Sajal Ghosh: 'ইটের বদলে পাটকেল না মারতে পারলে হবে না', পাল্টা মারের 'দাওয়াই' সজলের; তৃণমূল বলল, 'অজুহাত তৈরি'
WB Assembly Election: এই পরিপ্রেক্ষিতে এবার ২০২৬-এর ভোটের আগে পাল্টা মারের দাওয়াই দিলেন বিজেপি নেতা সজল ঘোষ।

কলকাতা : দিন দিন চড়ছে রাজ্য রাজনীতির পারদ। এখন থেকেই সুর চড়াচ্ছেন রাজনৈতিক নেতারা। শাসক থেকে বিরোধী, উভয়পক্ষই একে অপরকে নিশানা করছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে এবার ২০২৬-এর ভোটের আগে পাল্টা মারের দাওয়াই দিলেন বিজেপি নেতা সজল ঘোষ।
এদিন বিজেপি নেতা সজল বলেন, "মারপিট না করলে, ইটের বদলে পাটকেল না মারতে পারলে হবে না। এটা ফ্যাক্ট। মারের বদলে যদি আপনি না মারতে পারেন...শুনুন...যেখানে আপনি মারের বদলে মারবেন...খারাপভাবে নেবেন না, এটাই সত্যি। যেখানে আপনি মারের বদলে মারবেন সেখানে তুলনামূলকভাবে...প্রশাসনও খানিকটা নিরপেক্ষতা বজায় রাখবে। কারণ, দিনের শেষে থানাকে দেখাতে হয় আমার এরিয়া শান্ত। সেটা শ্মশানের শান্তি হলেও ওদের অসুবিধা নেই। বরানগরে আমরা পারিনি ঠিকঠাক মারতে, যেভাবে তারা ভোট দখল করেছিল, আমাদের পার্টি অফিস দখল করেছে, পার্টি অফিস ভেঙেছে...ক্যাম্প ভেঙেছে...আমরা সেটা পারিনি। এবার যে অবস্থা আছে...মানে আমার জন্য ওখানে বিজেপি জিতবে না। বিজেপির জন্য জিতবে না। যাকে প্রার্থী দিয়েছে, তিনি যদি প্রার্থী থাকেন, বিজেপির প্রার্থী না ঘোষণা করে বিজয় মিছিল করা উচিত।"
পাল্টা জবাব দিয়েছে শাসক দল। তৃণমূল মুখপাত্র অরূপ চক্রবর্তী বলেন, "দাওয়াইয়ের ইতিহাস তো বাংলায় নতুন কিছু নয়। এর আগে বৃন্দা কারাত দমদম দাওয়াইয়ের নিদান দিয়েছিলেন নন্দীগ্রাম পর্বে...সিপিএম আজ ইতিহাস। রাজ্য থেকেই মুছে গেছে। শুভেন্দু অধিকারী, সজল ঘোষদের দল ক্ষমতায় আসেনি, তাতেই দাওয়াই দেওয়ার হুমকি দিচ্ছেন। ওঁর আর এক নেতা, গত বিধানসভা নির্বাচনের সময় শীতলকুচিতে যখন বুক লক্ষ্য করে বুলেট চালানো হয়েছিল, তখনও হুমকি দিয়েছিলেন, সিআরপিএফকে বলব গুলি যেন একটাও মিস না হয়। বুক লক্ষ্য করে যেন যায়। বাংলার মানুষ তার জবাব রাজনৈতিকভাবে দিয়েছিল। আসলে সজল ঘোষ, শুভেন্দু অধিকারীদের সঙ্গে বুথে বসার এজেন্ট নেই। ওঁরা নিজেরাই স্বীকার করেছেন, ৩৫ হাজার বুথে বসার ওঁরা এজেন্ট খুঁজে পাচ্ছেন না। তারজন্য সিরিআরপিএফ, যৌথবাহিনী, কেন্দ্রীয়বাহিনীকে দিয়ে গুলি চালিয়ে ভোট দখল করতে হবে। হয় এসআইআর করে ভোট চুরি করতে হবে, নয়তো গুন্ডামি করে ভোট লুঠ করতে হবে। বাংলার মানুষ রাজনৈতিক সচেতন। বাংলার মানুষ চিরকাল বুলেটের জবাব ব্যালটে দিয়েছে। নির্বাচনেও সেটা দেবে। বুঝতে পেরেছেন বলেই এখন থেকে হারার অজুহাত তৈরি রাখছেন। সজল ঘোষরা যদি এইসব না করে মানুষের পাশে থাকতেন, যদি সত্যি সত্যি মানুষের কথা শুনতেন, তাহলে আজ এরকম বড় বড় ডায়ালগবাজি করতে হত না। মানুষই আপনাদের আশীর্বাদ করত। ১৮ থেকে ১২-তে নেমেছেন লোকসভায়, ৭৭ থেকে ২৭ হবেন কি না, বিরোধী দল হতে পারবেন কি না সেটা আগে নজর রাখুন। পরে এইসব গরম গরম ডায়ালগ দেবেন।"























