টিকা না পাওয়ায় পুজোর মরশুমে চিন্তায় ঢাকিরা; ভ্যাকসিনেশনের আশ্বাস পুর প্রশাসকের
বনগাঁ পুরসভার পুর প্রশাসক গোপাল শেঠ জানিয়েছেন, পুরসভা চেষ্টা করছে তালিকা তৈরি করে ভ্যাকসিন দেওয়ার।
সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: করোনা আবহে গত বছর সেভাবে বরাত আসেনি। এ বছর, শারদোত্সবের আগে, আশায় বুক বাঁধছেন ঢাকিরা। কিন্তু অনেকেরই তো ভ্যাকসিনেশন হয়নি। তাঁরা কী পারবেন পুজোয় সামিল হতে? চিন্তায় পড়েছেন বনগাঁয় প্রায় ৪০টি ঢাকি পরিবার। তাঁদের জন্য ভ্যাকসিনেশনের ব্যবস্থা করার আশ্বাস দিয়েছেন পুর প্রশাসক।
এ ঢাক দেয় ডাক, শোনায় আগমনীর সুর! ঢাকের বাদ্যি কানে এলেই মনটা কেমন যেন পুজো পুজো করে ওঠে। পুজোয় আধুনিকতার ছোঁয়া লাগলেও, বিন্দুমাত্র কমেনি ঢাকের চাহিদা। কিন্তু করোনা আবহে, এখনও অসহায় এই ঢাকি পরিবারগুলি। উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁর দাসপাড়া এলাকায় প্রায় ৪০ টি ঢাকি পরিবারের বাস। গত বছর মহামারীর তাণ্ডবে, সেভাবে বায়না আসেনি।
এবার কী হবে? সেই চিন্তা কুড়ে কুড়ে খাচ্ছে দাসপাড়ার ঢাকিদের। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে নতুন আরেক চিন্তা। অধিকাংশ ঢাকিই এখনও ভ্যাকসিন পাননি। দুটো ডোজ ছাড়া, তাঁরা কী পারবেন পুজোয় সামিল হতে? চিন্তায় ঘুম উড়েছে ঢাকিদের।এই পরিস্থিতিতে পুরসভার তরফে মিলেছে সহযোগিতার আশ্বাস।
বনগাঁ পুরসভার পুর প্রশাসক গোপাল শেঠ জানিয়েছেন, পুরসভা চেষ্টা করছে তালিকা তৈরি করে ভ্যাকসিন দেওয়ার। হাতে আর দুমাস। তারপরই শারদোত্সবে মেতে উঠবে আপামর বাঙালি। অন্যান্যবার রথের সময় থেকেই শুরু হয়ে যায়, ঢাকিদের বায়না। কিন্তু, মহামারী পরিস্থিতিতে এখনও সেভাবে বরাত আসেনি। ঢাকের বোল আছে। তাতে হৃদয়ের ডাক নেই! কবে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে, সেদিকেই তাকিয়ে অসহায় ঢাকিরা।
উল্লেখ্য, রাজ্যে ভ্যাকসিন হয়রানি অব্যাহত। গতমাসে প্রায় ৪২ লক্ষ ডোজ এসেছিল রাজ্যে। তবে ঘাটতি মেটেনি। ১৪ অগাস্ট ফের রাজ্যে এল ৭ লক্ষ ২ হাজার ১৭০টি কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের ডোজ। পুনের সিরাম ইনস্টিটিউট থেকে আজই মোট ৭ লক্ষ ২ হাজার ১৭০টি ডোজ এসে পৌঁছেছে কলকাতা বিমানবন্দরে। সেখান থেকে নিয়ে বাগবাজার সেন্ট্রাল স্টোরেই আপাতত রাখা হবে। তবে এখনও পর্যন্ত রাজ্যে পর্যাপ্ত ভ্যাকসিনের জোগান নেই বলেই সরকারের তরফে জানানো হয়েছে।