Paschim Bardhaman:জামুড়িয়ায় বিজেপি নেতা খুনে দোষীদের ধরতে পুলিশকে ৪৮ ঘণ্টা সময় অগ্নিমিত্রার
Agnimitra Paul: জামুড়িয়ায় বিজেপি নেতাকে গুলি করে খুনের ঘটনায় দুষ্কৃতীকে ধরতে পুলিশকে ৪৮ ঘণ্টা সময় দিল অগ্নিমিত্রা পাল। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে খুনিকে না ধরলে জাতীয় সড়ক অবরুদ্ধ করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।
কৌশিক গাঁতাইত, পশ্চিম বর্ধমান: জামুড়িয়ায় বিজেপি নেতাকে (Jamuria BJP Leader Murder) গুলি করে খুনের ঘটনায় দুষ্কৃতীকে (Criminals) ধরতে পুলিশকে ৪৮ ঘণ্টা সময় দিল অগ্নিমিত্রা পাল (Agnimitra Paul)। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে খুনিকে না ধরলে জাতীয় সড়ক অবরুদ্ধ করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। দোষীদের গ্রেফতারির দাবিতে অবরোধ-বিক্ষোভ বিজেপির (BJP)।
প্রতিবাদ বিজেপির...
পশ্চিম বর্ধমানের জামুড়িয়ায় বিজেপি নেতাকে গুলি করে খুনের প্রতিবাদে এদিন রানিগঞ্জের রানিসায়র মোড়ে ২ নম্বর জাতীয় অবরোধ করে বিজেপি। তবে মিনিট দশেক পর পুলিশের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেন বিজেপি কর্মীরা। গতকাল জামুড়িয়ার বোগরা এলাকায় গাড়ির ভিতর থেকে উদ্ধার হয় আসানসোল পুরসভার ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি আহ্বায়ক রাজেন্দ্রকুমার সাউয়ের গুলিবিদ্ধ দেহ। প্রতিবাদে গতকালই আসানসোল দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পালের নেতৃত্বে ২ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিজেপি। বিজেপি নেতার খুনের নেপথ্যে, কোনও ব্যবসায়িক শত্রুতা, নাকি অন্য কারণ রয়েছে, তা খতিয়ে দেখছে জামুড়িয়া থানার পুলিশ।
কী ঘটেছিল?
মাত্র ২৫ সেকেন্ডের নিখুঁত অপারেশন। শক্তিগড়ে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে পরপর গুলিতে ঝাঁঝড়া হয় দুর্গাপুরের কয়লা মাফিয়া রাজু ঝা। সেই ঘটনার একমাসের মধ্যেই দিনেদুপুরে শুটআউট হল জামুড়িয়ায়। জাতীয় সড়কে গুলি করে খুন করা হন বিজেপি নেতাকে। তাঁর নাম রাজেন্দ্র কুমার সাউ। বাড়ি রানিগঞ্জে। আসানসোল পুরসভার ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপির আহ্বায়ক রাজেন্দ্র। স্থানীয় সূত্রে দাবি, নিহত ব্যক্তি জমি কেনাবেচার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, শনিবার দুপুরে জামুড়িয়ার বোগরা এলাকায়, ২ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে নির্জন জায়গায় দীর্ঘক্ষণ এই সাদা গাড়িটি দাঁড়িয়ে ছিল। সন্দেহ হওয়ার গাড়ির কাছে যান স্থানীয়রা। তখনই দেখা যায়, গাড়ির ভিতরে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন এক ব্যক্তি। এরপরই, পুলিশে খবর দেওয়া হয়। তারাই মৃতদেহ উদ্ধার করে। নিহতের পরিবারের দাবি, যে গাড়িতে দেহ উদ্ধার হয়েছে সেটি রাজেন্দ্রর নয়। এই গাড়ির মালিককে মোটা অঙ্কের টাকা ধার দিয়েছিলেন রাজেন্দ্র। টাকা ফেরত না পাওয়ায়, গাড়িটি নিয়ে চলে আসেন তিনি। গত ১৫ দিন ধরে, এই টানাপোড়েন চলছিল। খুনের নেপথ্যে, কোনও ব্যবসায়িক শত্রুতা, নাকি অন্য কারণ রয়েছে, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। কিন্তু পর পর একই ধরনের ঘটনা ঘটায় প্রশ্নে প্রশাসনের ভূমিকাও।