমতায় এলেও কর্মীদের বিপদে পাশে দাঁড়াননি দলের নেতারা। উল্টে তৃণমূল নেতা, কর্মীদের খুনে জড়িতদের দলে নেওয়া হয়েছে।' নিচুতলা ও পুরনো কর্মীরা দলে গুরুত্ব পাচ্ছেন না বলেও কাজল শেখের দাবি। তিনি আরও বলেন, 'সিপিএমকে হঠাতে নানুরের বুকে যে সমস্ত কর্মীরা শহিদ হয়েছেন। আজ দলের নেতারা সেই সমস্ত পরিবারের কেউ খোঁজ রাখেন না। যাদের বলিদানে তৃণমূল নানুরের ক্ষমতায় এলো সেই সমস্ত পরিবারগুলোকে আজ তাঁরা ভুলে যাচ্ছেন। যে সমস্ত লোকজনেরা একসময় তৃণমূল নেতাদের খুন করেছেন, দলের কিছু নেতা তাঁদেরই দলে নিয়েছেন। নানুর বিধানসভার মানুষ প্রতিবাদ করতে জানে লড়াই করতে জানে তাই ২০১১ সালে যিনি বিধায়ক ছিলেন ২০১৬ সালে তিনি গোহারা হেরেছেন। তার কারণ একটাই তিনি সেই হার্মাদদের নিয়ে দল গঠন করেছিলেন। আর তাদেরকে সামনে নিয়েই ঘুরে ছিলেন।' কাজল শেখ তৃণমূল নেতৃত্বকে হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন। ২০১১ সালের আগে তাঁদের দলের কর্মীদের ও পরিবারের সদস্যদের যারা খুন করেছে, সেই লোকগুলিকে যদি এই দলে ঠাঁই দেওয়া হয়, তাহলে আগামী নির্বাচনে নানুর ব্লকের বাসিন্দারা তার ফল মিলিয়ে নেবেন। তাঁর ক্ষোভ, যখন তিনি রাজনৈতিক মামলায় জড়িয়ে পড়েছেন, কোর্টে মামলা লড়েছেন, নানুর ব্লকের কোনও নেতা কখনও খোঁজ নেননি। ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ ও নানুরের বর্তমান বিধায়ক বিধান চন্দ্র মাঝি। উপস্থিত ছিলেন নানুর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি সুব্রত ভট্টাচার্য। তাঁদের সামনেই এমন কথা বলেছিলেন কাজল।
এবার ফের বিস্ফোরক তিনি।
আরও পড়ুন:মা শিল্পী হতে পারতেন, সেতার ছেড়েছিলেন আমার জন্য: ঋষভ