BJP : "বর্তমান রাজ্য সভাপতি আড়াই বছর রাজনীতি করছেন", একহাত অমিতাভকেও; সুর চড়ালেন জয়প্রকাশ-রীতেশ
Jayprakash Majumdar and Ritesh Tiwari ; সাময়িক বরখাস্ত হওয়ার পরেই বিস্ফোরক জয়প্রকাশ মজুমদার। আজ রীতেশ তিওয়ারিকে সঙ্গে নিয়ে যৌথভাবে সাংবাদিক বৈঠক করেন তিনি। সুর চড়ান রীতেশও
কলকাতা : "বর্তমান রাজ্য সভাপতি আড়াই বছর রাজনীতি করছেন । সাংগঠনিক সাধারণ সম্পাদকের মাত্র ২ বছরের অভিজ্ঞতা।" সাময়িক বরখাস্ত হওয়ার পরেই বিস্ফোরক জয়প্রকাশ মজুমদার (Jayprakash Majumdar)। আজ রীতেশ তিওয়ারিকে (Ritesh Tiwari) সঙ্গে নিয়ে যৌথভাবে সাংবাদিক বৈঠক করেন তিনি। সুর চড়ান রীতেশও।
রবিবারই বঙ্গ বিজেপির তরফে দুই বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার এবং রীতেশ তিওয়ারিকে শোকজ করা হয়েছিল। বিষয়টি নিয়ে তাঁরা প্রকাশ্যেই মুখ খোলেন! কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের বাড়িতে গিয়ে দেখাও করেন জয়প্রকাশ মজুমদার। এরপর গতকাল বিজেপি (BJP) থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয় তাঁদের। শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়। এনিয়ে আজ যৌথভাবে সাংবাদিক বৈঠক করেন তাঁরা।
আরও পড়ুন ; বিজেপি থেকে এবার সাময়িক বরখাস্ত রীতেশ-জয়প্রকাশ
জয়প্রকাশ বলেন, "অনেকেই আশায় বুক বেঁধেছিলেন, সামনের দিকে বিজেপি ক্ষমতায় আসতে চলেছে। বিজেপির এই উত্থানকে কয়েকজন নেতা ভালোভাবে মেনে নিতে পারছিলেন না। তখনই বাংলার বিজেপিকে দুর্বল করে দেখানোর একটা চেষ্টা শুরু হয়। বাইরে থেকে নেতা এনে বঙ্গ বিজেপিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা শুরু হয়। তখনই মনে হয়েছিল, এটা ঠিক নয়। যারা বিজেপিকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন, তাদের অগ্রাহ্য করার চেষ্টা শুরু হয়। বিজেপির এই চেষ্টাকেই অন্য দলেরা বহিরাগত বলে আক্রমণ শুরু করে। বহু বিজেপি কর্মীর মৃত্যু হয়েছে, নতুন কৌশলে তাদের সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে। ভোটের কয়েকমাস আগে বলা হয় দিল্লি, মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ থেকে লোক এনে দেখিয়ে দেব। ভিন রাজ্য থেকে লোক এনে দেখিয়ে দেব, এটা বলা হয় । কংগ্রেসেও দেখেছিলাম সেন্ট্রাল কমান্ডের দাপট, বিজেপিতেও বাংলার নেতার গুরুত্বও খর্ব করা হয়েছে।"
অন্যদিকে, রীতেশ বলেন, "২২ জানুয়ারি সংবাদমাধ্যম জানল, ২৩ জানুয়ারি শোকজের খবর পেলাম। শোকজের চিঠির মধ্যে কোনও সময়সীমা নেই। যারা চিঠিও লিখতে পারে না, তাদের কাছ থেকে সার্টিফিকেট দরকার নেই। লাইভ সম্প্রচারের সময় খবর পেলাম আমাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। আমরাই বোধহয় প্রথম কোনও রাজনৈতিক কর্মী, যাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হল!’ যাদের জনজীবনে কোনও অবদান নেই, তারাই মধু ভোগ করতে এসেছিলেন। মমতা, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছ থেকে সুবিধে পেয়েছেন, তারাই এসব করছেন।"