Abhishek Banerjee: 'বেঁধে রাখবেন গাছে', জাতীয় নির্বাচন কমিশনে গিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে নালিশ BJP-র
TMC News: গত সপ্তাহেই পানিহাটিতে প্রদীপ করের বাড়িতে যান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। হুঁশিয়ারির সুর শোনা যায় তাঁর গলায়।

বিজেন্দ্র সিং, অনির্বাণ বিশ্বাস, রঞ্জিত সাউ, কলকাতা : জাতীয় নির্বাচন কমিশনে গিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে নালিশ জানাল বিজেপি। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের 'গাছে বেঁধে রাখা' মন্তব্য নিয়ে কমিশনের কাছে অভিযোগ জানানো হল বিজেপির তরফে। এরই সঙ্গে, তৃণমূলের বিরুদ্ধে BLO-দের হুমকি দেওয়ার অভিযোগও করল বিজেপি।
SIR ইস্যুতে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। মঙ্গলবারই মেগা কর্মসূচি রয়েছে তৃণমূলের। পথে নামছেন খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগের দিন নির্বাচন কমিশনে গিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের বিরুদ্ধে নালিশ জানিয়ে এল বিজেপি। পানিহাটিতে এনআরসির ভয়ে প্রদীপ করের আত্মহত্য়ার অভিযোগ ঘিরে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। গত সপ্তাহেই পানিহাটিতে প্রদীপ করের বাড়িতে যান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। হুঁশিয়ারির সুর শোনা যায় তাঁর গলায়। তিনি বলেন, "স্থানীয় বিজেপি নেতারা যদি এখানে ঢোকেন, ঘিরে ধরবেন এদের। বলবেন, বাবা-ঠাকুর্দার সার্টিফিকেট নিয়ে আয়, তারপরে প্রচার করতে আসবি। বেঁধে রাখবেন গাছে, পোস্টে বেঁধে রাখবেন। হাত তুলবেন না। আমরা শান্তিতে বিশ্বাস করি। বলবেন, সার্টিফিকেট নিয়ে আয়, তারপর তোর দড়ি খুলব।" অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতেই সরাসরি দিল্লির নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হল বিজেপি।
বিপ্লব দেব বলেন, "ভাইপোর যে স্টেটমেন্ট ...যে গাছে বেঁধে রাখবে ইলেকশন কমিশনকে, ওদের মেয়রের যে স্টেটমেন্ট, সেগুলো আমরা অবগত করিয়েছি। আমরা আশা করি, নির্বাচন কমিশন কড়া পদক্ষেপ নেব।" পাল্টা তৃণমূলের রাজ্য সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, "নির্বাচন কমিশনকে গিয়ে বিজেপির নেতারা যা ইচ্ছা বলতে পারেন,বরং আমরা যে অভিযোগ করেছি, নির্বাচন কমিশনারের কাছে শুভেন্দু অধিকারীর ভিডিও দেখিয়ে...তার উপরে যেন নির্বাচন কমিশন ব্যবস্থা নেয়। শুভেন্দু অধিকারীর এই কথার জন্য তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর করে গ্রেফতার করার মতো অবস্থা হয়েছে। এবার নির্বাচন কমিশন কী করবে ! আমরা জানি, বিজেপির সঙ্গে তাদের বিশেষ সখ্য আছে।"
জাতীয় নির্বাচন কমিশনে তৃণমূলের বিরুদ্ধে BLO-দের হুমকি দেওয়ার অভিযোগও করে বিজেপি।
রাজ্য বিজেপির সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য বলেন, "আমাদের মূল বিষয় এটাই যে, ১২টি রাজ্যে এসআইআর হচ্ছে। একমাত্র রাজ্য পশ্চিমবঙ্গে যেখানে বিএলওরা সিআইএসএফের সুরক্ষা দাবি করছেন। এই যে ভয় এবং আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করে তৃণমূল কংগ্রেস চতুর্থবারের জন্য ক্ষমতায় আসার চেষ্টা করছে, মুখ্যমন্ত্রী মুখ্যসচিবের উপস্থিতিতে সরাসরি সিইও সম্পর্কে যে মন্তব্য করেছেন, তাতে কার্যত তো তারা যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার মধ্যে থেকে নির্বাচন কমিশনের কর্তৃত্বকে চ্যালেঞ্জ করছে। কন্সটিটিউশনাল বডিকে চ্যালেঞ্জ করছে। এই বিষয়গুলোই আমরা মূলত জানিয়ে এসেছি।"
পাল্টা কুণাল ঘোষের বক্তব্য, "বিএলওদের নিরাপত্তা তো জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে ভাবতেই হবে। নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব এটা। আমাদের এখানে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ, সুন্দর পরিবেশ। কিন্তু, কিছু জায়গায় তো পুরোটাই নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব। অপরিকল্পিতভাবে, হটকারী সিদ্ধান্ত নিয়ে তড়িঘড়ি বিএলওদের নামালে তার দায়িত্ব তো নিশ্চয়ই নির্বাচন কমিশনকেই নিতে হবে। রাজ্য সরকার তার সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করছে এবং করবে।" কমিশনে বিজেপির এই নালিশের রেশ কত দূর যায় সেটাই এখন দেখার।






















