Suvendu Adhikari: ধনকড়ের অভিযোগই খুঁচিয়ে তুললেন, করোনার সময় PPE কিটে দুর্নীতির অভিযোগ, ED-কে চিঠি শুভেন্দুর
PPE Kit Scam Allegations: শুধুমাত্র ED-ই নয়, আয়কর দফতর এবং কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রককেও চিঠি দিয়েছেন শুভেন্দু।
কলকাতা: করোনা কালে PPE নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ। এবার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটকে চিঠি লিখলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে PPE কিট-সহ চিকিৎসার সরঞ্জাম কেনায় দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন তিনি (PPE Kit Scam Allegations)। করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কেন্দ্রীয় সরকার যে টাকা বরাদ্দ করেছিল, তা নয়ছয় হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন। (Suvendu Adhikari)
রাজ্যপাল পদে থাকাকালীন করোনা কালে PPE কিট নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিলেন জগদীপ ধনকড়। ED-কে লেখা চিঠিতে ধনকড়ের সেই অভিযোগের প্রসঙ্গ তুলে ধরেছেন শুভেন্দু। কেন্দ্রীয় বরাদ্দের টাকা নয়ছয় করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। শুধুমাত্র ED-ই নয়, আয়কর দফতর এবং কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রককেও চিঠি দিয়েছেন শুভেন্দু।
সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই চিঠিও পোস্ট করেন শুভেন্দু। তিনি লেখেন, 'করোনার সময় PPE কিট এবং চিকিৎসার সরঞ্জাম নিে পশ্চিমবঙ্গ স্বাস্থ্য দফতরের হাতে বিপুল আর্থিক দুর্নীতি হয়েছিল। করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করতে মোটা টাকা বরাদ্দ করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। রাজ্য সরকারকে বিশ্বাস করেছিল কেন্দ্র। তাই কোনও বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়নি। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে টাকা সরানো হয়েছে, কয়েকশো কোটি টাকা চুরি করা হয়েছে'।
A huge financial scam was executed in WB during the Covid Pandemic period, in regards to the purchase of PPE kits and other medical equipments by the WB Health Department. Huge funds were provided by the Central Govt at that time to bolster the efforts for fighting against the… pic.twitter.com/RLNnMya5Pg
— Suvendu Adhikari • শুভেন্দু অধিকারী (@SuvenduWB) November 25, 2023
আরও পড়ুন: Maidan Accident: ময়দান এলাকায় বেপরোয়া গাড়ির ধাক্কা, মৃত্যু বাইক আরোহীর
ধনকড়ের উল্লেখ করে চিঠিতে শুভেন্দু লেখেন, ‘রাজ্যের তৎকালীন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়় চিকিৎসা সরঞ্জাম কেনায় বড় ধরনের দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিলেন। অনিয়মগুলি তুলে ধরেছিলেন বলে জানিয়েছিলেন। কোভিডের সময় রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরে একাধিক দুর্নীতি হয়েছিল...স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য ১ কোটির বেশি PPE কিটের বরাত দেওয়া হয়েছিল। কিট-পিছু ১০০০-১২০০ টাকা করে দাম পড়েছিল বলে দেখানো হয়। কিন্তু বাস্তবে ৩০০-৪০০ টাকা দাম পড়েছিল। ওই ১ কোটি কিটের মধ্যে ১০ লক্ষ বেসরকারি সংস্থাগুলিকে সরবরাহ করা হয়েছিল। ভুয়ো বিল তৈরি করে দেখানো হয়, বাকি কিটও সরবরাহ হয়েছে বলে। আসলে কাগজেই সরবরাহ দেখানো হয়েছিল, বাস্তবে গিয়ে পৌঁছয়নি’।
এ প্রসঙ্গে তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, "আজকে মোদি-শাহ প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানির দৌলতে কোভিডের সময় ভারতের মানুষকে নদীতে দেহ ভাসতে এবং নদীর তিরে গণচিতা জ্বলতে দেখতে হয়েছে। দেখতে হয়েছে, ল্যান্সেট এবং WHO দ্বারা দেশের কোভিড নীতিকে তিরস্কৃত হতে। আজ তাদের জন্য দেশের মান ভূলুণ্ঠিত হয়েছে। তারাই আজ বড় বড় কথা বলছে। পুরনো প্রবাদ মনে পড়ে যাচ্ছে যে, চোরের মায়ের বড় গলা।"
PPE কিট কেনায় টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ তুলেছিলেন তৎকালীন রাজ্যপাল ধনকড়। অতিমারি পরিস্থিতিতে চিকিৎসা সরঞ্জাম কেনায় কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। শুধু তাই নয়, অপরাধ আড়াল করা হচ্ছে বলেও রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন ধনকড়।