Katwa News: সরকারি প্রকল্পের নামে প্রতারণা, ২ নেত্রী ও তৃণমূল কর্মীকে আটকে রাখল গ্রামবাসী
Burdwan News: ব্যাঙ্ক থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা ঋণ তোলার অভিযোগে সয়ম্ভর গোষ্ঠীর দুই মহিলা নেত্রী ও তৃণমূল কর্মীকে আটকে রাখল ক্ষুব্ধ গ্রামবাসী। বিস্তারিত জানুন।
রানা দাস, পূর্ব বর্ধমানঃ সয়ম্ভর গোষ্ঠীর নাম করে ব্যাঙ্ক থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা ঋণ তোলার অভিযোগ। সয়ম্ভর গোষ্ঠীর দুই মহিলা নেত্রী ও তৃণমূল কর্মীকে সাড়ে চার ঘন্টা আটকে রাখল ক্ষুব্ধ গ্রামবাসী। ওই দুই তৃণমূল মহিলা কর্মী টাকা ফেরত দেওয়ার মুচলেখা লিখে দেয় গ্রামবাসীদের ।পুলিশ এসে তারপর তাঁদের উদ্ধার করে ।কাটোয়া থানা এলাকায়। জানা গিয়েছে, এলাকার কয়েকশো প্রতারিত মহিলার ক্ষোভের মুখে পড়ে ব্যাঙ্ক থেকে জালিয়াতি করে টাকা তোলার কথা স্বীকার করে মুচলেখা দিতে বাধ্য হন অভিযুক্ত দুই স্বয়ম্ভর গোষ্ঠীর নেত্রী বকুল চক্রবর্তী ও চুমকি সাহা। তাঁরা নিজেদের তৃণমূল কর্মী বলে পরিচয় দিলেও স্থানীয় তৃণমূল নেতা জানিয়েছেন, তৃণমূল দলের সঙ্গে তাঁরা যুক্ত নয়।
আরও পড়ুন, 'রায়, ঘটক,সেন নক্ষত্রমণ্ডলীর শেষ লেজেন্ড', তরুণ মজুমদারের প্রয়াণে টুইট সৃজিতের
রাজ্য সরকারের 'আনন্দধারা' প্রকল্পকে হাতিয়ার করে কয়েকশ মহিলার সঙ্গে লাখ লাখ টাকার প্রতারণার অভিযোগ উঠল কাটোয়া থানার আলমপুর পঞ্চায়েতের স্বয়ম্ভর গোষ্ঠীর দুই নেত্রীর বিরুদ্ধে। স্বয়ম্ভর গোষ্ঠীর মহিলা সদস্যের অজান্তেই তাদের নামে লাখ লাখ টাকা ঋণ তুলে আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এই ভুয়ো ঋণ তুলতে ব্যাঙ্কের অফিসার থেকে শুরু করে ব্লক প্রশাসনের কর্মী পর্যন্ত জড়িত বলে অভিযুক্তরা স্বীকার করেন। এই ভুয়ো ঋণের ফাঁদে পড়ে গ্রামের দরিদ্র মহিলারা সর্বস্বান্ত হয়ে পড়ছেন। আলমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বরমপুর গ্রামের ধর্মরাজতলায় টাকা ফেরতের দাবিতে স্বয়ম্ভর গোষ্ঠীর দুই তৃণমূল নেত্রী বকুল চক্রবর্তী ও চুমকি সাহাকে তাদের বাড়ি থেকে ডেকে এনে ঘরে বন্ধ করে রাখে কয়েকশ মহিলা। প্রত্যেকের প্রতারিতের বক্তব্য, তাঁরা তাঁদের ঋণের ব্যাপারে কিছুই জানেনা অথচ ব্যাঙ্ক তাঁদের ঋণ মেটাতে চাপ দিচ্ছে। এমনকি জমাকৃত টাকা ঋণের কিস্তির সুদ হিসেবে কেটে নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ।
বকুল চক্রবর্তী ও চুমকি সাহা সমস্ত অভিযোগ স্বীকার করে বলেন, এই ভুয়ো ঋণ চক্রে ব্যাঙ্কের কর্মী, ব্লকের কর্মী সকলেই জড়িত। চুমকি সাহা বলেন, প্রায় ৪০-৫০ লাখ টাকা ব্যাঙ্ক থেকে তোলা হয়েছে। চুমকি সাহা ও বকুল চক্রবর্তী উভয়ে নিজেদের এলাকার তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী বলে দাবি করে বলেন, এক তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা সেই ভুয়ো নথি তৈরি করে ঋণ তুলেছে। যদিও স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা তপন কুমার মণ্ডল সাফ জানান,' বকুল বা চুমকি কেউ তৃণমূল কংগ্রেস করে না।'